ঢাকা ১২:১৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম

গণতন্ত্র সংকুচিত করে সামনে এগোনো যায় না: মেনন

সারাদিন ডেস্ক:: বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি ও সমাজকল্যাণমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন বলেছেন, উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখার জন্য গণতন্ত্র প্রয়োজন। গণতন্ত্র সংকুচিত করে কোনো দিন সামনে এগোনো যায় না। এ জন্য গণতান্ত্রিক মূল্যবোধকে সামনে এগিয়ে নিতে হবে।

আজ শনিবার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ২১ দফা দাবিতে ওয়ার্কার্স পার্টি আয়োজিত সমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে রাশেদ খান মেনন এসব কথা বলেন। সমাবেশ উপলক্ষে সারা দেশ থেকে দলটির নেতা-কর্মীরা ঢাকায় আসেন। সমাবেশটি ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউটের পাশের অংশে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে অনুষ্ঠিত হয়। দলের তৃণমূলের কর্মীরা লাল পতাকা ও লাল কাপড় দিয়ে তৈরি হাতুড়ি নিয়ে সমাবেশে যোগ দেন।

মন্ত্রী রাশেদ খান মেনন বলেন, এ বছর জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এ বছরই স্থির হবে যে উন্নয়নের ধারা অব্যাহত থাকবে, নাকি বিএনপি-জামায়াতের দুর্নীতি-লুটপাট-সাম্প্রদায়িকতা ও নৈরাজ্য ফিরে আসবে। এ জন্য ১৪ দলসহ সবার উচিত জাতীয় ঐক্যের মাধ্যমে উন্নয়নের ধারাবাহিকতা বজায় রাখার জন্য মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষের শক্তিকে ক্ষমতায় আনা।

রাশেদ খান মেনন বলেন, বিএনপি বলছে, তাদের দাবি না মানলে তারা নির্বাচনে যাবে না। সংবিধানের নিয়ম অনুযায়ী নির্বাচন হবে। খালেদা জিয়া দুর্নীতির জন্য জেলে গেছেন। তাঁকে ‘রাজনৈতিক শহীদ’ বানানোর চেষ্টা চলছে। তিনি আরও বলেন, খালেদা জিয়ার দুর্নীতির বিচার হয়েছে। জামায়াত এখন কোণঠাসা। সরকার বিএনপি-জামায়াতের ‘কলিজায়’ হাত দিয়েছে। সে জন্য দেশে নতুন করে ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে। সেই ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করতে হলে ১৪ দলের ঐক্য ধরে রাখতে হবে। ঐক্যের মাধ্যমে বিএনপি-জামায়াতের ষড়যন্ত্র পরাজিত করতে হবে।

ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক ও সাংসদ ফজলে হোসেন বাদশা বলেন, বাংলাদেশে নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত মার্শা বার্নিকাট সব দলের অংশগ্রহণের কথা বলছেন। তিনি সব দল বলতে খালেদা জিয়া আর জামায়াতের কথা বলছেন। যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত এ দেশে রাজনীতি করছেন। তিনি আরও বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকেরা তাঁর দেশের প্রেসিডেন্টের কর্মকাণ্ডে নাখোশ। তাই মার্শা বার্নিকাটের উচিত হবে, তাঁর নিজ দেশে গিয়ে নিজের দেশকে সহযোগিতা করা। বাংলাদেশ গণতন্ত্রের জন্য যুদ্ধ করেছে, তাই এখানে অন্য কাউকে গণতন্ত্র শেখাতে হবে না। এ ছাড়া দেশের অর্থ পাচারকারীদের বিচারের দাবি করেন বাদশা। বিএনপি তাদের গঠনতন্ত্রের সাত ধারা পরিবর্তন করায় বিএনপিকে আত্মস্বীকৃত দুর্নীতিবাজ বলে উল্লেখ করেন তিনি।

ওয়ার্কার্স পার্টির পলিটব্যুরোর সদস্য সুশান্ত দাস বলেন, প্রশ্নফাঁসের বিষয়ে শিক্ষামন্ত্রীকে বললে তিনি অস্বীকার করেন। অথচ শিক্ষামন্ত্রীর ডান-বাঁয়ের লোকেরাই প্রশ্নফাঁস করছেন।

পলিটব্যুরোর আরেক সদস্য ইকবাল কবির বলেন, রাষ্ট্র ও প্রশাসনের ছত্রচ্ছায়ায় থেকে দেশে হাজার হাজার কোটি টাকার দুর্নীতি হচ্ছে। ১৪-দলীয় জোট থেকে শুরু করে যার বিরুদ্ধেই দুর্নীতির অভিযোগ উঠুক না কেন, সবার বিচার করতে হবে। সবার বিচার না করা গেলে দুর্নীতির মামলায় খালেদা জিয়ার বিচার প্রশ্নবিদ্ধ হবে।

সমাবেশে ওয়ার্কার্স পার্টির সাবেক সাধারণ সম্পাদক বিমল বিশ্বাস, আনিসুর রহমান মল্লিক, সাংসদ অধ্যাপক ইয়াসীন আলী, টিপু সুলতান, পলিটব্যুরোর সদস্য মোস্তফা লুৎফুল্লাহ, মোনজ সাহা, হাজেরা সুলতানা, মাহমুদুল হাসান, জাতীয় কৃষক সমিতির নেতা নুরুল হাসান প্রমুখ বক্তব্য দেন। সমাবেশে সঞ্চালনা করেন পলিটব্যুরোর সদস্য নুর আহমদ বকুল।

Tag :

