ঢাকা ০১:১৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ২ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
দুর্নীতির অভিযোগে পীরগঞ্জ পাইলট স্কুলের প্রধান শিক্ষক বরখাস্ত ড. মো. হারুনুর রশীদ পরিচালিত সেলিনা হোসেনের ‘কাকতাড়ুয়া বুধা’ মুক্তি পেয়েছে ভাল মানুষ থেকেইে ভাল মানুষ তৈরী হয়—ঠাকুরগাঁওয়ে আল-হাসানাহ স্কুলের শিক্ষার্থীদের মাঝে পুরুস্কার বিতরনী অনুষ্ঠানে সাবেক এমপি জাহিদুর রহমান ঠাকুরগাঁয়ে যুবলীগ নেতার পলিথিন কারখানা বন্ধ, মালামাল জব্দ সাগর-রুনি হত্যা মামলা র‌্যাব থেকে তদন্তের দায়িত্ব পিবিআইয়ের কাছে সংস্কারের পরেই নির্বাচন: ড. ইউনূস বশিরউদ্দীন ও ফারুকীকে কার বুদ্ধিতে নিলেন, প্রশ্ন মান্নার ভূমি সেবায় দুর্নীতি-অনিয়মে তাৎক্ষণিক শাস্তির ব্যবস্থা ভোট কারচুপির তদন্ত সাবেক ডিসি-এসপি-ইউএনওদের ঘুম হারাম আসিফ নজরুলকে হেনস্তা,দূতাবাসের কাউন্সেলরকে দেশে ফেরত, চাকরি হারাচ্ছেন স্টাফ

সেন্টমার্টিন ও টেকনাফে ঘূর্ণিঝড় মোখার তাণ্ডব

টেকনাফ (কক্সবাজার) প্রতিনিধি::

অতিপ্রবল ঘূর্ণিঝড় মোখা ১০০ কিলোমিটার গতিতে আঘাত হেনেছে সেন্টমার্টিন ও টেকনাফে। চলছে ঘূর্ণিঝড়টির তাণ্ডব। ঝোড়ো বাতাসে  লণ্ড ভণ্ড হয়ে গেছে সেন্টমার্টিন দ্বীপের ঘরবাড়ি ও গাছপালা। অনেক বাড়িঘর উড়িয়ে নিয়ে গেছে। ঝড়ের তাণ্ডবে গাছ পড়ে এক নারীর মৃত্যুর খবরও পাওয়া গেছে । টেকনাফ উপজেলায়ও প্রচণ্ড গতিতে বাতাস বইছে। বড় বড় ঢেউ আছড়ে পড়ছে তীরে। আজ দুপুর থেকে এই তাণ্ডব শুরু হয়। তবে ঘূর্ণিঝড়টির মূল কেন্দ্রের আঘাত শুরু হবে তিনটার দিকে। এরপর কমে আসবে বাতাসের তীব্রতা।

এদিকে সেন্টমার্টিন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান গণমাধ্যমকে জানান,  এই মুহূর্তে সেন্টমার্টিনে বাতাসের গতি প্রচুর।অনেক ঘরবাড়ি উড়িয়ে নিয়ে গেছে। শুনেছি গাছ পড়ে এক নারীর মৃত্যুও হয়েছে। কিন্তু বৈরি পরিবেশের কারণে বাইরে যাওয়ার সুযোগ নেই।

সেন্টমার্টিনের স্থানীয় বাসিন্দা আব্দুল মালেক বলেন, বাতাসের গতি তীব্র থেকে তীব্রতর। সমুদ্রের পানি বাতাসে উড়িয়ে নিচ্ছে। বিচের ভেজা মাটি তুলে নিচ্ছে তীব্র বাতাসে। মানুষের ঘর বাড়ির টিন, ছাউনি, কাঠ, বাঁশ উড়িয়ে নিচ্ছে। বড় বড় গাছ ও নারিকেল গাছ দুমড়ে মুচড়ে পড়েছে। দোকানপাট ভেঙে উড়ে গেছে। পুরো সেন্টমার্টিনে বৃষ্টির পানি ও বাতাসের তীব্রতায় কিছুই দেখা যাচ্ছে না। সব ধোঁয়াশা হয়ে আছে। ঘূর্ণিঝড় মোখা মূল আঘাত মিয়ানমারের চলছে। যে কারণে বাংলাদেশের জন্য অনেকটাই ঝুঁকি কেটে গেছে।
টেকনাফ ২৬ নং রোহিঙ্গা ক্যাম্পে দেখা যায়, প্রচণ্ড বাতাস বইছে।  রোহিঙ্গারা নিজ নিজ ঘরে অবস্থান করে আছে। অনেকে স্কুল মাদরাসায় আশ্রয় নিয়েছে। পাহাড়ের পাদদেশে অবস্থিত ঘরগুলো অতি ঝুঁকিতে রয়েছে। নাফ নদী ও সাগর উত্তাল রূপ ধারণ করেছে। আছড়ে পড়ছে বড় বড় ঢেউ। বাতাসের গতির জন্য বাইরে বের হওয়া অনিরাপদ হয়ে উঠেছে। এখনো কোন ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি।

