ঢাকা ১০:৩০ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

রাজধানীর যানজট নিরসনে করনীয়!

মোঃ মানিক হোসেন। ————— সময়ের সাথে সাথে বেড়ে চলেছে রাজধানীর যানজট, মানুষ যেমন বাড়ছে তেমনি বাড়ছে যানবাহন। যানজটের কারনে সময়ের সঠিক ব্যবহার করতে পারছেননা কেউ। গন্তব্যে পৌঁছাতে অতিরিক্ত সময় হাতে নিয়ে বাহির হতে হচ্ছে সবাইকে এতে কোনো কোনো ক্ষেত্রে গন্তব্যে পৌঁছাতে ৪ গুন বেশি সময় লাগছে। আমরা সকলেই জানি সময়ের সঠিক ব্যবহার না করতে পারলে কোনো জাতি উন্নতি করতে পারেনা। এক্ষেত্রে যানজট আমাদের উন্নতিতে কতটা বাঁধা প্রদান করছে আশাকরি আপনারা বুঝতে পারছেন। যানজট সংক্রান্ত অনেক উদাহরন দেওয়া যায় কিন্তুু আমার আজকের লেখার উদ্দেশ্যে উদাহরন দেওয়া নয় বরং এই সমস্যা হতে কি করে বের হওয়া যায় তার সমাধান খুঁজে বার করা। অতিতে অনেকে অনেক সমাধানের পথ আমাদের দেখিয়েছেন আমি তাদের সাথে ভিন্নমত পোষন করছিনা তাদের দেওয়া মূল্যবান মতামতের সাথে আমার মতামতটা সংযুক্ত করার প্রচেষ্টায় আমার আজকের এই লেখা। যুগের সাথে তাল মিলিয়ে বাংলাদেশ আজ উন্নতির দিকে ধাবিত। যুগের প্রয়োজনে রাজধানীকে যানজটমুক্ত করতে সরকার মরিয়া হয়ে কাজ করছে।

আপনারা যারা রাজধানীতে থাকেন/কখনো এসেছেন আপনারা নিশ্চই দেখছেন/দেখেছেন সড়ক উন্নয়নের কাজ কতদ্রুত এগিয়ে চলছে। ★ নতুন মেট্রোরেল, ফ্লাইওভার, ফুট ওভার, রাস্তা প্রশস্ত করন সবই দ্রুত গতিতে নির্মান হচ্ছে। কিন্তু এগুলো কি আসলেই যানজট নিরোসন করতে পারবে? ★রাজধানীতে ব্যক্তিগত গাড়ীর ব্যবহার কমালে কি সমস্যার সমাধান হবে? ★★আমার মতে এই সমস্যা সমাধানে ঢাকার জনসংখ্যা কমাতে হবে। জনসংখ্যা কম হলে যানজট শুন্যের কোটায় নিয়ে আসা সম্ভব। প্রশ্ন হলো জনসংখ্যা কমবে কিভাবে? আপনারা নিশ্চই অবগত আছেন বাংলাদেশের সকল অফিসের (সরকারী এবং বে-সরকারী)প্রধান অফিস ঢাকায় অবস্থিত। যদি এই প্রধান অফিসগুলো (সবগুলো নয় তবে সিংহভাগ) বিভাগীয় শহরগুলোতে স্থানান্তর করা হয় তাহলে ঢাকার জনসংখ্যা অর্ধেক কমে যাবে পাশাপাশি ব্যক্তিগত গাড়ীও অর্ধেক কমে যাবে। এতে করে বিভাগীয় শহরগুলো উন্নত হবে। বিভাগীয় শহরগুলোতে বসবাসরত বেকার মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে। সেইসাথে প্রধান অফিসে কর্মরত ব্যক্তিরা নিজেদের পেশাগত কাজে পারদর্শী হয়ে উঠবেন। যেমন – # প্রধান মৎস্য অফিসঃ নদী বেশী যে এলাকায় সেখানে স্থানান্তরিত করা হলে। # প্রধান কৃষি অফিসঃ আবাদি ভুমি বেশি যে এলাকায় সেখানে স্থানান্তরিত করা হলে। ।

# প্রধান বিদ্যুৎ অফিসঃ বিদ্যুৎ উৎপাদন যে এলাকায় সেখানে স্থানান্তরিত করা হলে। উল্লেখিত প্রধান অফিসগুলো স্থানান্তরিত করা হলে উক্ত অফিসে কর্মরত সকল সদস্য বাস্তবতার আলোকে পেশাগত জ্ঞান অর্জন করতে পারবেন। আপনারা হয়তো বলবেন এই অফিসগুলোর শাখা তো ঐসব এলাকায় রয়েছে তাহলে প্রধান অফিস কে স্থানান্তর কেন ? শাখা অফিসগুলোতো বাস্তবসম্মত জ্ঞান অর্জন করছে তা দিয়েই চালিয়ে নেওয়া যাবে। আমি বলবো -আপনি ভুলের মধ্যে আছেন। প্রধান অফিস যদি বাস্তবসম্মত কিছু না জানেন তাহলে শাখা অফিসকে শেখাবেন কিভাবে। বাবা-মা শিক্ষিত হলে সন্তানদের শিক্ষিত করতে কষ্ট একটু কমই হয়। বর্তমান সরকারের গৃহীত পদক্ষেপ,গুনিজনদের পরামর্শ সাথে আমার মতো গরিবের পরামর্শ যোগ করলে যানজট নামক ভাইরাসটি নির্মুল হবে নিশ্চিত (আমার মতে)।

Tag :

ভিডিও

এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

Azam Rehman

জনপ্রিয় সংবাদ

রাজধানীর যানজট নিরসনে করনীয়!