ভিডিও

এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

Azam Rehman

জনপ্রিয় সংবাদ

ঠাকুরগাঁয়ে যুবলীগ নেতার পলিথিন কারখানা বন্ধ, মালামাল জব্দ

গণতন্ত্র সংকুচিত করে সামনে এগোনো যায় না: মেনন

আপডেট টাইম ০২:১৫:২১ অপরাহ্ন, রবিবার, ৪ মার্চ ২০১৮

সারাদিন ডেস্ক:: বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি ও সমাজকল্যাণমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন বলেছেন, উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখার জন্য গণতন্ত্র প্রয়োজন। গণতন্ত্র সংকুচিত করে কোনো দিন সামনে এগোনো যায় না। এ জন্য গণতান্ত্রিক মূল্যবোধকে সামনে এগিয়ে নিতে হবে।

আজ শনিবার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ২১ দফা দাবিতে ওয়ার্কার্স পার্টি আয়োজিত সমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে রাশেদ খান মেনন এসব কথা বলেন। সমাবেশ উপলক্ষে সারা দেশ থেকে দলটির নেতা-কর্মীরা ঢাকায় আসেন। সমাবেশটি ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউটের পাশের অংশে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে অনুষ্ঠিত হয়। দলের তৃণমূলের কর্মীরা লাল পতাকা ও লাল কাপড় দিয়ে তৈরি হাতুড়ি নিয়ে সমাবেশে যোগ দেন।

মন্ত্রী রাশেদ খান মেনন বলেন, এ বছর জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এ বছরই স্থির হবে যে উন্নয়নের ধারা অব্যাহত থাকবে, নাকি বিএনপি-জামায়াতের দুর্নীতি-লুটপাট-সাম্প্রদায়িকতা ও নৈরাজ্য ফিরে আসবে। এ জন্য ১৪ দলসহ সবার উচিত জাতীয় ঐক্যের মাধ্যমে উন্নয়নের ধারাবাহিকতা বজায় রাখার জন্য মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষের শক্তিকে ক্ষমতায় আনা।

রাশেদ খান মেনন বলেন, বিএনপি বলছে, তাদের দাবি না মানলে তারা নির্বাচনে যাবে না। সংবিধানের নিয়ম অনুযায়ী নির্বাচন হবে। খালেদা জিয়া দুর্নীতির জন্য জেলে গেছেন। তাঁকে ‘রাজনৈতিক শহীদ’ বানানোর চেষ্টা চলছে। তিনি আরও বলেন, খালেদা জিয়ার দুর্নীতির বিচার হয়েছে। জামায়াত এখন কোণঠাসা। সরকার বিএনপি-জামায়াতের ‘কলিজায়’ হাত দিয়েছে। সে জন্য দেশে নতুন করে ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে। সেই ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করতে হলে ১৪ দলের ঐক্য ধরে রাখতে হবে। ঐক্যের মাধ্যমে বিএনপি-জামায়াতের ষড়যন্ত্র পরাজিত করতে হবে।

ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক ও সাংসদ ফজলে হোসেন বাদশা বলেন, বাংলাদেশে নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত মার্শা বার্নিকাট সব দলের অংশগ্রহণের কথা বলছেন। তিনি সব দল বলতে খালেদা জিয়া আর জামায়াতের কথা বলছেন। যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত এ দেশে রাজনীতি করছেন। তিনি আরও বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকেরা তাঁর দেশের প্রেসিডেন্টের কর্মকাণ্ডে নাখোশ। তাই মার্শা বার্নিকাটের উচিত হবে, তাঁর নিজ দেশে গিয়ে নিজের দেশকে সহযোগিতা করা। বাংলাদেশ গণতন্ত্রের জন্য যুদ্ধ করেছে, তাই এখানে অন্য কাউকে গণতন্ত্র শেখাতে হবে না। এ ছাড়া দেশের অর্থ পাচারকারীদের বিচারের দাবি করেন বাদশা। বিএনপি তাদের গঠনতন্ত্রের সাত ধারা পরিবর্তন করায় বিএনপিকে আত্মস্বীকৃত দুর্নীতিবাজ বলে উল্লেখ করেন তিনি।

ওয়ার্কার্স পার্টির পলিটব্যুরোর সদস্য সুশান্ত দাস বলেন, প্রশ্নফাঁসের বিষয়ে শিক্ষামন্ত্রীকে বললে তিনি অস্বীকার করেন। অথচ শিক্ষামন্ত্রীর ডান-বাঁয়ের লোকেরাই প্রশ্নফাঁস করছেন।

পলিটব্যুরোর আরেক সদস্য ইকবাল কবির বলেন, রাষ্ট্র ও প্রশাসনের ছত্রচ্ছায়ায় থেকে দেশে হাজার হাজার কোটি টাকার দুর্নীতি হচ্ছে। ১৪-দলীয় জোট থেকে শুরু করে যার বিরুদ্ধেই দুর্নীতির অভিযোগ উঠুক না কেন, সবার বিচার করতে হবে। সবার বিচার না করা গেলে দুর্নীতির মামলায় খালেদা জিয়ার বিচার প্রশ্নবিদ্ধ হবে।

সমাবেশে ওয়ার্কার্স পার্টির সাবেক সাধারণ সম্পাদক বিমল বিশ্বাস, আনিসুর রহমান মল্লিক, সাংসদ অধ্যাপক ইয়াসীন আলী, টিপু সুলতান, পলিটব্যুরোর সদস্য মোস্তফা লুৎফুল্লাহ, মোনজ সাহা, হাজেরা সুলতানা, মাহমুদুল হাসান, জাতীয় কৃষক সমিতির নেতা নুরুল হাসান প্রমুখ বক্তব্য দেন। সমাবেশে সঞ্চালনা করেন পলিটব্যুরোর সদস্য নুর আহমদ বকুল।