দেশে কোভিড-১৯ এর বিস্তার বাড়তে থাকায় গত ২৬ মার্চ থেকে টানা ৬৬ দিন সাধারণ ছুটির মধ্যে কোনো নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেনি সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি)। তার আগে গত ডিসেম্বর থেকে চাকরিতে নিয়োগের নতুন কোনো বিজ্ঞপ্তিও দেয়নি কমিশন। তবে ৩০ মে সাধারণ ছুটি শেষে জুনের প্রথম সপ্তাহে নন-ক্যাডারে বেশ কয়েকটি নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে পিএসসি। সেখানে বয়সের সর্বোচ্চ সীমা ৩০ বছর নির্ধারণ করে দেয়া হয়েছে গত ১ জুন পর্যন্ত।
সম্প্রতি দেশের একটি অনলাইন গণমাধ্যমকে দেয়া সাক্ষাতকারে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ বলেন, যারা ২৬ মার্চের আগে আবেদন করেছেন তাদের পরীক্ষা যত দেরিতেই হোক না কেন কোনো সমস্যা নেই। দুই বছর পরে পরীক্ষা হলেও তাদের কোনো সমস্যা নেই।
তিনি আরো বলেন, একটা শ্রেণি আছে যারা এরমধ্যে চাকরির বয়স হারিয়ে ফেলেছেন। আমরা এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলাপ করব। এই সঙ্কটের মধ্যে সবাইকেই তো কিছু কিছু প্রণোদনা দেয়া হচ্ছে। যারা চাকরির বয়সটা হারিয়ে ফেলেছেন তাদের জন্য একটা কিছু করা যায় কি না, আমরা সেই চেষ্টা করছি।
এই মহামারীর মধ্যে যাদের সরকারি চাকরির বয়স চলে গেছে প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদন মিললে তাদের ক্ষেত্রে কী হতে পারে সে বিষয়েও একটা ধারণা দেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী। বলেন, বলা যেতে পারে যে, গত ২৫ মার্চ পর্যন্ত বয়স ৩০ বছর হতে হবে বা এ রকম কিছু একটা। তাতে তারা পরীক্ষাগুলো দিতে পারবে। আমরা প্রধানমন্ত্রীর কাছে প্রস্তাব দেব, তিনি সম্মতি দিয়ে দিকনির্দেশনা দিলে আমরা চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেব। তবে এখনও সেই সময় আসেনি, সময় এলে আমরা প্রস্তাব পাঠাব।
এই মহামারীর মধ্যে সরকার সবাইকে মানবিকভাবে দেখছে বলেও মন্তব্য করেন ফরহাদ।
সরকারি চাকরিতে ঢোকার বয়সসীমা বাড়িয়ে ৩৫ বছর করার দাবিতে গত কয়েক বছর ধরেই আন্দোলন করে আসছে বিভিন্ন সংগঠন। তবে শেষ পর্যন্ত তা সরকারের সাড়া পায়নি।
করোনার প্রকোপ কমে গেলে আগামী নভেম্বর মাসে বিসিএসের পরীক্ষাগুলো নেয়া সম্ভব হবে বলে আশা করছেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী। তিনি বলেন, স্থগিত হওয়া সরকারি চাকরির অন্য নিয়োগ পরীক্ষাগুলো কবে নেয়া হবে তা পরিস্থিতির ওপর নির্ভর করবে। কবে সেই পরীক্ষাগুলো নেয়া যাবে এখনই তা বলা যাচ্ছে না।