আজম রেহমান,সারাদিন ডেক্স::আজ সোমবার আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবস। বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশে এ দিবস পালিত হচ্ছে। দিবসটি উপলক্ষে নানা আয়োজনের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
অভিবাসী দিবস উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাণী দিয়েছেন। রাষ্ট্রপতি তার বাণীতে অভিবাসী নারী-পুরুষ ও তাদের পরিবারের সদস্যদের সার্বিক কল্যাণ নিশ্চিত করতে সবাইকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, বিশ্বের বিভিন্ন দেশে কর্মরত বাংলাদেশি অভিবাসী নারী-পুরুষের শ্রম সেসব দেশের উন্নয়নের পাশাপাশি দেশের অর্থনীতিকেও সমৃদ্ধ করছে। অভিবাসী শ্রমিকদের পাঠানো অর্থ বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে বিশেষ অবদান রাখছে।
রাষ্ট্রপতি আরও বলেন, অভিবাসন ব্যবস্থাপনার উন্নয়ন সত্ত্বেও বিশ্বের বিভিন্ন দেশে অভিবাসন প্রক্রিয়ার সঙ্গে এখনও নানা ধরনের হয়রানি, অতিরিক্ত অর্থ আদায়, জবরদস্তিমূলক শ্রম, শ্রমিকের মানবাধিকার লঙ্ঘন, মানবপাচারসহ নানা প্রকারের অপরাধ সংগঠিত হয় থাকে। এ সকল চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সরকার, আইওএম, আইএলও এবং বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থার মধ্যে সমন্বিত উদ্যোগ গ্রহণ জরুরি।
প্রধানমন্ত্রী তার বাণীতে বলেন, বাংলাদেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে মানবপাচার বিরোধী আইন কঠোরভাবে বাস্তবায়নের পাশাপাশি অভিবাসন ব্যয় সহনীয় পর্যায়ে নামিয়ে আনতে বিশ্বের সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে। অভিবাসীদের বিরুদ্ধে যে কোনো প্রকার হিংসা, ঘৃণা ও বৈষম্যমূলক আচরণের অবসানসহ অভিবাসী শ্রমিকদের জন্য আইন ও বিধি প্রণয়নের ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক শ্রমসংস্থার স্ট্যান্ডার্ড বজায় রাখতে সবাইকে সচেষ্ট থাকতে হবে।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমরা প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক প্রতিষ্ঠা করেছি। এ ব্যাংক হতে অভিবাসী কর্মীরা সহজ শর্তে ঋণ নিতে পারছেন। রেমিটেন্স পাঠানো সহজ, সাশ্রয়ী ও নিরাপদ হয়েছে। বৈদেশিক কর্মসংস্থান প্রক্রিয়ায় ডিজিটালাইজেশনের ফলে কর্মীদের সেবাপ্রাপ্তি এবং নিয়োগকারী এজেন্সির সঙ্গে যোগাযোগ সহজ হয়েছে।’
বিশ্বের অর্থনৈতিক অগ্রগতির এ পর্যায়ে জাতিসংঘ ঘোষিত টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রায় অভিবাসন বিষয়টি যথাযথ গুরুত্বের সঙ্গে স্থান পেয়েছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বাণীতে অভিবাসীদের অধিকার সুরক্ষা, কল্যাণ নিশ্চিতকরণ এবং বিশ্বের অর্থনৈতিক অগ্রগতির ক্ষেত্রে অভিবাসীদের অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ জাতিসংঘ গৃহীত গ্লোবাল কমপ্যাক্ট ফর সেইফ, অর্ডারলি অ্যান্ড রেগুলার মাইগ্রেশন বিষয়ে রাষ্ট্রীয় ও আঞ্চলিক পর্যায়ে চলমান কার্যক্রমের প্রেক্ষাপটে এবারের আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবস একটি ভিন্নমাত্রা অর্জন করবে বলে প্রত্যাশা ব্যাক্ত করেন।