ঢাকা ১১:২১ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৪ জানুয়ারী ২০২৫, ১১ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
স্বাধীনতাবিরোধী আর ফ্যাসিবাদের দোসরদের দিয়ে গনতন্ত্র পরিপুষ্ট হবেনা- শামসুজ্জামান দুদু মানুষ নতুন নেতৃত্বের জন্য মুখিয়ে আছে- বালিয়াডাঙ্গীর পথসভায়- ফারুক হাসান মোবাইল ইন্টারনেট প্যাকেজ নিয়ে সুখবর দিলো বিটিআরসি ঠাকুরগাওয়ে ৩ দফা দাবীতে চাকুরীচ্যুৎ ও জেলবন্দি বিডিআর পরিবারের মানববন্ধন ৪৩তম বিসিএস: সহকারী কমিশনার হলেন ২৬৭ কর্মকর্তা টিসিবির ট্রাক সেল ফের চালুর দাবি জাতীয় নাগরিক কমিটির বিআরটিএ বন্ধের চিন্তা করা হবে: সড়ক উপদেষ্টা ‘শুল্ক ও করহার বাড়ানো অর্থনীতির জন্য আত্মঘাতী’ ফ্যাসিস্ট শক্তি জয়ী হলে দুই লাখ মানুষকে জেলে যেতে হতো: প্রেস সচিব জাতিকে বিভক্ত করার প্রচেষ্টা রুখতে ঐক্য জরুরি: ফখরুল

সেন্টমার্টিন ও টেকনাফে ঘূর্ণিঝড় মোখার তাণ্ডব

টেকনাফ (কক্সবাজার) প্রতিনিধি::

অতিপ্রবল ঘূর্ণিঝড় মোখা ১০০ কিলোমিটার গতিতে আঘাত হেনেছে সেন্টমার্টিন ও টেকনাফে। চলছে ঘূর্ণিঝড়টির তাণ্ডব। ঝোড়ো বাতাসে  লণ্ড ভণ্ড হয়ে গেছে সেন্টমার্টিন দ্বীপের ঘরবাড়ি ও গাছপালা। অনেক বাড়িঘর উড়িয়ে নিয়ে গেছে। ঝড়ের তাণ্ডবে গাছ পড়ে এক নারীর মৃত্যুর খবরও পাওয়া গেছে । টেকনাফ উপজেলায়ও প্রচণ্ড গতিতে বাতাস বইছে। বড় বড় ঢেউ আছড়ে পড়ছে তীরে। আজ দুপুর থেকে এই তাণ্ডব শুরু হয়। তবে ঘূর্ণিঝড়টির মূল কেন্দ্রের আঘাত শুরু হবে তিনটার দিকে। এরপর কমে আসবে বাতাসের তীব্রতা।

এদিকে সেন্টমার্টিন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান গণমাধ্যমকে জানান,  এই মুহূর্তে সেন্টমার্টিনে বাতাসের গতি প্রচুর।অনেক ঘরবাড়ি উড়িয়ে নিয়ে গেছে। শুনেছি গাছ পড়ে এক নারীর মৃত্যুও হয়েছে। কিন্তু বৈরি পরিবেশের কারণে বাইরে যাওয়ার সুযোগ নেই।

সেন্টমার্টিনের স্থানীয় বাসিন্দা আব্দুল মালেক বলেন, বাতাসের গতি তীব্র থেকে তীব্রতর। সমুদ্রের পানি বাতাসে উড়িয়ে নিচ্ছে। বিচের ভেজা মাটি তুলে নিচ্ছে তীব্র বাতাসে। মানুষের ঘর বাড়ির টিন, ছাউনি, কাঠ, বাঁশ উড়িয়ে নিচ্ছে। বড় বড় গাছ ও নারিকেল গাছ দুমড়ে মুচড়ে পড়েছে। দোকানপাট ভেঙে উড়ে গেছে। পুরো সেন্টমার্টিনে বৃষ্টির পানি ও বাতাসের তীব্রতায় কিছুই দেখা যাচ্ছে না। সব ধোঁয়াশা হয়ে আছে। ঘূর্ণিঝড় মোখা মূল আঘাত মিয়ানমারের চলছে। যে কারণে বাংলাদেশের জন্য অনেকটাই ঝুঁকি কেটে গেছে।
টেকনাফ ২৬ নং রোহিঙ্গা ক্যাম্পে দেখা যায়, প্রচণ্ড বাতাস বইছে।  রোহিঙ্গারা নিজ নিজ ঘরে অবস্থান করে আছে। অনেকে স্কুল মাদরাসায় আশ্রয় নিয়েছে। পাহাড়ের পাদদেশে অবস্থিত ঘরগুলো অতি ঝুঁকিতে রয়েছে। নাফ নদী ও সাগর উত্তাল রূপ ধারণ করেছে। আছড়ে পড়ছে বড় বড় ঢেউ। বাতাসের গতির জন্য বাইরে বের হওয়া অনিরাপদ হয়ে উঠেছে। এখনো কোন ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি।

