ঢাকা ১১:৩৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ৭ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
গণতন্ত্র রক্ষায় নির্বাচনই একমাত্র পথ-ঠাকুরগায়ে জিয়া স্মৃতি টুর্নামেন্ট উদ্বেধনী অনুষ্ঠানে মির্জা ফখরুল ফেব্রুয়ারিতেই আসছে নতুন রাজনৈতিক দল: সারজিস আলম ওসমানী বিমানবন্দরে ৮টি স্বর্ণের বার জব্দ নেতাকর্মী নিহতের ঘটনায় ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ বিএনপির রাজশাহী সারদা পুলিশ একাডেমী থেকে এসপি তানভীর আটক আয়নাঘর পরিদর্শনে প্রধান উপদেষ্টা ভিসা নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার ও আরও কর্মী নিতে আমিরাতের প্রতি ড. ইউনূসের আহ্বান বাংলাদেশের চলমান ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকা নেই: ট্রাম্প দুবাইয়ে প্রবাসী বাংলাদেশিদের অনুষ্ঠানে প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস নদীর পানিতে ডুবে যাওয়া চাচিকে বাঁচাতে গিয়ে প্রাণ গেল ভাতিজির

টিকটক ছাড়লো স্কাই নিউজ অস্ট্রেলিয়া, অন্য গণমাধ্যমকেও ছাড়ার আহ্বান

ডেস্ক:: নিরাপত্তা ঝুঁকির কথা তুলে এবার টিকটক ছাড়ছে অস্ট্রেলিয়ার সম্প্রচারমাধ্যম স্কাই নিউজ। এর আগে একই কারণে একাধিক পশ্চিমা দেশ সরকারি কর্মকর্তাদের জন্য টিকটক ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। সোমবার স্কাই নিউজ অস্ট্রেলিয়ায় প্রকাশিত এক রিপোর্টে টিকটকের নিরাপত্তা ঝুঁকির বিষয়টি তুলে ধরেন ডিজিটাল এডিটর জ্যাক হিউটন। এতে তিনি টিকটককে একটি বেইজিং নিয়ন্ত্রিত প্ল্যাটফর্ম বলে দাবি করেন। এই অ্যাপে যারা সংবাদ প্রচার করেন, তারা সকলেই গুরুতর ঝুঁকিতে রয়েছে বলে সতর্ক করেন তিনি।

হিউটন আরও বলেন, টিকটক আসলে একটি গোয়েন্দা নেটওয়ার্ক, যা সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম হিসেবে কাজ করছে। এর আগেও প্রমাণ পাওয়া গেছে যে টিকটক অবৈধভাবে সাংবাদিক, নাগরিক এবং রাজনীতিবিদদের তথ্য চুরি করে। তাই আমরা সকল গণমাধ্যমের কাছে আহ্বান জানাচ্ছি, যাতে তারা এই ঝুঁকির বিষয়টি বিবেচনা করে এবং সামান্য কিছু ‘মূল্যহীন’ ভিউ-এর জন্য টিকটক ব্যবহার বন্ধ করে দেয়।

এদিকে বিষয়টি নিয়ে টিকটকের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে সিএনএন। অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডে টিকটকের জেনারেল ম্যানেজার লি হান্টার বলেন, তিনি স্কাই নিউজের এমন সিদ্ধান্তকে সম্মান করেন। তবে তিনি যে অভিযোগ তুলেছেন তা উড়িয়ে দেন লি। তা ভাষায়, টিকটকের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগগুলো একদমই মিথ্যা এবং আমরা কঠিনতম ভাষায় তা প্রত্যাখ্যান করছি।এখনও কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি যে, টিকটক আসলে চীনা সরকারের হয়ে কাজ করে।

