ঢাকা ১০:০২ অপরাহ্ন, শনিবার, ০৮ মার্চ ২০২৫, ২৪ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
সংবাদকর্মী মামুনের ওপর হামলার প্রতিবাদে সাংবাদিকদের অবস্থান কর্মসূচী, সন্ত্রাশীকে দল থেকে বহিষ্কার অনলাইন বই বাজার: ঘরে বসেই যে ১০ ওয়েবসাইট থেকে কিনতে পারেন পছন্দের বই পদোন্নতি পেয়ে সচিব হলেন সাত কর্মকর্তা স্টারলিংক এলে আর কেউ ইন্টারনেট বন্ধ করতে পারবে না: শফিকুল আলম গণঅভ্যুত্থানের প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নে মাঠে থেকে কাজ করতেই পদত্যাগ করেছি: নাহিদ পীরগঞ্জে জাতীয় স্থানীয় সরকার দিবস পালিত ১৭ লাখ মৃত ভোটার কবর থেকে ভোট দিয়েছে : সিইসি দেশ টিভির এমডি আরিফ গ্রেপ্তার চ্যানেল ওয়ান সম্প্রচারে বাধা নেই : আপিল বিভাগ স্বাধীন, বস্তুনিষ্ঠ ও শক্তিশালী গণমাধ্যম গড়ার লক্ষ্যে কাজ করছে কমিশন- গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের প্রধান কামাল আহমেদ

মাহফুজ উল্লাহর মরদেহ ঢাকায়, বিকালে দাফন

সারাদিন ডেস্ক::প্রয়াত বর্ষীয়ান সাংবাদিক মাহফুজ উল্লাহর মরদেহ ব্যাংকক থেকে দেশে আনা হয়েছে। শনিবার দিনগত রাত ১২টা ৪৫ মিনিটে থাই এয়ারওয়েজের একটি ফ্লাইটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এসে পৌঁছায় তার মরদেহ।

রবিবার জোহরের নামাজের পর গ্রিনরোড ডরমিটরি মসজিদে তার প্রথম জানাজা হবে। আর দ্বিতীয় জানাজা হবে এ দিন আসরের নামাজের পর জাতীয় প্রেস ক্লাবে। এরপর মরহুমের ইচ্ছা অনুযায়ী তাকে বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে সমাহিত করা হবে।

শনিবার সকাল ১০টার দিকে (ব্যাংকক সময় ১১টা ৫ মিনিট) ব্যাংককের বামরুনগ্রাদ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

কার্ডিয়াক সমস্যার কারণে গত ২ এপ্রিল মাহফুজ উল্লাহকে দেশের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। তার ফুসফুসে পানি জমে। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য ১০ এপ্রিল তাকে ব্যাংককে নেয়া হয়। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৬৯ বছর।

মাহফুজ উল্লাহ ছাত্রজীবনে বাম রাজনীতি করতেন। ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছেন। ছাত্র অবস্থায় সাংবাদিকতা পেশায় যুক্ত হন। ১৯৭২ সাল থেকে সাপ্তাহিক বিচিত্রায় কাজ করেন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৭২ সালে পদার্থবিদ্যায় স্নাতকোত্তর ও ১৯৭৪ সালে সাংবাদিকতায় পুনরায় স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। কলকাতায় বাংলাদেশ উপ-দূতাবাসে কাজ করেন। এছাড়া তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগে খণ্ডকালীন শিক্ষক হিসেবে শিক্ষকতা করেন। তিনি সেন্টার ফর সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট নামে একটি পরিবেশবাদী সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদকও ছিলেন।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এ সিনেট সদস্যের রাজনীতি উন্নয়ন ও পরিবেশ বিষয়ে বাংলা ও ইংরেজি ভাষায় লেখা বইয়ের সংখ্যা পঞ্চাশের বেশি।

গত বছরের নভেম্বরে মাহফুজ উল্লাহ বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জীবনীগ্রন্থ লেখেন, যার নাম ‘বেগম খালেদা জিয়া: হার লাইফ হার স্টোরি’।  এছাড়াও তার উল্লেখযোগ্য বইয়ের মধ্যে রয়েছে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি জিয়া: রাজনৈতিক জীবনী, যাদুর লাউ, যে কথা বলতে চাই, অভ্যুত্থানের ঊনসত্তর, পূর্ব পাকিস্তান ছাত্র ইউনিয়ন: গৌরবের দিনলিপি (১৯৫২-৭১), উলফা অ্যান্ড দ্য ইনসারজেন্সি ইন আসাম।

