ঢাকা ০৮:৪৫ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৯ নভেম্বর ২০২৪, ৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

খালেদাকে বন্দি রেখে ভোট হবে না: ফখরুল

দলীয় চেয়ারপারসনের মুক্তি দাবিতে সোমবার ৭ ঘণ্টার প্রতীক অনশন কর্মসূচিতে বক্তব্যে এই হুঁশিয়ারি দেন তিনি।

ঢাকার গুলিস্থানে কাজী বশির মিলনায়তনে সকাল থেকে কর্মসূচি শুরুর পর বিকালে জাফরুল্লাহ চৌধুরী ফলের রস খাইয়ে অনশন ভঙ্গ করান।

কর্মসূচি চলাকালে বিএনপির বিভিন্ন নেতা বক্তব্য রাখেন। তাদের বক্তব্যে খালেদাকে বন্দি রেখে নির্বাচনে অংশ না নেওয়ার পক্ষে অবস্থান নেওয়ার আহ্বান জানানো হয়।

ফখরুল বলেন, “দীর্ঘ সময় ধরে এই অনশন কর্মসূচিতে যে সমস্ত বক্তারা বক্তব্য রেখেছেন, তাদের বক্তব্যের মধ্য দিয়ে স্পষ্ট হয়ে এসেছে, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে কারাগারে রেখে এদেশে কোনো জাতীয় সংসদ নির্বাচন হবে না।

“এই অনশন কর্মসূচি থেকে আমরা দাবি করছি, অবিলম্বে দেশনেত্রীকে মুক্তি দিয়ে সুচিকিৎসার ব্যবস্থা করতে হবে। এই দাবি আবার করছি যে, এখানে নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন হতে হবে, নির্বাচন কমিশন পুনরায় গঠন করতে হবে, সংসদ ভেঙে দিতে হবে, সেনাবাহিনী মোতায়েন করতে হবে। তবেই নির্বাচনের পরিবেশ সৃষ্টি হলে এদেশে নির্বাচন হবে, অন্যথায় নির্বাচন হবে না।”

নির্দলীয় সরকারের অধীনে না হওয়ায় দশম সংসদ নির্বাচন বর্জন করেছিল বিএনপি। এই বছর শেষে অনুষ্ঠেয় একাদশ সংসদ নির্বাচনের সময়ও ‘সহায়ক সরকারের’ দাবি তুলেছে তারা। সেই সঙ্গে খালেদার মুক্তির শর্ত যোগ করেছে।

জিয়া এতিমখানা ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় দণ্ড নিয়ে বন্দি খালেদার মুক্তির বিষয়ে সরকারের করার কিছু নেই বলে জানিয়ে আসছেন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ নেতারা। ‘সহায়ক সরকারের’ দাবিও নাকচ করে আসছেন তারা।

ফখরুল বলেন, “বেগম খালেদা জিয়াকে আজকে সুচিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে না, তার ন্যূনতম যে প্রাপ্য, সেই প্রাপ্যটুকু তাকে দেওয়া হচ্ছে না। এই সরকার তাকে রাজনীতি থেকে দূরে সরিয়ে রাখার জন্য ষড়যন্ত্র করছে। উদ্দেশ্য একটাই, বিএনপিকে নির্বাচন ও রাজনীতি থেকে দূরে সরিয়ে রাখা।”

বর্তমান পরিস্থিতিতে সব রাজনৈতিক ও পেশাজীবীদের ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়ে বিএনপি মহাসচিব বলেন, “আজকে এদেশের মুক্তির জন্য, ১৬ কোটি মানুষের মুক্তির জন্য, মানুষের আবার গণতন্ত্র ফিরিয়ে দেবার জন্য, স্বৈরাচার সরকারের হাত থেকে দেশকে বাঁচানোর জন্য আমাদের ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।”