Tag :

ভিডিও

এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

Azam Rehman

জনপ্রিয় সংবাদ

স্বাধীনতাবিরোধী আর ফ্যাসিবাদের দোসরদের দিয়ে গনতন্ত্র পরিপুষ্ট হবেনা- শামসুজ্জামান দুদু

সেন্টমার্টিন ও টেকনাফে ঘূর্ণিঝড় মোখার তাণ্ডব

আপডেট টাইম ০১:২২:৫৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৫ মে ২০২৩

টেকনাফ (কক্সবাজার) প্রতিনিধি::

অতিপ্রবল ঘূর্ণিঝড় মোখা ১০০ কিলোমিটার গতিতে আঘাত হেনেছে সেন্টমার্টিন ও টেকনাফে। চলছে ঘূর্ণিঝড়টির তাণ্ডব। ঝোড়ো বাতাসে  লণ্ড ভণ্ড হয়ে গেছে সেন্টমার্টিন দ্বীপের ঘরবাড়ি ও গাছপালা। অনেক বাড়িঘর উড়িয়ে নিয়ে গেছে। ঝড়ের তাণ্ডবে গাছ পড়ে এক নারীর মৃত্যুর খবরও পাওয়া গেছে । টেকনাফ উপজেলায়ও প্রচণ্ড গতিতে বাতাস বইছে। বড় বড় ঢেউ আছড়ে পড়ছে তীরে। আজ দুপুর থেকে এই তাণ্ডব শুরু হয়। তবে ঘূর্ণিঝড়টির মূল কেন্দ্রের আঘাত শুরু হবে তিনটার দিকে। এরপর কমে আসবে বাতাসের তীব্রতা।

এদিকে সেন্টমার্টিন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান গণমাধ্যমকে জানান,  এই মুহূর্তে সেন্টমার্টিনে বাতাসের গতি প্রচুর।অনেক ঘরবাড়ি উড়িয়ে নিয়ে গেছে। শুনেছি গাছ পড়ে এক নারীর মৃত্যুও হয়েছে। কিন্তু বৈরি পরিবেশের কারণে বাইরে যাওয়ার সুযোগ নেই।

সেন্টমার্টিনের স্থানীয় বাসিন্দা আব্দুল মালেক বলেন, বাতাসের গতি তীব্র থেকে তীব্রতর। সমুদ্রের পানি বাতাসে উড়িয়ে নিচ্ছে। বিচের ভেজা মাটি তুলে নিচ্ছে তীব্র বাতাসে। মানুষের ঘর বাড়ির টিন, ছাউনি, কাঠ, বাঁশ উড়িয়ে নিচ্ছে। বড় বড় গাছ ও নারিকেল গাছ দুমড়ে মুচড়ে পড়েছে। দোকানপাট ভেঙে উড়ে গেছে। পুরো সেন্টমার্টিনে বৃষ্টির পানি ও বাতাসের তীব্রতায় কিছুই দেখা যাচ্ছে না। সব ধোঁয়াশা হয়ে আছে। ঘূর্ণিঝড় মোখা মূল আঘাত মিয়ানমারের চলছে। যে কারণে বাংলাদেশের জন্য অনেকটাই ঝুঁকি কেটে গেছে।
টেকনাফ ২৬ নং রোহিঙ্গা ক্যাম্পে দেখা যায়, প্রচণ্ড বাতাস বইছে।  রোহিঙ্গারা নিজ নিজ ঘরে অবস্থান করে আছে। অনেকে স্কুল মাদরাসায় আশ্রয় নিয়েছে। পাহাড়ের পাদদেশে অবস্থিত ঘরগুলো অতি ঝুঁকিতে রয়েছে। নাফ নদী ও সাগর উত্তাল রূপ ধারণ করেছে। আছড়ে পড়ছে বড় বড় ঢেউ। বাতাসের গতির জন্য বাইরে বের হওয়া অনিরাপদ হয়ে উঠেছে। এখনো কোন ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি।