ঢাকা ১১:১৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সমাজ উন্নয়নে অসামান্য অবদান রাখায় ঠাকুরগাঁও জেলায় শ্রেষ্ঠ জয়িতা হয়েছেন রিপা

আজম রেহমান,সারাদিন ডেস্ক:: সমাজ উন্নয়নে অসামান্য অবদান রাখার স্বীকৃতি স্বরুপ ২০১৮ ইং সালে ঠাকুরগাঁও জেলার শ্রেষ্ট জয়িতার সম্মাননা পেয়েছেন পীরগঞ্জের মানবাধিকার কর্মী নাহিদ পারভিন রিপা। ঠাকুরগাঁও জেলা প্রশাসন ও জেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা গনপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে ৯ ডিসেম্বর আন্তর্জাতিক নারী নির্যাতন প্রতিরোধ দিবসে এই সম্মাননা ও ক্রেষ্ট প্রদান করেন।
এর আগে একইদিন সকাল ১০টায় পীরগঞ্জ উপজেলা পরিষদ হলরুমে উপজেলা পর্যায়ে ১ম স্থান অধিকার করায় উপজেলা প্রশাসনও তাকে সম্মাননা ও ক্রেষ্ট প্রদান করেন। নাহিদ পারভিন রিপা একজন মানবাধিকার কর্মী। বাংলাদেশ নারী নির্যাতন প্রতিরোধ কল্যান সোসাইটি, পীরগঞ্জ উপজেলা শাখার সাধারন সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন ববেশ কয়েকবছর ধরে। শহরের মুন্সিপাড়ায় তার বসবাস। বাল্যবিয়ের শিকার রিপা ২ কন্যা সন্তানের জননী। বিয়ের কয়েক বছরের মাথায় স্বামীর মৃত্যুর পর তিনি অসহায় অবস্থার মধ্য দিয়ে পৈত্রিক বাড়ীতে থেকে নানামুখী সংগ্রামের মধ্য দিয়ে জীবিকা নির্বাহ করেন এবং স্তানদের প্রতিপালন শেষে বিয়ে দেন। নিজের বহুমুখী কষ্ঠ যন্ত্রনাকে ছাপিয়ে রিপা সমাজের অবহেলিত নির্যাতিত মানুষগুলোর দিকে সহায়তার হাত বাড়াতে থাকেন ৪ বছর আগে। অসহায় মানুষের বিপদে আপদে পাশে দ্বাড়াতে থাকেন। নিজে বাল্য বিয়ের শিকার হওয়ায় এলাকার বাল্য বিয়ে বন্ধে তৎপর হয়ে ওঠেন। স্থানীয় প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিদের সহায়তায় সফলতাও পান। পরবর্তীতে তার কাজ-কর্মে সন্তুষ্ঠ হয়ে পীরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এডাব্লিউএম রায়হান শাহ সমাজ বিরোধী বিভিন্ন কাজে তাকে সহযোগীতা করতে থাকেন। গত ১ বছরে কমপক্ষে ১০ টি বাল্য বিয়ে বন্ধ করতে সক্ষম হন। সপ্তদশি এক তরুনীর পিতৃ পরিচয় প্রতিষ্ঠা করতে সক্ষম হন। এমনি অনেক সামাজিক কাজের উদাহরন সৃষ্টি করেন রিপা। এসব কাজে জড়িয়ে অনেক সময় প্রভাবশালীদের রক্ত চক্ষুর মুখোমুখিও হন তিনি। তবু থেমে থাকেনি তার সেবামূলক কাজ।
সমাজের যে কোন ধরনের ান্যয় বা অসঙ্গতি, কুসংস্কার ধর্মান্ধতা দূর করার ক্ষেত্রে যে নারী নানাবিধ সফল উদ্যোগ নিয়েছেন এবং সমাজ গঠনে প্রশংসনীয় অবদান রেখেছেন তিনি নাহিদ পারভিন রিপা। এই অসামান্য অবদানের জন্য ২০১৮ সালের ‘জয়িতা অন্বেষন বাংলাদেশ’ কর্মসূচীতে ৫ টি ক্যাটাগরীর ঙ নং ‘সমাজ উন্নয়নে অসামান্য অবদান রেখেছেন যে নারী’ ক্যাটাগরীতে উপজেলা ও জেলা পর্যায়ে মনোনীত হয়েছেন। উপজেলা ও জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে জয়িতা এই নারীকে সম্বর্ধনাদা, ক্রেষ্ট ও সনদপত্র প্রদান করা হয়েছে। সম্মাননা পেয়ে অত্যন্ত খুশি রিপা। তিনি বলেন, ভাল কাজের ভাল স্বীকৃতি কাজের গতি বাড়ায়। তিনি সমাজ সেবায় নিজেকে আরো বেশি করে উৎসর্গ করবেন বলে মতামত দেন।

