খুরশিদ আলম শাওন রানীশংকৈল প্রতিনিধিঃ-
রানীশংকৈল-ঠাকুরগাঁও ভায়া নেকমরদ-বালিয়াডাঙ্গি মহাসড়কের কার্পেটিং উঠে খাল খন্দে বেহাল দশা সাধারণ পথচারীরাসহ পরিবহন চালকদের এমনিতেই চলাচলে সমস্যার অন্ত নেই।
তার উপর সড়ক ও জনপথের মহাসড়কের দুধারের ফুটপাত দখল করে ঠাকুরগায়ের রানীশংকৈল পৌরশহরের ব্যবসায়ীরা করছেন ব্যবসা বানিজ্য। এতে ভোগান্তিতে পড়ছেন সাধারন পথচারীসহ পরিবহন গাড়ী চালকরা। এ মহাসড়ক দিয়েই জেলা সদর ঠাকুরগায়ে যেতে হয় উপজেলার বসবাসকারী মানুষদের। এ কারনে উপজেলার ব্যস্ততম মহাসড়ক এটি ।
এছাড়াও পরিবহনের মধ্যে ক্রসিং করতে অনেক বিড়ম্বনার শিকার হতে হচ্ছে চালকদের। এ কারনে অনেক সময় ছোট খাট দূর্ঘটনা ঘটছে। এছাড়াও বিভিন্ন সময়ে অহেতুক পরিবহন যানজটের স্বীকার হচ্ছে উপজেলাবাসী। বিষয়টি নিয়ে স্থানীয়ভাবে পৌরসভার মেয়র বা উপজেলা প্রশাসনের কোন নজর নেই।
রানীশংকৈল পৌরসভার বাণিজ্যিক এলাকার প্রধান মহাসড়কে, ৩ থেকে ৬ ডিসেম্বর একাধিক সময়ে সরজমিনে দেখা যায়, উপজেলা ডাকঘর অফিস থেকে বন্দর হয়ে আবাদতাকিয়া মাদ্রাসা মোড় পর্যন্ত প্রায় ২কিঃমিঃ অধিক ব্যস্ততম এ মহাসড়কের দুধারের ফুট পাত দখল করে বাণ্যিজিক পণ্য রেখেছেন ব্যবসায়ীরা।
বিশেষ করে শিবদিঘী আলী চায়ের দোকান,চাদঁনী সিনেমা হলের সামনে থেকে রেশম কারখানা পর্যন্ত বেশ কয়েকজন ব্যবসায়ী ষ্টীলের আসবাবসহ বিভিন্ন সামগ্রী বানিয়ে বাণ্যিজিক ভাইল হিসেবে মহাসড়কের ফুটপাত দখল করে রেখেছেন। এছাড়াও বন্দর এলাকার ব্যবসায়ীরা মহাসড়কের ফুটপাত দখল করে সাইনবোর্ডসহ ব্যবসায়ী বিভিন্ন সামগ্রী দিয়ে দখল করে রেখেছেন। এ কারনে এসব ব্যবসায়ীদের কাস্টমাররা মোটরসাইকেল, সাইকেল কিংবা প্রাইভেট কার যে পরিবহন নিয়ে আসুক না কেন তারা পাকিং করছে একেবারে মহাসড়কের ওপর।
নির্দিষ্ট কোন স্থান না থাকায় বন্দর ডিগ্রী কলেজের সামনে পাগলু ষ্ট্যান্ড গড়ে তুলেছেন চালকরা এবং নাইটকোচ গুলো দিনব্যাপী পাকিং করা থাকে মহাসড়কের ফুটপাত দখল করে। এ কারনে এখানে মাঝে মধ্যেই পরিবহন যানজটের সৃষ্টি হয়। ভোগান্তি পড়ে বিভিন্ন পরিবহনের যাত্রীরা।
এ নিয়ে কথা হয় পথচারী সালামের সাথে,তিনি ক্ষোভের সাথে বলেন,যেভাবে ইচ্ছেমত সাধারন মানুষের জন্য চলাচলের মহাসড়কের ফুটপাত দখল করে পণ্য রাখছেন ব্যবসায়ীরা এক সময় এরা মহাসড়কেই দখল করে পণ্য রাখবে।
একইভাবে মিনিবাস চালক ছাত্তার বলেন, রানীশংকৈলের পৌর শহরের মহাসড়ক এমনিতে খাল খন্দে ভরা গাড়ী চালাতে অনেক সমস্যা তার উপর ফুটপাত দখল করে রেখেছেন ব্যবসায়ীরা আমাদের গাড়ী ক্রসিং করতেও অনেক সমস্যা হয়। এবং কি অনেক সময় গাড়ী সাইড দেওয়াটাও অনেক কঠিন হয়ে দাঁড়ায়।
এভাবে করে মহাসড়কের ফুটপাত দখল করে জনমানুষের দূর্ভোগ সৃষ্টি করলেও এ বিষয়ে তেমন কোন প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিচ্ছেন না পৌরসভা কর্তৃপক্ষ কিংবা উপজেলা প্রশাসন।
এ ব্যাপারে বক্তব্য নিতে পৌর মেয়র আলমগীর সরকারের মুঠোফোনে গতকাল বুধবার বিকেলে যোগাযোগ করলে তিনি ফোন রিসিভ করেন নি। পরে পৌরসভার প্যানেল মেয়র সফিকুল ইসলাম মুকুলের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি খুব শীঘ্রই আলোচনা করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে আশ্বাস দেন।
উপজেলা সহকারী কমিশনার(ভুমি) সোহাগ চন্দ্র সাহা গতকাল বুধবার বলেন, বিষয়টি সড়ক ও জনপথের তাদের আসলে এগিয়ে আসা উচিত। তবে সাধারন মানুষের দূর্ভোগের কথা চিন্তা করে স্থানীয় ভাবে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা আমি আমার সাধ্যমত নিবো।