ফখরুল ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক ইসহাক সরকারসহ সারাদেশে নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তারের নিন্দা জানিয়ে অবিলম্বে তাদের মুক্তি দাবি করেন।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, “সরকার একটাই ষড়যন্ত্র করছে। সেটা হচ্ছে দেশনেত্রীকে ছাড়া, বিএনপিকে ছাড়া, ২০ দলকে ছাড়া তারা ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির প্রহসন আবার পুনরাবৃত্তি করতে চায়।

“আমরা বলতে চাই, ২০১৪ সালের সেই ষড়যন্ত্র বাংলাদেশের জনগণ আরেকবার বাস্তবায়ন হতে দেবে না। এই স্বৈরাচারের হাত থেকে দেশকে মুক্ত করতে হলে আন্দোলনের বিকল্প নাই। তাই রাস্তায় আন্দোলন করেই গণতন্ত্রের মাতাকে মুক্ত করতে হবে, মুক্ত দেশনেত্রীকে নিয়েই আমরা নির্বাচনকালীন সরকার প্রতিষ্ঠা করে নির্বাচনে যাব।”

স্থায়ী কমিটির সদস্য মওদুদ আহমদ বলেন, “নিম্ন আদালত সম্পূর্ণভাবে সরকারের নিয়ন্ত্রণে পরিচালিত হচ্ছে যার জন্য বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি বিলম্বিত হচ্ছে। আমি এটুকু বলতে পারি, যত কৌশল করা হোক না কেন, এটা সম্ভবপর হবে না। তার কারণ একদিন না একদিন তাদের কৌশল ও ষড়যন্ত্র বন্ধ হয়ে যাবে এবং কোনো এক পর্যায়ে গিয়ে তারা দেশনেত্রীকে জামিন না দিয়ে আর পারবে না।

“যদি আইনি প্রক্রিয়ায় বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি না হয়, তার একমাত্র বিকল্প হল রাজপথ। এবার প্রস্তুতি নেন, কর্মসূচি দেওয়া হবে, সেই কর্মসূচি বাস্তবায়ন করতে হবে।”

স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেন, “পৃথিবীর বহু রাষ্ট্রনায়কের এরকম জেল হয়েছে, আবার মুক্ত হয়েছে, জামিনও হয়েছে, আবার অনেকে সংগ্রামের মাধ্যমে মুক্ত হয়েছে। আজকে দেশনেত্রীকে তিলে তিলে হত্যার করার চেষ্টা করা হচ্ছে বলে আমি মনে করি সবদিক থেকে।

“স্বৈরশাসক এরশাদ হাত মিলিয়েছে হাসিনার সঙ্গে। সেও লজ্জা পেয়ে গেছে, বাপরে বাপ আমি তো বাঁইচা গেলাম, আমার চেয়ে বড় স্বৈরশাসক বাংলাদেশে এখন হাজির হয়েছে। এটা আমার কথা নয়, সোশ্যাল মিডিয়ায় দেখলাম।”

মিলনায়তন প্রাঙ্গণে সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত এই প্রতীক অনশনে কেন্দ্রীয় নেতারাসহ ঢাকা মহানগর শাখা এবং বিভিন্ন সহযোগী সংগঠনের কয়েক হাজার নেতা-কর্মী মাদুরে বসে অংশ নেন।উপস্থিত ছিলেন গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, নজরুল ইসলাম খান, আবদুল্লাহ আল নোমান, আলতাফ হোসেন চৌধুরী, সেলিমা রহমান, চৌধুরী কামাল ইবনে ইউসুফ, এ জেড এম জাহিদ হোসেন, আমানউল্লাহ আমান, হাবিবুর রহমান হাবিব, জয়নুল আবদিন ফারুক, কবির মুরাদ, আতাউর রহসান ঢালী, সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, খায়রুল কবির খোকন, সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, আশারফউদ্দিন আহমেদ উজ্জ্বল, শিরিন সুলতানা, হাবিবুল ইসলাম হাবিব, আবদুস সালাম আজাদ, আমিরুল ইসলাম আলীম, কাজী আবুল বাশার, আহসানউল্লাহ হাসান, আফরোজা আব্বাস, মোরতাজুল করীম বাদরু, নুরুল ইসলাম নয়ন, আবদুল কাদের ভুঁইয়া, সাদেক আহমেদ খান, হাফেজ এম এ মালেক, রাজীব আহসান, আকরামুল হাসান।

