ঢাকা ০১:১৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৯ নভেম্বর ২০২৪, ৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

দরজায় গণিতের বিশ্বকাপ

৫৯তম আন্তর্জাতিক গণিত অলিম্পিয়াড, রোমানিয়া, ২০১৮

যত রোমাঞ্চ, নাটকীয়তার কেন্দ্র এখন বিশ্বকাপ ফুটবল। এ নিয়েই সব উন্মাদনা, পাড়ায়-মহল্লায় আড্ডা, তর্কের ধুম। কে কাকে হারালে কোয়ার্টার ফাইনালে উঠবে, কে টিকে থাকবে আর কে নেবে বিদায়—সবাই যখন এই সমীকরণে ব্যস্ত, তাহনিক নূররা তখন অন্য সমীকরণ নিয়ে মাথা ঘামাচ্ছে। আন্তর্জাতিক গণিত অলিম্পিয়াডের বিগত বছরের প্রশ্নগুলো সমাধান করতে বুঁদ হয়ে আছে একদল কিশোর। ঢাকার লালমাটিয়াতে চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি। সবকিছু ঠিক থাকলে ৫ জুলাই ছয় কিশোর চড়বে রোমানিয়াগামী বিমানে। একদিকে যখন চলছে ‘গ্রেটেস্ট শো অন আর্থ’খ্যাত বিশ্বকাপ ফুটবল, অন্যদিকে ১৪ জুলাই পর্যন্ত চলবে আন্তর্জাতিক গণিত অলিম্পিয়াড। এ যেন গণিতেরই বিশ্বকাপ! ১১৬টি দেশের ৬১৫ জন শিক্ষার্থী অংশ নেবে এই লড়াইয়ে।

তাহনিকের মতো ছয় শিক্ষার্থীর দেখা মিলল বাংলাদেশ গণিত অলিম্পিয়াড কমিটি আয়োজিত আইএমও ক্যাম্পে। আন্তর্জাতিক গণিত অলিম্পিয়াডের ৫৯তম আসর বসছে রোমানিয়ার ক্লজ-নেপোকা শহরে। সেই অলিম্পিয়াডে অংশ নেওয়ার জন্য এরই মধ্যে দলের ছয় সদস্যের নাম ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ গণিত অলিম্পিয়াড কমিটি। অলিম্পিয়াড কমিটি ও দলের কোচের অনুমতি নিয়ে আমরা ঘুরে আসি আইএমও ক্যাম্প থেকে।

ঢুকতেই চোখে পড়বে বিশাল সাদা বোর্ড, যেখানে দেখা যায় নানা আকারের বৃত্ত আর রম্বসের কাটাকুটি। নটর ডেম কলেজের শিক্ষার্থী জয়দীপ সাহাকে দেখা গেল মনোযোগসহকারে বোর্ডের সামনে দাঁড়িয়ে থাকতে। কী করছ? জিজ্ঞেস করতেই বলল, ‘দুপুর থেকে চেষ্টা করছি বৃত্ত আর রম্বসকে এক লাইনে আনতে। কয়েকবার পেরেছি, আর কত উপায়ে অঙ্কের সমাধান করা যায়, ভাবছি।’ সমাধানের পরও সমাধান খুঁজতে হয়, এভাবেই কাটছে বাংলাদেশ গণিত দলের সময়।

বাংলাদেশ দলের সদস্যরা হলো আহমেদ জাওয়াদ চৌধুরী (ক্যান্টনমেন্ট ইংলিশ স্কুল অ্যান্ড কলেজ, চট্টগ্রাম), রাহুল সাহা (ঢাকা কলেজ, ঢাকা), জয়দীপ সাহা (নটর ডেম কলেজ, ঢাকা), তামজিদ মোর্শেদ (নটর ডেম কলেজ, ঢাকা), তাহনিক নূর (নটর ডেম কলেজ, ঢাকা) ও সৌমিত্র দাস (পুলিশ লাইনস হাইস্কুল, ফরিদপুর)। এই ছয় প্রতিযোগীর দলনেতা হিসেবে বাংলাদেশ গণিত অলিম্পিয়াড দলের কোচ মাহবুব মজুমদার এবং উপদলনেতা বাংলাদেশ গণিত অলিম্পিয়াড কমিটির সাধারণ সম্পাদক মুনির হাসান যাবেন রোমানিয়ায়।

