ঢাকা ০৯:৩৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ভয়ঙ্কর রূপে তিস্তা, প্লাবিত নিম্নাঞ্চল

নীলফামারী প্রতিনিধি:: অতিবৃষ্টি ও উজানের ঢলে নীলফামারীতে আবারও বিপৎসীমা অতিক্রম করেছে তিস্তা নদীর পানি। এতে প্লাবিত হয়েছে নিম্নাঞ্চল; পানিবন্দি হয়ে পড়েছে ১৫টি গ্রামের প্রায় দশ হাজার পরিবার।

বৃহস্পতিবার সকাল থেকে তিস্তা ব্যারাজের ডালিয়া পয়েন্টে বিপৎসীমার ২৭ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে।

ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ সূত্র জানায়, বুধবার সকাল থেকে ডালিয়ায় তিস্তা ব্যারাজ পয়েন্টে নদীর পানি বাড়তে শুরু করে। বেলা ৩টার দিকে সেখানে বিপৎসীমার ১৩ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হয়। সন্ধ্যা ৬টায় বিপৎসীমা অতিক্রম করে ১২ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়, যা রাত ৯টায় আরও ৮ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে ২০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়।

ঝুনাগাছ চাপানি ইউনিয়নের ইউপি চেয়ারম্যান আমিনুর রহমান বলেন, ছাতুনামা ভেন্ডাবাড়ী ও ফরেস্টের চরের ৫ শতাধিক পরিবারের বসতবাড়িতে বন্যার পানি প্রবেশ করেছে। কোথাও কোথাও হাঁটু থেকে কোমর পানিতে তলিয়ে গেছে এসব পরিবারের বসতভিটা। পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে।

ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী রবিউল ইসলাম বলেন, অতিবৃষ্টি ও উজানের ঢলে তিস্তা ব্যারাজ পয়েন্টে বৃহস্পতিবার সকাল ৯টায় নদীর পানি বিপৎসীমার ২৭ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। বন্যা নিয়ন্ত্রণে ব্যারাজের সবকটি গেট খুলে রাখা হয়েছে।

Tag :

ভিডিও

এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

Azam Rehman

জনপ্রিয় সংবাদ

ভয়ঙ্কর রূপে তিস্তা, প্লাবিত নিম্নাঞ্চল

আপডেট টাইম ০১:৪৫:১২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২০
নীলফামারী প্রতিনিধি:: অতিবৃষ্টি ও উজানের ঢলে নীলফামারীতে আবারও বিপৎসীমা অতিক্রম করেছে তিস্তা নদীর পানি। এতে প্লাবিত হয়েছে নিম্নাঞ্চল; পানিবন্দি হয়ে পড়েছে ১৫টি গ্রামের প্রায় দশ হাজার পরিবার।

বৃহস্পতিবার সকাল থেকে তিস্তা ব্যারাজের ডালিয়া পয়েন্টে বিপৎসীমার ২৭ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে।

ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ সূত্র জানায়, বুধবার সকাল থেকে ডালিয়ায় তিস্তা ব্যারাজ পয়েন্টে নদীর পানি বাড়তে শুরু করে। বেলা ৩টার দিকে সেখানে বিপৎসীমার ১৩ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হয়। সন্ধ্যা ৬টায় বিপৎসীমা অতিক্রম করে ১২ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়, যা রাত ৯টায় আরও ৮ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে ২০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়।

ঝুনাগাছ চাপানি ইউনিয়নের ইউপি চেয়ারম্যান আমিনুর রহমান বলেন, ছাতুনামা ভেন্ডাবাড়ী ও ফরেস্টের চরের ৫ শতাধিক পরিবারের বসতবাড়িতে বন্যার পানি প্রবেশ করেছে। কোথাও কোথাও হাঁটু থেকে কোমর পানিতে তলিয়ে গেছে এসব পরিবারের বসতভিটা। পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে।

ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী রবিউল ইসলাম বলেন, অতিবৃষ্টি ও উজানের ঢলে তিস্তা ব্যারাজ পয়েন্টে বৃহস্পতিবার সকাল ৯টায় নদীর পানি বিপৎসীমার ২৭ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। বন্যা নিয়ন্ত্রণে ব্যারাজের সবকটি গেট খুলে রাখা হয়েছে।