এক্সক্লুসিভ ডেস্ক : সাধারণত চার চাকার যানবাহনে রিভার্স গিয়ার থাকে। কিন্তু মোটরসাইকেলে রিভার্স দেওয়া হয় না। রিভার্স গিয়ারের মাধ্যমে বাহনকে পেছনে চালিয়ে নেওয়া যায়। স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠেছে মোটরসাইকেলে কেন রিভার্স গিয়ার দেওয়া হয় না?
বাইকে যদি রিভার্স গিয়ার থাকত তাহলে কত সুবিধাই না হত। ঠেলে ঠেলে পিছনে নিয়ে যেতে হত না মোটরসাইকেল। যেকোনো রাস্তা, গলিতে সুইচ টিপতেই রিভার্স হতে শুরু করত।
কিন্তু বাইকারদের কাছে এই ইচ্ছা পূরণের আপাতত কোনও জায়গা নেই। কারণ ৯৯ শতাংশ মোটরসাইকেল থাকে না রিভার্স বা ব্যাক গিয়ার।
মোটরসাইকেল একটি কম্প্যাক্ট বাহন। গাড়ির মতো বড় হুইলবেস থাকে না। তাই সেটিকে রিভার্স গিয়ারের মাধ্যমে পিছনে নিয়ে যাওয়ার কোনও অর্থ নেই বলে মনে করে বাইক প্রস্তুতকারক সংস্থাগুলি।
তাছাড়া রিভার্স গিয়ার বাইকে খুব বেশি প্রয়োজনও থাকে না। একমাত্র কেউ যদি ঢালু রাস্তা বা এমনও কোনও জায়গায় বাইক পার্ক করেন। যেখানে পা-হাত দিয়ে ঠেলে রিভার্স করা কঠিন।
কমিউটার মোটরসাইকেল, স্পোর্টস বাইক, ত্রুজারসহ ভিন্ন ধরনের বাইকে থাকে না ব্যাক গিয়ার। কিন্তু এই মোটরবাইকগুলো ওজনে হালকা হওয়ার কারণে উক্ত ফাংশনের দরকার পড়ে না। কিন্তু যে সব বাইকের ওজন অনেক বেশি সেখানে পাওয়া যায় এই সুবিধা।
ভারী ওজনের বাইক বারবার ঠেলে, গায়ের জোর দিয়ে পিছনে নিয়ে যাওয়া কারও পক্ষেই সম্ভব নয়। তার জন্য বিভিন্ন মোটরসাইকেল দেওয়া হয়ে থাকে রিভার্স গিয়ার ফাংশন।
যেমন- হোন্ডা গোল্ড উইং ট্যুর, বিএমডব্লিউ কে১৬০০ এবং বিএমডব্লিউ আর১৮। এসব বাইকে পাবেন রিভার্স গিয়ার।
বিএমডব্লিউ আর১৮ অপশনাল ফাংশন হিসাবে এটি দিয়ে থাকে। এর জন্য থাকে একটি ইলেকট্রিক মোটর। যার সাহায্যে ধীরে ধীরে বাইক রিভার্সে আনা যায়।
এই মোটরগুলো সম্পূর্ণরূপে ব্যাটারির উপর নির্ভরশীল থাকে। তাই আপনি যদি আশা করেন, রিভার্স গিয়ারের মাধ্যমে অনেক দূর যাবেন তাহলে আশাহত হবেন।
স্বল্প সময় বা স্বল্প দূরত্বের জন্যই কাজ করে এই রিভার্স গিয়ার। উক্ত বাইকগুলোর ঠিক ডিজিটাল ইনস্ট্রুমেন্ট কনসোলের নিচেই থাকে একটি সুইচ।
যা প্রেস করে এই ফাংশন ব্যবহার করা যায়। ভারী ওজনের মোটরসাইকেলের মতো সম্প্রতি বেশ কিছু ইলেকট্রিক স্কুটারেও পাওয়া যাচ্ছে রিভার্স গিয়ার।