ডিজিটাল:: বিএনপি-কে নির্বাচনে শামিল করতে এবার আন্তর্জাতিক মহলের চাপ আছে। বিএনপিকে ছাড়া নির্বাচন হলে সেই নির্বাচনের বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে যে প্রশ্ন উঠবে তা বুঝে গেছে সরকার। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দ্য ওয়াল এর এক প্রতিবেদনে এমন মন্তব্য করে আরো বলা হয়েছেঃ
ভারতের মতোই বাংলাদেশে রাষ্ট্রপতি দেশের সাংবিধানিক প্রধান হলেও তার রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক ক্ষমতা সীমিত। ক্ষমতা কুক্ষিগত সরকারের হাতে। তবে অতীতে বাংলাদেশে রাজনৈতিক সংকটে একাধিক রাষ্ট্রপতি মধ্যস্থতার ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়ে প্রশংসা কুড়িয়েছেন। আবার সরকারের বিরাগভাজন হওয়ার নজিরও রয়েছে। বাংলাদেশের নতুন রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন চুপ্পু এমন এক সময় শপথ নিলেন যখন সে দেশে জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘিরে রাজনীতি বেশ উত্তপ্ত। বিরোধী দলগুলো রাজপথে। তার মধ্যে প্রধান বিরোধী দল বিএনপি শেখ হাসিনা সরকারের পদত্যাগ দাবি করে রাজনৈতিক সংঘাত তুঙ্গে নিয়ে গেছে। দলটি অন্তবর্তী সরকারের অধীনে নির্বাচন দাবি করেছে, যার সংস্থান বাংলাদেশের সংবিধানে নেই।
দ্য ওয়াল এর প্রতিবেদনে বলা হয়েছেঃ অতীতে দুই বার নির্বাচন বয়কট করা বিএনপি-কে নির্বাচনে শামিল করতে এবার আন্তর্জাতিক মহলের চাপ আছে। দেশেও চাপের মুখে শেখ হাসিনা সরকার। বিএনপিকে ছাড়া নির্বাচন হলে সেই নির্বাচনের বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে যে প্রশ্ন উঠবে তা বুঝে গেছে সরকার। এই পরিস্থিতিতে নতুন রাষ্ট্রপতিকে মধ্যস্থতার ভূমিকায় সরকার চাইবে কিনা বা তিনি নিজে এমন উদ্যোগ নেন কিনা তা নিয়ে কৌতুহল থাকবে।
প্রতিবেদনে বলা হয়ঃ বাংলাদেশের নতুন রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন সদ্য সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের মতোই একজন মুক্তিযোদ্ধা। তবে হামিদ ছিলেন পুরোমাত্রায় রাজনীতিক, সাতবারের সংসদ সদস্য, সংসদের স্পিকার, ডেপুটি স্পিকার, বিরোধী দলীয় উপনেতা।