তার পরেও পশ্চিমা দেশগুলোতে টিকটক নিয়ে উদ্বেগ ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে। টিকটক ছাড়াও ফেসবুক, টুইটারের মতো অন্য সোশ্যাল মিডিয়াগুলোও ব্যবহারকারীর তথ্য সংগ্রহ করে। তবে চীন যেহেতু দিন দিন পশ্চিমা বিশ্বের প্রতিদ্বন্দ্বী হয়ে উঠছে ফলে দুই পক্ষের মধ্যে অবিশ্বাসও বাড়ছে। চীনে ফেসবুক ও টুইটারের মতো জনপ্রিয় পশ্চিমা সোশ্যাল মিডিয়া নিষিদ্ধ।

 

Tag :

ভিডিও

এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

Azam Rehman

জনপ্রিয় সংবাদ

গণতন্ত্র রক্ষায় নির্বাচনই একমাত্র পথ-ঠাকুরগায়ে জিয়া স্মৃতি টুর্নামেন্ট উদ্বেধনী অনুষ্ঠানে মির্জা ফখরুল

টিকটক ছাড়লো স্কাই নিউজ অস্ট্রেলিয়া, অন্য গণমাধ্যমকেও ছাড়ার আহ্বান

আপডেট টাইম ০৪:০০:০১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ এপ্রিল ২০২৩
ডেস্ক:: নিরাপত্তা ঝুঁকির কথা তুলে এবার টিকটক ছাড়ছে অস্ট্রেলিয়ার সম্প্রচারমাধ্যম স্কাই নিউজ। এর আগে একই কারণে একাধিক পশ্চিমা দেশ সরকারি কর্মকর্তাদের জন্য টিকটক ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। সোমবার স্কাই নিউজ অস্ট্রেলিয়ায় প্রকাশিত এক রিপোর্টে টিকটকের নিরাপত্তা ঝুঁকির বিষয়টি তুলে ধরেন ডিজিটাল এডিটর জ্যাক হিউটন। এতে তিনি টিকটককে একটি বেইজিং নিয়ন্ত্রিত প্ল্যাটফর্ম বলে দাবি করেন। এই অ্যাপে যারা সংবাদ প্রচার করেন, তারা সকলেই গুরুতর ঝুঁকিতে রয়েছে বলে সতর্ক করেন তিনি।

হিউটন আরও বলেন, টিকটক আসলে একটি গোয়েন্দা নেটওয়ার্ক, যা সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম হিসেবে কাজ করছে। এর আগেও প্রমাণ পাওয়া গেছে যে টিকটক অবৈধভাবে সাংবাদিক, নাগরিক এবং রাজনীতিবিদদের তথ্য চুরি করে। তাই আমরা সকল গণমাধ্যমের কাছে আহ্বান জানাচ্ছি, যাতে তারা এই ঝুঁকির বিষয়টি বিবেচনা করে এবং সামান্য কিছু ‘মূল্যহীন’ ভিউ-এর জন্য টিকটক ব্যবহার বন্ধ করে দেয়।

এদিকে বিষয়টি নিয়ে টিকটকের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে সিএনএন। অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডে টিকটকের জেনারেল ম্যানেজার লি হান্টার বলেন, তিনি স্কাই নিউজের এমন সিদ্ধান্তকে সম্মান করেন। তবে তিনি যে অভিযোগ তুলেছেন তা উড়িয়ে দেন লি। তা ভাষায়, টিকটকের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগগুলো একদমই মিথ্যা এবং আমরা কঠিনতম ভাষায় তা প্রত্যাখ্যান করছি।এখনও কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি যে, টিকটক আসলে চীনা সরকারের হয়ে কাজ করে।

তার পরেও পশ্চিমা দেশগুলোতে টিকটক নিয়ে উদ্বেগ ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে। টিকটক ছাড়াও ফেসবুক, টুইটারের মতো অন্য সোশ্যাল মিডিয়াগুলোও ব্যবহারকারীর তথ্য সংগ্রহ করে। তবে চীন যেহেতু দিন দিন পশ্চিমা বিশ্বের প্রতিদ্বন্দ্বী হয়ে উঠছে ফলে দুই পক্ষের মধ্যে অবিশ্বাসও বাড়ছে। চীনে ফেসবুক ও টুইটারের মতো জনপ্রিয় পশ্চিমা সোশ্যাল মিডিয়া নিষিদ্ধ।