নিজস্ব প্রতিবেদক: বাংলাদেশ ছাত্রলীগের বর্তমান কমিটি ভেঙে দেওয়ার বিষয়ে গতকালকের মনোনয়ন বোর্ডের যৌথসভায় চূড়ান্ত কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
রবিবার (৮ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে বাংলাদেশে নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত আর্ল রবার্ট মিলারের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ছাত্রলীগের কিছু কর্মকাণ্ডে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ক্ষোভ থাকতে পারে। তবে গতকালকের মনোনয়ন বোর্ডের যৌথসভায় কমিটি ভেঙে দেয়ার বিষয়ে কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি।
তিনি বলেন, গতকাল গণভবনের বৈঠকটি ছাত্রলীগের কমিটি ভেঙে দেওয়া সংক্রান্ত ছিল না। তাই এ বিষয়ে কি আলোচনা হয়েছে, সেটি বাস্তবায়ন না হওয়া পর্যন্ত বলা ঠিক হবে না।
ছাত্রলীগের কমিটি ভেঙে দেওয়া নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নির্দিষ্ট করে কিছু বলেননি বলে দাবি জানিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, তাদের কিছু কর্মকাণ্ড নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর ক্ষোভ থাকতেই পারে।
গতকাল বৈঠকে উপস্থিত এক নেতা বলেন, বৈঠক শেষে ছাত্রলীগের সাবেক দুই নেতা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক ও আব্দুর রহমানের সঙ্গে ছাত্রলীগ প্রসঙ্গে প্রায় ১০ মিনিট কথা বলেন শেখ হাসিনা।
মনোনয়ন বোর্ডের যৌথ সভা শেষে আওয়ামী লীগের নেতারা জানান, বিভিন্ন মাধ্যমে ছাত্রলীগ নেতাদের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ পেয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। আর তাতে ছাত্রলীগের বর্তমান শীর্ষ নেতাদের ওপর তিনি ভীষণ ক্ষুব্ধ হয়ে কমিটি ভেঙে দিতে বলেছেন।
ছাত্রলীগের সাংগঠনিক নেত্রী শেখ হাসিনাকে উদ্ধৃতি দিয়ে ওই নেতারা বলেন, ‘আমি ছাত্রলীগের এমন নেতা চাই না, যাদের বিরুদ্ধে মাদকের অভিযোগ পর্যন্ত উঠেছে।’
আওয়ামী লীগের নেতারা আরও জানান, ছাত্রলীগের ওপর প্রধানমন্ত্রীর ক্ষোভের মাত্রা এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে, সভাপতি রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন ও সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানী গণভবনে তার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে গেলেও দেখা দেননি তিনি।
উপস্থিত কেন্দ্রীয় নেতারা তখন দুজনকে গণভবন থেকে চলে যেতে বলেন। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের গণভবন থেকে বেরিয়ে যাওয়ার সময় ছাত্রলীগের দুই নেতাকে সামনে পেয়ে সবার সামনেই ‘বকাঝকা’ করেন। তিনি বলেন, ‘চলে যাও এখান থেকে।’ পরে ছাত্রলীগের দুই নেতাই বেরিয়ে যান।