আপডেট টাইম ০৪:২৪:২২ অপরাহ্ন, রবিবার, ৩ জানুয়ারী ২০২১

মোঃ মানিক হোসেন। ————— সময়ের সাথে সাথে বেড়ে চলেছে রাজধানীর যানজট, মানুষ যেমন বাড়ছে তেমনি বাড়ছে যানবাহন। যানজটের কারনে সময়ের সঠিক ব্যবহার করতে পারছেননা কেউ। গন্তব্যে পৌঁছাতে অতিরিক্ত সময় হাতে নিয়ে বাহির হতে হচ্ছে সবাইকে এতে কোনো কোনো ক্ষেত্রে গন্তব্যে পৌঁছাতে ৪ গুন বেশি সময় লাগছে। আমরা সকলেই জানি সময়ের সঠিক ব্যবহার না করতে পারলে কোনো জাতি উন্নতি করতে পারেনা। এক্ষেত্রে যানজট আমাদের উন্নতিতে কতটা বাঁধা প্রদান করছে আশাকরি আপনারা বুঝতে পারছেন। যানজট সংক্রান্ত অনেক উদাহরন দেওয়া যায় কিন্তুু আমার আজকের লেখার উদ্দেশ্যে উদাহরন দেওয়া নয় বরং এই সমস্যা হতে কি করে বের হওয়া যায় তার সমাধান খুঁজে বার করা। অতিতে অনেকে অনেক সমাধানের পথ আমাদের দেখিয়েছেন আমি তাদের সাথে ভিন্নমত পোষন করছিনা তাদের দেওয়া মূল্যবান মতামতের সাথে আমার মতামতটা সংযুক্ত করার প্রচেষ্টায় আমার আজকের এই লেখা। যুগের সাথে তাল মিলিয়ে বাংলাদেশ আজ উন্নতির দিকে ধাবিত। যুগের প্রয়োজনে রাজধানীকে যানজটমুক্ত করতে সরকার মরিয়া হয়ে কাজ করছে।

আপনারা যারা রাজধানীতে থাকেন/কখনো এসেছেন আপনারা নিশ্চই দেখছেন/দেখেছেন সড়ক উন্নয়নের কাজ কতদ্রুত এগিয়ে চলছে। ★ নতুন মেট্রোরেল, ফ্লাইওভার, ফুট ওভার, রাস্তা প্রশস্ত করন সবই দ্রুত গতিতে নির্মান হচ্ছে। কিন্তু এগুলো কি আসলেই যানজট নিরোসন করতে পারবে? ★রাজধানীতে ব্যক্তিগত গাড়ীর ব্যবহার কমালে কি সমস্যার সমাধান হবে? ★★আমার মতে এই সমস্যা সমাধানে ঢাকার জনসংখ্যা কমাতে হবে। জনসংখ্যা কম হলে যানজট শুন্যের কোটায় নিয়ে আসা সম্ভব। প্রশ্ন হলো জনসংখ্যা কমবে কিভাবে? আপনারা নিশ্চই অবগত আছেন বাংলাদেশের সকল অফিসের (সরকারী এবং বে-সরকারী)প্রধান অফিস ঢাকায় অবস্থিত। যদি এই প্রধান অফিসগুলো (সবগুলো নয় তবে সিংহভাগ) বিভাগীয় শহরগুলোতে স্থানান্তর করা হয় তাহলে ঢাকার জনসংখ্যা অর্ধেক কমে যাবে পাশাপাশি ব্যক্তিগত গাড়ীও অর্ধেক কমে যাবে। এতে করে বিভাগীয় শহরগুলো উন্নত হবে। বিভাগীয় শহরগুলোতে বসবাসরত বেকার মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে। সেইসাথে প্রধান অফিসে কর্মরত ব্যক্তিরা নিজেদের পেশাগত কাজে পারদর্শী হয়ে উঠবেন। যেমন – # প্রধান মৎস্য অফিসঃ নদী বেশী যে এলাকায় সেখানে স্থানান্তরিত করা হলে। # প্রধান কৃষি অফিসঃ আবাদি ভুমি বেশি যে এলাকায় সেখানে স্থানান্তরিত করা হলে। ।

# প্রধান বিদ্যুৎ অফিসঃ বিদ্যুৎ উৎপাদন যে এলাকায় সেখানে স্থানান্তরিত করা হলে। উল্লেখিত প্রধান অফিসগুলো স্থানান্তরিত করা হলে উক্ত অফিসে কর্মরত সকল সদস্য বাস্তবতার আলোকে পেশাগত জ্ঞান অর্জন করতে পারবেন। আপনারা হয়তো বলবেন এই অফিসগুলোর শাখা তো ঐসব এলাকায় রয়েছে তাহলে প্রধান অফিস কে স্থানান্তর কেন ? শাখা অফিসগুলোতো বাস্তবসম্মত জ্ঞান অর্জন করছে তা দিয়েই চালিয়ে নেওয়া যাবে। আমি বলবো -আপনি ভুলের মধ্যে আছেন। প্রধান অফিস যদি বাস্তবসম্মত কিছু না জানেন তাহলে শাখা অফিসকে শেখাবেন কিভাবে। বাবা-মা শিক্ষিত হলে সন্তানদের শিক্ষিত করতে কষ্ট একটু কমই হয়। বর্তমান সরকারের গৃহীত পদক্ষেপ,গুনিজনদের পরামর্শ সাথে আমার মতো গরিবের পরামর্শ যোগ করলে যানজট নামক ভাইরাসটি নির্মুল হবে নিশ্চিত (আমার মতে)।