ঢাকা ১২:৫৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কোন দেশে যাচ্ছেন খালেদা জিয়া?

নিজস্ব প্রতিবেদক::বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া কোন দেশে চিকিৎসা করাতে যাবেন তা এখনো ঠিক হয়নি। সরকার বিদেশে চিকিৎসার অনুমতি দেয়ার পরেই তিনি এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন। তবে বেগম জিয়া লন্ডন কিংবা সৌদি আরব- এই দুই দেশের যেকোনো একটি দেশে চিকিৎসার জন্য যাবেন।

বিএনপির একটি নির্ভরযোগ্য সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে। গত ২৭ আগস্ট খালেদা জিয়ার মুক্তির মেয়াদ বাড়ানোর জন্য তার ছোট ভাই শামীম ইস্কান্দার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আবেদন করেন। আবেদনের পরে গত ৩ সেপ্টেম্বর সরকার তার সাময়িক মুক্তির মেয়াদ বৃদ্ধি করে। আর আগের শর্তেই বেগম জিয়া এ মুক্তির মেয়াদ বৃদ্ধি করা হয়। অর্থাৎ তিনি বাসা ও দেশে থেকে চিকিৎসা নেবেন।

এরআগে গত ২৫ মার্চ নির্বাহী আদেশে দুর্নীতির দুই মামলায় দণ্ডিত খালেদা জিয়াকে করোনাভাইরাস মহামারীর মধ্যে ছয় মাসের জন্য সাময়িক মুক্তি দেয় সরকার। এরপর থেকে গুলশানে নিজের ভাড়া বাসা ফিরোজায় থেকে ব্যক্তিগত চিকিৎসকদের তত্ত্বাবধায়নে চিকিৎসা নিচ্ছেন তিনি।

এদিকে বিএনপি চেয়ারপারসনের মুক্তিতে বিদেশে না যাওয়ার শর্তকে অমানবিক বলছে তার দল বিএনপি। আর দেশে থেকে চিকিৎসা নেয়ার যে শর্ত বেগম জিয়াকে দেয়া হয়েছে তাও প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে দলটি। তবে সরকার বলছে, বিদেশে নিয়ে চিকিৎসার ব্যাপারে পরিষ্কারভাবে তারা আবেদনে কিছু বলেননি।

তবে খালেদা জিয়া বিদেশে চিকিৎসার বিষয়ে এখন তার পরিবারের পক্ষ থেকে সরকারের সাথে যোগাযোগ করা হচ্ছে। কিন্তু এই বিষয়ে বিএনপির সিনিয়র নেতারা কিছু জানেন না।

চিকিৎসার জন্য খালেদা জিয়া কোন দেশে যাচ্ছেন- এ বিষয়ে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ও তার আইনজীবী দলের সদস্য ব্যারিস্টার মাহবুবউদ্দিন খোকন বাংলাদেশ জার্নালকে বলেন, যেখানে চিকিৎসা ভালো হবে উনি সেখানেই যাবেন। আর সরকার অনুমতি দিলে উনি বিদেশে চিকিৎসার জন্য যাবেন। কিন্তু এ বিষয়ে সর্বশেষ সিদ্ধান্ত নেবেন বেগম খালেদা জিয়া ও তার পরিবারের সদস্যরা।

অন্যদিকে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া চাইলে যুক্তরাজ্যে চিকিৎসা সম্ভব বলে জানিয়েছেন ঢাকায় নিযুক্ত ব্রিটিশ হাইকমিশনার রবার্ট চ্যাটার্টন ডিকসন।

এই বিষয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী বাংলাদেশ জার্নালকে বলেন, এটা তো ভালো কথা। তবে এ বিষয়ে ম্যাডাম (খালেদা জিয়া) এবং তার পরিবার সিদ্ধান্ত নেবেন।

Tag :

ভিডিও

এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

Azam Rehman

কোন দেশে যাচ্ছেন খালেদা জিয়া?

আপডেট টাইম ০১:৫৯:১৬ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৩ অক্টোবর ২০২০
নিজস্ব প্রতিবেদক::বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া কোন দেশে চিকিৎসা করাতে যাবেন তা এখনো ঠিক হয়নি। সরকার বিদেশে চিকিৎসার অনুমতি দেয়ার পরেই তিনি এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন। তবে বেগম জিয়া লন্ডন কিংবা সৌদি আরব- এই দুই দেশের যেকোনো একটি দেশে চিকিৎসার জন্য যাবেন।

বিএনপির একটি নির্ভরযোগ্য সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে। গত ২৭ আগস্ট খালেদা জিয়ার মুক্তির মেয়াদ বাড়ানোর জন্য তার ছোট ভাই শামীম ইস্কান্দার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আবেদন করেন। আবেদনের পরে গত ৩ সেপ্টেম্বর সরকার তার সাময়িক মুক্তির মেয়াদ বৃদ্ধি করে। আর আগের শর্তেই বেগম জিয়া এ মুক্তির মেয়াদ বৃদ্ধি করা হয়। অর্থাৎ তিনি বাসা ও দেশে থেকে চিকিৎসা নেবেন।

এরআগে গত ২৫ মার্চ নির্বাহী আদেশে দুর্নীতির দুই মামলায় দণ্ডিত খালেদা জিয়াকে করোনাভাইরাস মহামারীর মধ্যে ছয় মাসের জন্য সাময়িক মুক্তি দেয় সরকার। এরপর থেকে গুলশানে নিজের ভাড়া বাসা ফিরোজায় থেকে ব্যক্তিগত চিকিৎসকদের তত্ত্বাবধায়নে চিকিৎসা নিচ্ছেন তিনি।

এদিকে বিএনপি চেয়ারপারসনের মুক্তিতে বিদেশে না যাওয়ার শর্তকে অমানবিক বলছে তার দল বিএনপি। আর দেশে থেকে চিকিৎসা নেয়ার যে শর্ত বেগম জিয়াকে দেয়া হয়েছে তাও প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে দলটি। তবে সরকার বলছে, বিদেশে নিয়ে চিকিৎসার ব্যাপারে পরিষ্কারভাবে তারা আবেদনে কিছু বলেননি।

তবে খালেদা জিয়া বিদেশে চিকিৎসার বিষয়ে এখন তার পরিবারের পক্ষ থেকে সরকারের সাথে যোগাযোগ করা হচ্ছে। কিন্তু এই বিষয়ে বিএনপির সিনিয়র নেতারা কিছু জানেন না।

চিকিৎসার জন্য খালেদা জিয়া কোন দেশে যাচ্ছেন- এ বিষয়ে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ও তার আইনজীবী দলের সদস্য ব্যারিস্টার মাহবুবউদ্দিন খোকন বাংলাদেশ জার্নালকে বলেন, যেখানে চিকিৎসা ভালো হবে উনি সেখানেই যাবেন। আর সরকার অনুমতি দিলে উনি বিদেশে চিকিৎসার জন্য যাবেন। কিন্তু এ বিষয়ে সর্বশেষ সিদ্ধান্ত নেবেন বেগম খালেদা জিয়া ও তার পরিবারের সদস্যরা।

অন্যদিকে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া চাইলে যুক্তরাজ্যে চিকিৎসা সম্ভব বলে জানিয়েছেন ঢাকায় নিযুক্ত ব্রিটিশ হাইকমিশনার রবার্ট চ্যাটার্টন ডিকসন।

এই বিষয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী বাংলাদেশ জার্নালকে বলেন, এটা তো ভালো কথা। তবে এ বিষয়ে ম্যাডাম (খালেদা জিয়া) এবং তার পরিবার সিদ্ধান্ত নেবেন।