এই কর্মসূচিতে একাত্মতা প্রকাশ করতে এসেছিলেন নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না। তিনি বিএনপি মহাসচিবের কাছে কিছু সময় বসলেও বক্তব্য দেননি।

একাত্মতা প্রকাশ করে বক্তব্য রাখেন ২০ দলীয় জোটের শরিক জামায়াতে ইসলামীর মজিবুর রহমান, জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) মোস্তফা জামাল হায়দার, এলডিপির রেদোয়ান আহমেদ, খেলাফত মজলিশের মাওলানা সৈয়দ মজিবুর রহমান, ইসলামী ঐক্যজোটের মাওলানা আবদুল করীম, এনপিপির ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, লেবার পার্টির মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, জাগপার খন্দকার লুৎফর রহমান, আসাদুর রহমান খান, ডিএলের সাইফুদ্দিন মনি, সাম্যবাদী দলের সাঈদ আহমেদ, পিপলস লীগের সৈয়দ মাহবুব হোসেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক এমাজউদ্দীন আহমদ, অধ্যাপক আখতার হোসেন খান, ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের একাংশের সভাপতি রুহুল আমিন গাজী।

গত ৮ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে রায়ের পর এর আগে গত ১৪ ফেব্রুয়ারি জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে প্রতীক অনশন করেছিল বিএনপি। এছাড়াও বিক্ষোভ, মানববন্ধন, সমাবেশসহ নানা কর্মসূচি পালন করছে দলটি।

Tag :

ভিডিও

এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

খালেদাকে বন্দি রেখে ভোট হবে না: ফখরুল

আপডেট টাইম ১২:৪৯:১৪ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১০ জুলাই ২০১৮

দলীয় চেয়ারপারসনের মুক্তি দাবিতে সোমবার ৭ ঘণ্টার প্রতীক অনশন কর্মসূচিতে বক্তব্যে এই হুঁশিয়ারি দেন তিনি।

ঢাকার গুলিস্থানে কাজী বশির মিলনায়তনে সকাল থেকে কর্মসূচি শুরুর পর বিকালে জাফরুল্লাহ চৌধুরী ফলের রস খাইয়ে অনশন ভঙ্গ করান।

কর্মসূচি চলাকালে বিএনপির বিভিন্ন নেতা বক্তব্য রাখেন। তাদের বক্তব্যে খালেদাকে বন্দি রেখে নির্বাচনে অংশ না নেওয়ার পক্ষে অবস্থান নেওয়ার আহ্বান জানানো হয়।

ফখরুল বলেন, “দীর্ঘ সময় ধরে এই অনশন কর্মসূচিতে যে সমস্ত বক্তারা বক্তব্য রেখেছেন, তাদের বক্তব্যের মধ্য দিয়ে স্পষ্ট হয়ে এসেছে, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে কারাগারে রেখে এদেশে কোনো জাতীয় সংসদ নির্বাচন হবে না।

“এই অনশন কর্মসূচি থেকে আমরা দাবি করছি, অবিলম্বে দেশনেত্রীকে মুক্তি দিয়ে সুচিকিৎসার ব্যবস্থা করতে হবে। এই দাবি আবার করছি যে, এখানে নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন হতে হবে, নির্বাচন কমিশন পুনরায় গঠন করতে হবে, সংসদ ভেঙে দিতে হবে, সেনাবাহিনী মোতায়েন করতে হবে। তবেই নির্বাচনের পরিবেশ সৃষ্টি হলে এদেশে নির্বাচন হবে, অন্যথায় নির্বাচন হবে না।”