চলতি বছরের আইএমওর জন্য বাংলাদেশ গণিত দলের সদস্যদের নির্বাচনের লক্ষ্যে ৩৫টি শহরে আঞ্চলিক গণিত অলিম্পিয়াড ২০১৮ অনুষ্ঠিত হয়। আঞ্চলিক গণিত অলিম্পিয়াডে ২৫ হাজারের বেশি শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে। আঞ্চলিক গণিত উৎসবের বিজয়ী ১ হাজার ৩০০ জনকে নিয়ে অনুষ্ঠিত হয় জাতীয় গণিত উৎসব। সেই জাতীয় উৎসবের সেরা ৪৫ জন শিক্ষার্থীকে নিয়ে অনুষ্ঠিত হয় চতুর্দশ বাংলাদেশ জাতীয় গণিত ক্যাম্প। জাতীয় গণিত ক্যাম্প, এশিয়া প্যাসিফিক গণিত অলিম্পিয়াড (এপিএমও) ও আইএমও নির্বাচনী ক্যাম্পের ফলাফলের ভিত্তিতে ঘোষণা করা হয় বাংলাদেশ দল। ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের পৃষ্ঠপোষকতায় ও প্রথম আলোর ব্যবস্থাপনায় ৫৯তম আইএমওর জন্য ছয়জনের বাংলাদেশ গণিত দল নির্বাচন ও এর আনুষঙ্গিক আয়োজন করেছে বাংলাদেশ গণিত অলিম্পিয়াড কমিটি।

ক্যাম্পের আরেক রুমে দেখা যায় দলের তিন অভিজ্ঞ সদস্যকে, যারা আগেও আন্তর্জাতিক গণিত অলিম্পিয়াডে অংশ নিয়েছিল। আহমেদ জাওয়াদ চৌধুরী, রাহুল সাহা ও তামজিদ মোর্শেদ দলের পুরোনো সদস্য। জাওয়াদ বলে, ‘আগেরবারের চেয়ে এবারের প্রস্তুতি বেশ ভালো। আমি গতবার তিনটি প্রশ্নে সাতে সাত পেয়েছিলাম। সেই ধারাবাহিকতায় এবার বাকি তিনটি প্রশ্নে যেন আরও ভালো করি, সেদিকে মনোযোগ দিচ্ছি।’

ক্যাম্পে দেখা মিলল আগে গণিত অলিম্পিয়াডে পদকজয়ী দুই শিক্ষার্থীর সঙ্গে—আসিফ–ই–ইলাহী ও সাজিদ আখতার । দুজন এখন ক্যামব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ছেন। ছুটিতে দেশে এসেই চলে এসেছেন গণিতের ক্যাম্পে। এবারের প্রতিযোগীদের প্রস্তুতি নিতে সহায়তা করছেন তারা। আসিফ বলেন, ‘আমরা কীভাবে আইএমওর জন্য প্রস্তুতি নিয়েছিলাম, তা নতুনদের জানাতে ক্যাম্পে এসেছি। গণিত অলিম্পিয়াডে সমাধান আর উত্তর খোঁজার চেয়ে সমাধান করার প্রক্রিয়ায় কীভাবে সৃজনশীলতা আনা যায়, এ ব্যাপারে নিজের অভিজ্ঞতা সবার সঙ্গে ভাগাভাগি করে নিচ্ছি।’

জয়দীপ সাহা, তাহনিক নূর ও সৌমিত্র দাস দলে এবারই প্রথম। সৌমিত্র বলে, ‘প্রথমবার দেশের বাইরে যাচ্ছি বলে বেশ রোমাঞ্চ অনুভব করছি। নিশ্চয়ই অনেক দেশের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পরিচয় হবে।’ রাহুল সাহা ও তামজিদ মোর্শেদকে দেখা গেল কল্পনায় ব্রাজিল বনাম আর্জেন্টিনা ম্যাচে কে জিতবে, এই নিয়ে অঙ্ক কষতে। রীতিমতো ছক কেটে, ভেনচিত্র দিয়ে দুজনে নিজ নিজ যুক্তিকে শাণ দিয়ে যাচ্ছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেল, প্রতিদিন সকাল থেকে শুরু হয় গণিত অলিম্পিয়াডের প্রস্তুতি। কত নতুনত্বে বিভিন্ন প্রশ্নের সমাধান করা যায়, তা নিয়ে মধ্যরাত অবধি চলে প্রস্তুতি। মধ্যরাতেও দেখা যায় টিমটিমে আলোতে কেউ খাতায় কাটাকুটি করছে আর একটু দূরে টেলিভিশনে নির্বাকভাবে চলছে ইংল্যান্ড বনাম বেলজিয়ামের খেলা। গণিতপ্রিয় এই ছেলেগুলোর কাছে গণিতের খেলাই তো ‘গ্রেটেস্ট শো অন আর্থ’!