Tag :

ভিডিও

এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

Azam Rehman

জনপ্রিয় সংবাদ

দুর্নীতির অভিযোগে পীরগঞ্জ পাইলট স্কুলের প্রধান শিক্ষক বরখাস্ত

সেন্টমার্টিন ও টেকনাফে ঘূর্ণিঝড় মোখার তাণ্ডব

আপডেট টাইম ০১:২২:৫৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৫ মে ২০২৩

টেকনাফ (কক্সবাজার) প্রতিনিধি::

অতিপ্রবল ঘূর্ণিঝড় মোখা ১০০ কিলোমিটার গতিতে আঘাত হেনেছে সেন্টমার্টিন ও টেকনাফে। চলছে ঘূর্ণিঝড়টির তাণ্ডব। ঝোড়ো বাতাসে  লণ্ড ভণ্ড হয়ে গেছে সেন্টমার্টিন দ্বীপের ঘরবাড়ি ও গাছপালা। অনেক বাড়িঘর উড়িয়ে নিয়ে গেছে। ঝড়ের তাণ্ডবে গাছ পড়ে এক নারীর মৃত্যুর খবরও পাওয়া গেছে । টেকনাফ উপজেলায়ও প্রচণ্ড গতিতে বাতাস বইছে। বড় বড় ঢেউ আছড়ে পড়ছে তীরে। আজ দুপুর থেকে এই তাণ্ডব শুরু হয়। তবে ঘূর্ণিঝড়টির মূল কেন্দ্রের আঘাত শুরু হবে তিনটার দিকে। এরপর কমে আসবে বাতাসের তীব্রতা।

এদিকে সেন্টমার্টিন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান গণমাধ্যমকে জানান,  এই মুহূর্তে সেন্টমার্টিনে বাতাসের গতি প্রচুর।অনেক ঘরবাড়ি উড়িয়ে নিয়ে গেছে। শুনেছি গাছ পড়ে এক নারীর মৃত্যুও হয়েছে। কিন্তু বৈরি পরিবেশের কারণে বাইরে যাওয়ার সুযোগ নেই।

সেন্টমার্টিনের স্থানীয় বাসিন্দা আব্দুল মালেক বলেন, বাতাসের গতি তীব্র থেকে তীব্রতর। সমুদ্রের পানি বাতাসে উড়িয়ে নিচ্ছে। বিচের ভেজা মাটি তুলে নিচ্ছে তীব্র বাতাসে। মানুষের ঘর বাড়ির টিন, ছাউনি, কাঠ, বাঁশ উড়িয়ে নিচ্ছে। বড় বড় গাছ ও নারিকেল গাছ দুমড়ে মুচড়ে পড়েছে। দোকানপাট ভেঙে উড়ে গেছে। পুরো সেন্টমার্টিনে বৃষ্টির পানি ও বাতাসের তীব্রতায় কিছুই দেখা যাচ্ছে না। সব ধোঁয়াশা হয়ে আছে। ঘূর্ণিঝড় মোখা মূল আঘাত মিয়ানমারের চলছে। যে কারণে বাংলাদেশের জন্য অনেকটাই ঝুঁকি কেটে গেছে।
টেকনাফ ২৬ নং রোহিঙ্গা ক্যাম্পে দেখা যায়, প্রচণ্ড বাতাস বইছে।  রোহিঙ্গারা নিজ নিজ ঘরে অবস্থান করে আছে। অনেকে স্কুল মাদরাসায় আশ্রয় নিয়েছে। পাহাড়ের পাদদেশে অবস্থিত ঘরগুলো অতি ঝুঁকিতে রয়েছে। নাফ নদী ও সাগর উত্তাল রূপ ধারণ করেছে। আছড়ে পড়ছে বড় বড় ঢেউ। বাতাসের গতির জন্য বাইরে বের হওয়া অনিরাপদ হয়ে উঠেছে। এখনো কোন ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি।