জানা যায়, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতিশ্রুতি ও নির্দেশনা অনুযায়ী প্রত্যেক উপজেলায় একটি করে স্কুল এবং কলেজ সরকারি করা হয়েছে। কলেজ সরকারি হলেও তিন বছরে আত্তীকৃত হয়নি এসব কলেজের প্রায় ২০ হাজার শিক্ষক-কর্মচারী। এরমধ্যে অনেকে অবসরে চলে গেছেন, দেড় হাজার শিক্ষক-কর্মচারী মারা গেছেন। শিক্ষকরা কয়েক দফা আন্দোলন ও আল্টিমেটাম দিয়েও কোনো সুখবর পাননি। অবশেষে উদ্যোগ নিলো শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
তবে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এমন উদ্যোগে আশ্বস্ত হতে পারছেন না শিক্ষকরা। তারা বলছেন, এর আগে এ ধরনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। কিন্তু কার্যকর কিছুই হয়নি। দৃশ্যমান কিছু না হওয়া পর্যন্ত আমরা এসব উদ্যোগে বিশ্বাসী না।
জানা গেছে, গত ২৮ ফ্রেব্রুয়ারি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব মো. মাহবুব হোসেনের সভাপতিত্বে একটি সভা অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে সিদ্ধান্ত হয়, জাতীয়করণ হওয়া কলেজের শিক্ষক-কর্মচারীদের আত্তীকরণ করতে দ্রুত কাগজপত্র যাচাইবাছাই করা হবে। সেজন্য ২০টি টিম কাজ করবে। এসব টিমের কাজ তদারকি করতে অতিরিক্ত সচিবদের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। ছুটির দিনেও কাজ করতে টিমের সঙ্গে জড়িতদের জন্য প্রায় ২৯ লাখ টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়েছে।
এসব টিম আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা অনুযায়ী সরকারি হওয়া ৩০৩টি কলেজের মধ্যে ১৮২টি কলেজের পদ সৃজনের জন্য শিক্ষক-কর্মচারীদের নিয়োগ সংক্রান্ত কাগজপত্র যাচাই বাছাই শেষ করবে। অবশিষ্ট কলেজগুলোর যাচাই কার্যক্রম এরই মধ্যে শেষ হয়েছে।
দ্রুত যাচাই কাজ শেষ করতে গঠিত ২০ টিমের কর্মপরিকল্পনাও নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে। এগুলো হলো- আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে কলেজগুলোর কাগজপত্র যাচাইবাছাই শেষ করা, টিম প্রধানদের স্ব স্ব শাখায় কর্মরত প্রশাসনিক কর্মকর্তা ও কর্মচারী কর্তৃক বাছাই কার্যক্রম শেষে চূড়ান্ত কার্যবিবরণী প্রস্তুত করা, পদ সৃজনের কাজ দ্রুত শেষ করতে এ কার্যক্রমের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সম্মানী প্রদানের লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় অর্থের সংস্থান করার জন্য প্রশাসন ও অর্থ অনুবিভাগকে অনুরোধ করা, তদারককারী কর্মকর্তা কর্তৃক প্রতি সপ্তাহ শেষে তার অধীন টিমের কাজের অগ্রগতি অবহিত করা এবং অত্যাবশ্যক না হলে যাচাই-বাছাই কার্যক্রম শেষ না হওয়া পর্যন্ত কোনো প্রকার ছুটি ভোগ না করা।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব মো. মাহবুব হোসেন বলেন, আমি সচিব হয়ে আসার পর থেকেই এ কাজটি দ্রুত শেষ করার উদ্যোগ নিয়েছি। এর আগে ৫টি করে দিয়েছিলাম। করোনার কারণে গতি একটু কমে গিয়েছিল। আত্তীকৃত কাজটি আরও দ্রুত শেষ করতে ২০টি টিম করে নির্দিষ্ট সময় বেঁধে দিয়েছি।