জানাজায় অংশ নিয়ে শফিউল বারী বাবুর স্মৃতিচারণ করে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর কান্নাজড়িত কন্ঠে বলেন, ‘শফিউল বারী বাবু শুধু স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি ছিলেন না, তিনি ছিলেন বিএনপির প্রাণ। তাকে হারিয়ে দলের যে অপূরণীয় ক্ষতি হল এটি পূরণ হবার নয়। সারাদেশে অসংখ্য নেতাকর্মী তার হাতে তৈরি হয়েছে। বাবুকে হারিয়ে আমরা আমাদের একটি অমূল্য সম্পদকে হারালাম।’
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘আন্দোলন-সংগ্রামে তার ভূমিকা ছিল সামনের কাতারে। তিনি এমন এক সময়ে আমাদের ছেড়ে চলে গেলেন, যখন মহামারি করোনার কারণে সারা বিশ্বের মানুষের জীবন স্থবির হয়ে পড়েছে, অপরদিকে আমাদের দেশে ফ্যাসিবাদী শাসনের যাঁতাকলে নিষ্পেষিত হচ্ছে দেশের সাধারণ মানুষ।’
জানাজায় অংশগ্রহণ করেন- দলটির ভাইস চেয়ারম্যান মোহাম্মদ শাহজাহান, এজেডএম জাহিদ হোসেন, বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা হাবিবুর রহমান হাবিব, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, হাবিব-উন-নবী খান সোহেল, যুবদলের সভাপতি সাইফুল আলম নীরব, কৃষক দলের সদস্য সচিব কৃষিবিদ হাসান জাফির তুহিন, বিএনপির তথ্যবিষয়ক সম্পাদক আজিজুল বারী হেলাল, স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর সরাফত আলী সপু, সহ-জলবায়ুবিষয়ক সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান বাবুল, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আবদুস সালাম আজাদ, যুবদলের সাধারণ সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কাদের ভূঁইয়া জুয়েল, নির্বাহী কমিটির সদস্য সালাউদ্দিন ভূইয়া শিশির, কৃষকদলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য মাইনুল ইসলাম, তাঁতী দলের যুগ্ম-আহ্বয়ক ড.কাজী মনিরুজ্জামান মনির প্রমুখ।
দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী ও স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক আবদুল কাদের ভুঁইয়া জুয়েল ও প্রয়াত বাবুর বড় ভাই সাহেদুল বারীও শফিউল বারীর অবদানের কথা বলতে গিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন
এর আগে মঙ্গলবার ভোর ৪টায় রাজধানীর এ্যাপোলো হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান বিএনপির তরুণ প্রজন্মের নেতা শফিউল বারী বাবু। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৫১ বছর। তিনি দীর্ঘদিন ধরে দুরারোগ্য ব্যাধি ক্যান্সারের সঙ্গে লড়ছিলেন।
মরহুমের দ্বিতীয় নামাজে জানাজা আজ বাদ আসর তার নিজ গ্রাম লক্ষ্মীপুরের রামগতিতে অনুষ্ঠিত হওয়ার পর পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হবে বলে জানা গেছে।