 

Tag :

ভিডিও

এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

দরজায় গণিতের বিশ্বকাপ

আপডেট টাইম ০২:৪৪:৫০ অপরাহ্ন, রবিবার, ১ জুলাই ২০১৮

৫৯তম আন্তর্জাতিক গণিত অলিম্পিয়াড, রোমানিয়া, ২০১৮

যত রোমাঞ্চ, নাটকীয়তার কেন্দ্র এখন বিশ্বকাপ ফুটবল। এ নিয়েই সব উন্মাদনা, পাড়ায়-মহল্লায় আড্ডা, তর্কের ধুম। কে কাকে হারালে কোয়ার্টার ফাইনালে উঠবে, কে টিকে থাকবে আর কে নেবে বিদায়—সবাই যখন এই সমীকরণে ব্যস্ত, তাহনিক নূররা তখন অন্য সমীকরণ নিয়ে মাথা ঘামাচ্ছে। আন্তর্জাতিক গণিত অলিম্পিয়াডের বিগত বছরের প্রশ্নগুলো সমাধান করতে বুঁদ হয়ে আছে একদল কিশোর। ঢাকার লালমাটিয়াতে চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি। সবকিছু ঠিক থাকলে ৫ জুলাই ছয় কিশোর চড়বে রোমানিয়াগামী বিমানে। একদিকে যখন চলছে ‘গ্রেটেস্ট শো অন আর্থ’খ্যাত বিশ্বকাপ ফুটবল, অন্যদিকে ১৪ জুলাই পর্যন্ত চলবে আন্তর্জাতিক গণিত অলিম্পিয়াড। এ যেন গণিতেরই বিশ্বকাপ! ১১৬টি দেশের ৬১৫ জন শিক্ষার্থী অংশ নেবে এই লড়াইয়ে।

তাহনিকের মতো ছয় শিক্ষার্থীর দেখা মিলল বাংলাদেশ গণিত অলিম্পিয়াড কমিটি আয়োজিত আইএমও ক্যাম্পে। আন্তর্জাতিক গণিত অলিম্পিয়াডের ৫৯তম আসর বসছে রোমানিয়ার ক্লজ-নেপোকা শহরে। সেই অলিম্পিয়াডে অংশ নেওয়ার জন্য এরই মধ্যে দলের ছয় সদস্যের নাম ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ গণিত অলিম্পিয়াড কমিটি। অলিম্পিয়াড কমিটি ও দলের কোচের অনুমতি নিয়ে আমরা ঘুরে আসি আইএমও ক্যাম্প থেকে।

ঢুকতেই চোখে পড়বে বিশাল সাদা বোর্ড, যেখানে দেখা যায় নানা আকারের বৃত্ত আর রম্বসের কাটাকুটি। নটর ডেম কলেজের শিক্ষার্থী জয়দীপ সাহাকে দেখা গেল মনোযোগসহকারে বোর্ডের সামনে দাঁড়িয়ে থাকতে। কী করছ? জিজ্ঞেস করতেই বলল, ‘দুপুর থেকে চেষ্টা করছি বৃত্ত আর রম্বসকে এক লাইনে আনতে। কয়েকবার পেরেছি, আর কত উপায়ে অঙ্কের সমাধান করা যায়, ভাবছি।’ সমাধানের পরও সমাধান খুঁজতে হয়, এভাবেই কাটছে বাংলাদেশ গণিত দলের সময়।

বাংলাদেশ দলের সদস্যরা হলো আহমেদ জাওয়াদ চৌধুরী (ক্যান্টনমেন্ট ইংলিশ স্কুল অ্যান্ড কলেজ, চট্টগ্রাম), রাহুল সাহা (ঢাকা কলেজ, ঢাকা), জয়দীপ সাহা (নটর ডেম কলেজ, ঢাকা), তামজিদ মোর্শেদ (নটর ডেম কলেজ, ঢাকা), তাহনিক নূর (নটর ডেম কলেজ, ঢাকা) ও সৌমিত্র দাস (পুলিশ লাইনস হাইস্কুল, ফরিদপুর)। এই ছয় প্রতিযোগীর দলনেতা হিসেবে বাংলাদেশ গণিত অলিম্পিয়াড দলের কোচ মাহবুব মজুমদার এবং উপদলনেতা বাংলাদেশ গণিত অলিম্পিয়াড কমিটির সাধারণ সম্পাদক মুনির হাসান যাবেন রোমানিয়ায়।