তার বাবা শিক্ষাবিদ মরহুম হাবিবুল্লাহ ও মাতা মরহুমা ফয়জুননিসা বেগম। তৎকালীন ভারতের কমিউনিস্ট পার্টির অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা কমরেড মোজাফফর আহমদের নাতি সাংবাদিক মাহফুজ উল্লাহ।

Tag :

ভিডিও

এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

Azam Rehman

জনপ্রিয় সংবাদ

সংবাদকর্মী মামুনের ওপর হামলার প্রতিবাদে সাংবাদিকদের অবস্থান কর্মসূচী, সন্ত্রাশীকে দল থেকে বহিষ্কার

মাহফুজ উল্লাহর মরদেহ ঢাকায়, বিকালে দাফন

আপডেট টাইম ০১:১৫:৫৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৮ এপ্রিল ২০১৯

সারাদিন ডেস্ক::প্রয়াত বর্ষীয়ান সাংবাদিক মাহফুজ উল্লাহর মরদেহ ব্যাংকক থেকে দেশে আনা হয়েছে। শনিবার দিনগত রাত ১২টা ৪৫ মিনিটে থাই এয়ারওয়েজের একটি ফ্লাইটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এসে পৌঁছায় তার মরদেহ।

রবিবার জোহরের নামাজের পর গ্রিনরোড ডরমিটরি মসজিদে তার প্রথম জানাজা হবে। আর দ্বিতীয় জানাজা হবে এ দিন আসরের নামাজের পর জাতীয় প্রেস ক্লাবে। এরপর মরহুমের ইচ্ছা অনুযায়ী তাকে বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে সমাহিত করা হবে।

শনিবার সকাল ১০টার দিকে (ব্যাংকক সময় ১১টা ৫ মিনিট) ব্যাংককের বামরুনগ্রাদ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

কার্ডিয়াক সমস্যার কারণে গত ২ এপ্রিল মাহফুজ উল্লাহকে দেশের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। তার ফুসফুসে পানি জমে। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য ১০ এপ্রিল তাকে ব্যাংককে নেয়া হয়। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৬৯ বছর।

মাহফুজ উল্লাহ ছাত্রজীবনে বাম রাজনীতি করতেন। ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছেন। ছাত্র অবস্থায় সাংবাদিকতা পেশায় যুক্ত হন। ১৯৭২ সাল থেকে সাপ্তাহিক বিচিত্রায় কাজ করেন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৭২ সালে পদার্থবিদ্যায় স্নাতকোত্তর ও ১৯৭৪ সালে সাংবাদিকতায় পুনরায় স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। কলকাতায় বাংলাদেশ উপ-দূতাবাসে কাজ করেন। এছাড়া তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগে খণ্ডকালীন শিক্ষক হিসেবে শিক্ষকতা করেন। তিনি সেন্টার ফর সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট নামে একটি পরিবেশবাদী সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদকও ছিলেন।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এ সিনেট সদস্যের রাজনীতি উন্নয়ন ও পরিবেশ বিষয়ে বাংলা ও ইংরেজি ভাষায় লেখা বইয়ের সংখ্যা পঞ্চাশের বেশি।

গত বছরের নভেম্বরে মাহফুজ উল্লাহ বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জীবনীগ্রন্থ লেখেন, যার নাম ‘বেগম খালেদা জিয়া: হার লাইফ হার স্টোরি’।  এছাড়াও তার উল্লেখযোগ্য বইয়ের মধ্যে রয়েছে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি জিয়া: রাজনৈতিক জীবনী, যাদুর লাউ, যে কথা বলতে চাই, অভ্যুত্থানের ঊনসত্তর, পূর্ব পাকিস্তান ছাত্র ইউনিয়ন: গৌরবের দিনলিপি (১৯৫২-৭১), উলফা অ্যান্ড দ্য ইনসারজেন্সি ইন আসাম।

তার বাবা শিক্ষাবিদ মরহুম হাবিবুল্লাহ ও মাতা মরহুমা ফয়জুননিসা বেগম। তৎকালীন ভারতের কমিউনিস্ট পার্টির অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা কমরেড মোজাফফর আহমদের নাতি সাংবাদিক মাহফুজ উল্লাহ।