নির্দলীয় সরকারের অধীনে না হওয়ায় দশম সংসদ নির্বাচন বর্জন করেছিল বিএনপি। এই বছর শেষে অনুষ্ঠেয় একাদশ সংসদ নির্বাচনের সময়ও ‘সহায়ক সরকারের’ দাবি তুলেছে তারা। সেই সঙ্গে খালেদার মুক্তির শর্ত যোগ করেছে।

জিয়া এতিমখানা ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় দণ্ড নিয়ে বন্দি খালেদার মুক্তির বিষয়ে সরকারের করার কিছু নেই বলে জানিয়ে আসছেন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ নেতারা। ‘সহায়ক সরকারের’ দাবিও নাকচ করে আসছেন তারা।

ফখরুল বলেন, “বেগম খালেদা জিয়াকে আজকে সুচিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে না, তার ন্যূনতম যে প্রাপ্য, সেই প্রাপ্যটুকু তাকে দেওয়া হচ্ছে না। এই সরকার তাকে রাজনীতি থেকে দূরে সরিয়ে রাখার জন্য ষড়যন্ত্র করছে। উদ্দেশ্য একটাই, বিএনপিকে নির্বাচন ও রাজনীতি থেকে দূরে সরিয়ে রাখা।”

বর্তমান পরিস্থিতিতে সব রাজনৈতিক ও পেশাজীবীদের ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়ে বিএনপি মহাসচিব বলেন, “আজকে এদেশের মুক্তির জন্য, ১৬ কোটি মানুষের মুক্তির জন্য, মানুষের আবার গণতন্ত্র ফিরিয়ে দেবার জন্য, স্বৈরাচার সরকারের হাত থেকে দেশকে বাঁচানোর জন্য আমাদের ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।”

ফখরুল ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক ইসহাক সরকারসহ সারাদেশে নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তারের নিন্দা জানিয়ে অবিলম্বে তাদের মুক্তি দাবি করেন।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, “সরকার একটাই ষড়যন্ত্র করছে। সেটা হচ্ছে দেশনেত্রীকে ছাড়া, বিএনপিকে ছাড়া, ২০ দলকে ছাড়া তারা ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির প্রহসন আবার পুনরাবৃত্তি করতে চায়।

“আমরা বলতে চাই, ২০১৪ সালের সেই ষড়যন্ত্র বাংলাদেশের জনগণ আরেকবার বাস্তবায়ন হতে দেবে না। এই স্বৈরাচারের হাত থেকে দেশকে মুক্ত করতে হলে আন্দোলনের বিকল্প নাই। তাই রাস্তায় আন্দোলন করেই গণতন্ত্রের মাতাকে মুক্ত করতে হবে, মুক্ত দেশনেত্রীকে নিয়েই আমরা নির্বাচনকালীন সরকার প্রতিষ্ঠা করে নির্বাচনে যাব।”

স্থায়ী কমিটির সদস্য মওদুদ আহমদ বলেন, “নিম্ন আদালত সম্পূর্ণভাবে সরকারের নিয়ন্ত্রণে পরিচালিত হচ্ছে যার জন্য বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি বিলম্বিত হচ্ছে। আমি এটুকু বলতে পারি, যত কৌশল করা হোক না কেন, এটা সম্ভবপর হবে না। তার কারণ একদিন না একদিন তাদের কৌশল ও ষড়যন্ত্র বন্ধ হয়ে যাবে এবং কোনো এক পর্যায়ে গিয়ে তারা দেশনেত্রীকে জামিন না দিয়ে আর পারবে না।

“যদি আইনি প্রক্রিয়ায় বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি না হয়, তার একমাত্র বিকল্প হল রাজপথ। এবার প্রস্তুতি নেন, কর্মসূচি দেওয়া হবে, সেই কর্মসূচি বাস্তবায়ন করতে হবে।”