ভিডিও

এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

Azam Rehman

জনপ্রিয় সংবাদ

সমাজ উন্নয়নে অসামান্য অবদান রাখায় ঠাকুরগাঁও জেলায় শ্রেষ্ঠ জয়িতা হয়েছেন রিপা

আপডেট টাইম ০৯:১৮:২৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ ডিসেম্বর ২০১৮

আজম রেহমান,সারাদিন ডেস্ক:: সমাজ উন্নয়নে অসামান্য অবদান রাখার স্বীকৃতি স্বরুপ ২০১৮ ইং সালে ঠাকুরগাঁও জেলার শ্রেষ্ট জয়িতার সম্মাননা পেয়েছেন পীরগঞ্জের মানবাধিকার কর্মী নাহিদ পারভিন রিপা। ঠাকুরগাঁও জেলা প্রশাসন ও জেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা গনপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে ৯ ডিসেম্বর আন্তর্জাতিক নারী নির্যাতন প্রতিরোধ দিবসে এই সম্মাননা ও ক্রেষ্ট প্রদান করেন।
এর আগে একইদিন সকাল ১০টায় পীরগঞ্জ উপজেলা পরিষদ হলরুমে উপজেলা পর্যায়ে ১ম স্থান অধিকার করায় উপজেলা প্রশাসনও তাকে সম্মাননা ও ক্রেষ্ট প্রদান করেন। নাহিদ পারভিন রিপা একজন মানবাধিকার কর্মী। বাংলাদেশ নারী নির্যাতন প্রতিরোধ কল্যান সোসাইটি, পীরগঞ্জ উপজেলা শাখার সাধারন সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন ববেশ কয়েকবছর ধরে। শহরের মুন্সিপাড়ায় তার বসবাস। বাল্যবিয়ের শিকার রিপা ২ কন্যা সন্তানের জননী। বিয়ের কয়েক বছরের মাথায় স্বামীর মৃত্যুর পর তিনি অসহায় অবস্থার মধ্য দিয়ে পৈত্রিক বাড়ীতে থেকে নানামুখী সংগ্রামের মধ্য দিয়ে জীবিকা নির্বাহ করেন এবং স্তানদের প্রতিপালন শেষে বিয়ে দেন। নিজের বহুমুখী কষ্ঠ যন্ত্রনাকে ছাপিয়ে রিপা সমাজের অবহেলিত নির্যাতিত মানুষগুলোর দিকে সহায়তার হাত বাড়াতে থাকেন ৪ বছর আগে। অসহায় মানুষের বিপদে আপদে পাশে দ্বাড়াতে থাকেন। নিজে বাল্য বিয়ের শিকার হওয়ায় এলাকার বাল্য বিয়ে বন্ধে তৎপর হয়ে ওঠেন। স্থানীয় প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিদের সহায়তায় সফলতাও পান। পরবর্তীতে তার কাজ-কর্মে সন্তুষ্ঠ হয়ে পীরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এডাব্লিউএম রায়হান শাহ সমাজ বিরোধী বিভিন্ন কাজে তাকে সহযোগীতা করতে থাকেন। গত ১ বছরে কমপক্ষে ১০ টি বাল্য বিয়ে বন্ধ করতে সক্ষম হন। সপ্তদশি এক তরুনীর পিতৃ পরিচয় প্রতিষ্ঠা করতে সক্ষম হন। এমনি অনেক সামাজিক কাজের উদাহরন সৃষ্টি করেন রিপা। এসব কাজে জড়িয়ে অনেক সময় প্রভাবশালীদের রক্ত চক্ষুর মুখোমুখিও হন তিনি। তবু থেমে থাকেনি তার সেবামূলক কাজ।
সমাজের যে কোন ধরনের ান্যয় বা অসঙ্গতি, কুসংস্কার ধর্মান্ধতা দূর করার ক্ষেত্রে যে নারী নানাবিধ সফল উদ্যোগ নিয়েছেন এবং সমাজ গঠনে প্রশংসনীয় অবদান রেখেছেন তিনি নাহিদ পারভিন রিপা। এই অসামান্য অবদানের জন্য ২০১৮ সালের ‘জয়িতা অন্বেষন বাংলাদেশ’ কর্মসূচীতে ৫ টি ক্যাটাগরীর ঙ নং ‘সমাজ উন্নয়নে অসামান্য অবদান রেখেছেন যে নারী’ ক্যাটাগরীতে উপজেলা ও জেলা পর্যায়ে মনোনীত হয়েছেন। উপজেলা ও জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে জয়িতা এই নারীকে সম্বর্ধনাদা, ক্রেষ্ট ও সনদপত্র প্রদান করা হয়েছে। সম্মাননা পেয়ে অত্যন্ত খুশি রিপা। তিনি বলেন, ভাল কাজের ভাল স্বীকৃতি কাজের গতি বাড়ায়। তিনি সমাজ সেবায় নিজেকে আরো বেশি করে উৎসর্গ করবেন বলে মতামত দেন।