জিম্বাবুয়েতে সেনাবাহিনীর ক্ষমতা দখল এবং প্রেসিডেন্ট রবার্ট মুগাবেকে ‘গৃহবন্দী’ করার বিষয়টি সেনা অভ্যুত্থানের মতো বলে জানিয়েছে আফ্রিকান ইউনিয়ন (এইউ)।
এদিকে মুগারের স্ত্রী গ্রেস মুগাবে জিম্বাবুয়ে ছেড়ে পালিয়েছেন বলে বিভিন্ন সূত্রে বলা হচ্ছে। ব্রিটিশ গণমাধ্যম ইন্ডিপেনডেন্ট বলেছে, গ্রেস মুগাবে পালিয়ে নামিবিয়া গেছেন। তবে দেশটির একটি সংবাদপত্রের মালিক টুইটে জানিয়েছে, প্রেসিডেন্টের স্ত্রী এখন রাজধানী হারারেতেই আছেন।
আঞ্চলিক এই সংস্থার প্রধান আলফা কন্ডে বলেছেন, দেশটিরতে অবিলম্বে সংবিধান পুনঃপ্রতিষ্ঠার দাবি জানিয়েছে এইউ।
যদিও কোন ধরণের অভ্যুত্থানের অভিযোগ নাকচ করে জিম্বাবুয়ের সেনাবাহিনী বলছে, মুগাবে নিরাপদে আছেন এবং প্রেসিডেন্টকে ঘিরে থাকা অপরাধীদের শায়েস্তা করতেই এই অভিযান।
তবে এখন মুগাবের স্থলাভিষিক্ত কে হবে, তা নিয়ে বিভক্তি দেখা দিয়েছে। ভাইস প্রেসিডেন্ট এমারসন নানগাগওয়াকে এত দিন মুগাবের উত্তরসূরি ভাবা হচ্ছিল। কিন্তু ৯৩ বছর বয়সী মুগাবে সম্প্রতি তার স্ত্রী গ্রেস মুগাবেকে উত্তরসূরি করার পরিকল্পনা করেন।
এই প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে তিনি গত সপ্তাহে বরখাস্ত করেন নানগাগওয়াকে। দেশটির সেনাবাহিনীর কাছে আবার বেশ জনপ্রিয় নানগাগওয়া। তাই মুগাবের সিদ্ধান্তে ক্ষুব্ধ হয় সেনাবাহিনী।
যুক্তরাজ্যের কাছ থেকে স্বাধীনতা পাবার পর থেকেই, ১৯৮০ সাল থেকেই রাষ্ট্র ক্ষমতায় ছিলেন মুগাবে।
জিম্বাবুয়ের এই রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে সকল পক্ষকে সংযম প্রদর্শনের জন্য আহ্বান জানিয়েছেন জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস। সূত্র: বিবিসি