স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেন, “পৃথিবীর বহু রাষ্ট্রনায়কের এরকম জেল হয়েছে, আবার মুক্ত হয়েছে, জামিনও হয়েছে, আবার অনেকে সংগ্রামের মাধ্যমে মুক্ত হয়েছে। আজকে দেশনেত্রীকে তিলে তিলে হত্যার করার চেষ্টা করা হচ্ছে বলে আমি মনে করি সবদিক থেকে।

“স্বৈরশাসক এরশাদ হাত মিলিয়েছে হাসিনার সঙ্গে। সেও লজ্জা পেয়ে গেছে, বাপরে বাপ আমি তো বাঁইচা গেলাম, আমার চেয়ে বড় স্বৈরশাসক বাংলাদেশে এখন হাজির হয়েছে। এটা আমার কথা নয়, সোশ্যাল মিডিয়ায় দেখলাম।”

মিলনায়তন প্রাঙ্গণে সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত এই প্রতীক অনশনে কেন্দ্রীয় নেতারাসহ ঢাকা মহানগর শাখা এবং বিভিন্ন সহযোগী সংগঠনের কয়েক হাজার নেতা-কর্মী মাদুরে বসে অংশ নেন।উপস্থিত ছিলেন গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, নজরুল ইসলাম খান, আবদুল্লাহ আল নোমান, আলতাফ হোসেন চৌধুরী, সেলিমা রহমান, চৌধুরী কামাল ইবনে ইউসুফ, এ জেড এম জাহিদ হোসেন, আমানউল্লাহ আমান, হাবিবুর রহমান হাবিব, জয়নুল আবদিন ফারুক, কবির মুরাদ, আতাউর রহসান ঢালী, সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, খায়রুল কবির খোকন, সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, আশারফউদ্দিন আহমেদ উজ্জ্বল, শিরিন সুলতানা, হাবিবুল ইসলাম হাবিব, আবদুস সালাম আজাদ, আমিরুল ইসলাম আলীম, কাজী আবুল বাশার, আহসানউল্লাহ হাসান, আফরোজা আব্বাস, মোরতাজুল করীম বাদরু, নুরুল ইসলাম নয়ন, আবদুল কাদের ভুঁইয়া, সাদেক আহমেদ খান, হাফেজ এম এ মালেক, রাজীব আহসান, আকরামুল হাসান।

এই কর্মসূচিতে একাত্মতা প্রকাশ করতে এসেছিলেন নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না। তিনি বিএনপি মহাসচিবের কাছে কিছু সময় বসলেও বক্তব্য দেননি।

একাত্মতা প্রকাশ করে বক্তব্য রাখেন ২০ দলীয় জোটের শরিক জামায়াতে ইসলামীর মজিবুর রহমান, জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) মোস্তফা জামাল হায়দার, এলডিপির রেদোয়ান আহমেদ, খেলাফত মজলিশের মাওলানা সৈয়দ মজিবুর রহমান, ইসলামী ঐক্যজোটের মাওলানা আবদুল করীম, এনপিপির ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, লেবার পার্টির মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, জাগপার খন্দকার লুৎফর রহমান, আসাদুর রহমান খান, ডিএলের সাইফুদ্দিন মনি, সাম্যবাদী দলের সাঈদ আহমেদ, পিপলস লীগের সৈয়দ মাহবুব হোসেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক এমাজউদ্দীন আহমদ, অধ্যাপক আখতার হোসেন খান, ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের একাংশের সভাপতি রুহুল আমিন গাজী।

গত ৮ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে রায়ের পর এর আগে গত ১৪ ফেব্রুয়ারি জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে প্রতীক অনশন করেছিল বিএনপি। এছাড়াও বিক্ষোভ, মানববন্ধন, সমাবেশসহ নানা কর্মসূচি পালন করছে দলটি।