খুরশিদ আলম শাওন, রানীশংকৈল প্রতিনিধিঃ- রাত তখন প্রায় ৯টা পৌরশহরের হ্যালিপ্যাড এলাকার শারীরিক প্রতিবন্ধি আলমগীরের ঘরের দুয়ারে এক টপলা দুম্বার গোশত নিয়ে ডাকাডাকি করছেন একজন অচেনা ব্যক্তি
দরজা খুলে আলমগীরের স্ত্রী কিছুটা মানসিক প্রতিবন্ধি দেখেন একজন কোট টাই পড়া ভদ্র লোক তার দরজার সামনে দাড়িয়ে। এদিকে দরজা খুলতেই এক টপলা দুম্বার গোশত দিয়ে সন্তানদের নিয়ে রেধে খেতে বললেন। কিছুটা হতম্বব অবাক হয়ে তাকিয়ে রইলেন আলমগীরের স্ত্রী ।
বললেন মুই সারাদিন ঘুরনো কেউ মোক গোশত দিলনি তোমা আনে দিলেন,আল্লা তোমার ভাল করবে গে। গতকাল বৃহস্পতিবার এই মহৎ কাজঠি যিনি রাতভোর করে বেড়িয়েছেন তিনি হলেন ঠাকুরগায়ের রানীশংকৈল উপজেলা সহকারী কমিশনার ভুমি সোহাগ চন্দ্র সাহা।
এছাড়াও তিনি জেলখানা পাড়া এলাকার বিধবা শাহেনা,বাকপ্রতিবন্ধি টুনি পাগলিসহ শহর ও গ্রামের প্রায় একাধিক গরিব অসহায় ভ্যান চালক অসচ্ছল পরিবারকে তিনি নিজে এ গোশত বিতরণ করেন।
এছাড়াও শুক্রবার বিকেলে রাঙ্গাটুঙ্গি ইউনাইটেড মহিলা ফুটবল একাডেমির মেয়েদেরও দুম্বার গোশত বিতরন করেছেন। জানা যায়, গতকাল বৃহস্পতিবার সৌদি সরকারের দেওয়া দুম্বার গোশত এ উপজেলায় আসে প্রায় ১০৫ ব্যাগ। এগুলো গরিবদের মধ্যে ভাগ না হয়ে সরাসরি এমপি উপজেলা চেয়ারম্যান মেয়র ইউপি চেয়ারম্যান উপজেলা ও থানা প্রশাসন স্থানীয় রাজনৈতিক দলসহ স্বচ্ছল ব্যক্তিদের নামে তালিকা করে থানা চত্র থেকে বিতরন করা হয়।
বিতরনের সময় এসিল্যান্ড ভারপ্রাপ্ত ইউএনও হিসেবে দায়িত্বে থাকায় তিনি প্রশাসনের নামে বরাদ্দকৃত গোশতগুলো গরিব অসহায় অস্বচ্ছল ব্যক্তিদের বাড়ী বাড়ী গিয়ে নিজে বিতরন করেন। যা সচেতন মহলে বড় প্রশংসনীয় হয়েছে।
এসিল্যান্ড বর্তমান ভারপ্রাপ্ত ইউএনও সোহাগ চন্দ্র সাহা বলেন,আসলে গরিব অসহায় অস্বচ্ছল মানুষদের একটু সহযোগিতা করতে পারলে নিজের কাছে অনেক আনন্দ লাগে তাই অফিসের কাজ শেষে দুম্বার গোশত দিতে পেরে আমি আনন্দিত।
এ প্রসঙ্গে রানীশংকৈল ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষ তাজুল ইসলাম বলেন, এসিল্যান্ডের মত আমাদের সমাজের সকলের পর্যায়ে নেতৃবৃন্দ সহ প্রশাসন লোকদের এমন সহানুভতিশীল হওয়া উচিত। তবে মানুষ তাদের ন্যায্য অধিকার পাবে।
সংবাদ শিরোনাম
দুম্বার গোশত নিয়ে অস্বচ্ছলদের বাড়ীতে এসিল্যান্ড
- সংবাদ সারাদিন ডেস্ক :
- আপডেট টাইম ১০:১৫:৩৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ ডিসেম্বর ২০১৭
- ৭৪৮ বার
Tag :
জনপ্রিয় সংবাদ