চলতি বছরের আইএমওর জন্য বাংলাদেশ গণিত দলের সদস্যদের নির্বাচনের লক্ষ্যে ৩৫টি শহরে আঞ্চলিক গণিত অলিম্পিয়াড ২০১৮ অনুষ্ঠিত হয়। আঞ্চলিক গণিত অলিম্পিয়াডে ২৫ হাজারের বেশি শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে। আঞ্চলিক গণিত উৎসবের বিজয়ী ১ হাজার ৩০০ জনকে নিয়ে অনুষ্ঠিত হয় জাতীয় গণিত উৎসব। সেই জাতীয় উৎসবের সেরা ৪৫ জন শিক্ষার্থীকে নিয়ে অনুষ্ঠিত হয় চতুর্দশ বাংলাদেশ জাতীয় গণিত ক্যাম্প। জাতীয় গণিত ক্যাম্প, এশিয়া প্যাসিফিক গণিত অলিম্পিয়াড (এপিএমও) ও আইএমও নির্বাচনী ক্যাম্পের ফলাফলের ভিত্তিতে ঘোষণা করা হয় বাংলাদেশ দল। ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের পৃষ্ঠপোষকতায় ও প্রথম আলোর ব্যবস্থাপনায় ৫৯তম আইএমওর জন্য ছয়জনের বাংলাদেশ গণিত দল নির্বাচন ও এর আনুষঙ্গিক আয়োজন করেছে বাংলাদেশ গণিত অলিম্পিয়াড কমিটি।

ক্যাম্পের আরেক রুমে দেখা যায় দলের তিন অভিজ্ঞ সদস্যকে, যারা আগেও আন্তর্জাতিক গণিত অলিম্পিয়াডে অংশ নিয়েছিল। আহমেদ জাওয়াদ চৌধুরী, রাহুল সাহা ও তামজিদ মোর্শেদ দলের পুরোনো সদস্য। জাওয়াদ বলে, ‘আগেরবারের চেয়ে এবারের প্রস্তুতি বেশ ভালো। আমি গতবার তিনটি প্রশ্নে সাতে সাত পেয়েছিলাম। সেই ধারাবাহিকতায় এবার বাকি তিনটি প্রশ্নে যেন আরও ভালো করি, সেদিকে মনোযোগ দিচ্ছি।’

ক্যাম্পে দেখা মিলল আগে গণিত অলিম্পিয়াডে পদকজয়ী দুই শিক্ষার্থীর সঙ্গে—আসিফ–ই–ইলাহী ও সাজিদ আখতার । দুজন এখন ক্যামব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ছেন। ছুটিতে দেশে এসেই চলে এসেছেন গণিতের ক্যাম্পে। এবারের প্রতিযোগীদের প্রস্তুতি নিতে সহায়তা করছেন তারা। আসিফ বলেন, ‘আমরা কীভাবে আইএমওর জন্য প্রস্তুতি নিয়েছিলাম, তা নতুনদের জানাতে ক্যাম্পে এসেছি। গণিত অলিম্পিয়াডে সমাধান আর উত্তর খোঁজার চেয়ে সমাধান করার প্রক্রিয়ায় কীভাবে সৃজনশীলতা আনা যায়, এ ব্যাপারে নিজের অভিজ্ঞতা সবার সঙ্গে ভাগাভাগি করে নিচ্ছি।’

জয়দীপ সাহা, তাহনিক নূর ও সৌমিত্র দাস দলে এবারই প্রথম। সৌমিত্র বলে, ‘প্রথমবার দেশের বাইরে যাচ্ছি বলে বেশ রোমাঞ্চ অনুভব করছি। নিশ্চয়ই অনেক দেশের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পরিচয় হবে।’ রাহুল সাহা ও তামজিদ মোর্শেদকে দেখা গেল কল্পনায় ব্রাজিল বনাম আর্জেন্টিনা ম্যাচে কে জিতবে, এই নিয়ে অঙ্ক কষতে। রীতিমতো ছক কেটে, ভেনচিত্র দিয়ে দুজনে নিজ নিজ যুক্তিকে শাণ দিয়ে যাচ্ছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেল, প্রতিদিন সকাল থেকে শুরু হয় গণিত অলিম্পিয়াডের প্রস্তুতি। কত নতুনত্বে বিভিন্ন প্রশ্নের সমাধান করা যায়, তা নিয়ে মধ্যরাত অবধি চলে প্রস্তুতি। মধ্যরাতেও দেখা যায় টিমটিমে আলোতে কেউ খাতায় কাটাকুটি করছে আর একটু দূরে টেলিভিশনে নির্বাকভাবে চলছে ইংল্যান্ড বনাম বেলজিয়ামের খেলা। গণিতপ্রিয় এই ছেলেগুলোর কাছে গণিতের খেলাই তো ‘গ্রেটেস্ট শো অন আর্থ’!