এমপিও বাতিল হওয়া শিক্ষকরা হলেন, ফরক্কাবাদ ডিগ্রি কলেজের আইসিটি প্রভাষক নোমান সিদ্দীকী (৩৫) ও ইসলামী ইতিহাসের প্রভাষক জাহাঙ্গীর হোসেন (৪০)।
মঙ্গলবার মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর থেকে দুই শিক্ষকের এমপিও চূড়ান্তভাবে বাতিল করার ব্যবস্থা নিতে কলেজ কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
জানা গেছে, গত জুলাই মাসের মাঝামাঝি সময় শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনিকে নিয়ে ফেসবুকে অপপ্রচার চালানোর অভিযোগে চাঁদপুর মডেল থানায় আইসিটি আইনে একটি মামলা দায়ের করা হয়। এ মামলায় ফরক্কাবাদ মাদ্রাসার শিক্ষক আনিসুর রহমান শরীফ (৪০), ফরক্কাবাদ ডিগ্রি কলেজের আইসিটি প্রভাষক নোমান সিদ্দীকী (৩৫) ও ইসলামী ইতিহাসের প্রভাষক জাহাঙ্গীর আলমকে (৪০) গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ সূত্রে জানা যায়, অভিযুক্ত শিক্ষকদের গ্রেপ্তার হলে বিভাগের অধীনে এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ তদন্তের দায়িত্ব দেয়া হয় মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরকে। অভিযুক্ত শিক্ষকদের বিরুদ্ধে অপপ্রচারের অভিযোগের প্রমাণ পায় শিক্ষা অধিদপ্তর। পরে, শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে শিক্ষকদের এমপিও স্থাগিত করে তাদের শোকজ করার নির্দেশ দেয়া হয়ে।
সূত্র আরও জানায়, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর থেকে তাদের শোকজ করা হলে প্রভাষক জাহাঙ্গীর হোসেন তার জবাব দিয়েছেন। কিন্তু তা সন্তোষজনক নয়। আর প্রভাষক নোমান সিদ্দীকী শোকজের জবাব দেননি। এ প্রেক্ষিতে এ দুই শিক্ষকের এমপিও চূড়ান্তভাবে বাতিল করতে ফরক্কাবাদ ডিগ্রি কলেজের সভাপতিকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।