আন্নি আক্তার নগরীর কাটপট্টি এলাকার বাসিন্দা বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের অস্থায়ী কর্মচারী সামিউল ইসলাম সীমান্তের স্ত্রী।
মৃতের স্বজনরা জানান, দুপুর সাড়ে ৩টায় আন্নিকে প্রসবের জন্য ওই হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে ডা. আফিয়া সুলতানার তত্ত্বাবধানে একটি পুত্র সন্তানের জন্ম দেন আন্নি। রোগী অপরেশন থিয়েটারে থাকতেই চিকিৎসকরা আন্নির স্বজনদের জানান তার জরায়ুতে টিউমার রয়েছে। দ্রুত সেটি অপারেশন করা প্রয়োজন। রোগীর শারীরক অবস্থা ভালো থাকলে টিউমার অপারেশনের জন্য অনুমতি দেন স্বজনরা। একই সাথে শরীরের অবস্থা ভালো না থাকলে অপরেশন করতে নিষেধ করেন।
কিন্তু এরপরে তার শরীরে অবস্থা ভালো জানিয়ে টিউমার অপারেশনের কথা বলেন চিকিৎসকরা। পরে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে চিকিৎসকরা এসে জানান রোগীর অবস্থা সংকটাপন্ন এবং দ্রুত শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পরমর্শ দেন।
দ্রুত হাসপাতালে নেয়া হলে সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক স্বজনদের জানান রোগীর অনেক আগেই মৃত্যু হয়েছে। এই ঘটনায় ক্ষুব্ধ হয়ে স্বজনরা আন্নির লাশ ফের বেঙ্গল হাসপাতালে নিয়ে যান। কিন্তু ঘটনাটি বুঝতে পেরে হাসপাতালের চিকিৎসক ও দায়িত্বরতরা পালিয়ে যান। মৃতের স্বজনরা এই ঘটনার সুষ্ঠু বিচার দাবী করেছেন।
এ বিষয়ে কোতোয়ালী মডেল থানার সহকারি পুলিশ কমিশনার (এসি) মো. রাসেল জানান, ক্লিনিকে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্থরা লিখিত অভিযোগ দিলে তদন্ত সাপেক্ষে ক্লিনিকের বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।