ঢাকা ০৪:২১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম

জিয়া চ্যারিটেবল মামলায় খালেদা জিয়াকে ৫ এপ্রিল পর্যন্ত জামিন : আদালতে যাননি খালেদা জিয়া

আজম রেহমান,সারাদিন ডেস্ক:: জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে আগামী ৫ এপ্রিল পর্যন্ত জামিন দিয়েছেন আদালত।

আজ বুধবার ঢাকার ৫নং বিশেষ জজ আদালতের বিচারক ড. আখতারুজ্জামান এ আদেশ দেন।

সর্বশেষ গত ১৩ মার্চ দাতব্য ট্রাস্ট মামলার অন্যতম আসামি জিয়াউল ইসলাম মুন্নার পক্ষে আংশিক যুক্তিতর্ক হয়। সে দিন বিচারক ২৮ ও ২৯ মার্চ শুনানির নতুন তারিখ রেখে নির্ধারিত দিনে খালেদা জিয়াকে হাজিরের নির্দেশ দেন।

সে অনুযায়ী আজ বুধবার সকালে আদালত ও কারাগার এলাকার নিরাপত্তা জোরদার করা হয়। আদালতের বাইরের সড়কে মোতায়েন করা হয় বিপুলসংখ্যক পুলিশ।

বেলা পৌনে ১১টার দিকে মহানগর দায়রা জজ আদালতের পিপি আবদুল্লাহ আবু বলেন, ‘খালেদা জিয়াকে আজকে অসুস্থতার কারণে আনা হচ্ছে না বলে আমরা শুনতে পাচ্ছি।’

পরে আদালত বসলে দুদকের আইনজীবী মোশাররফ হোসেন কাজল বিচারককে বলেন, ‘খালেদা জিয়াকে আদালতে হাজির করা কারা কর্তৃপক্ষের দায়িত্ব। কিন্তু কেন হাজির করা হয়নি তা বলতে পারছি না। কোনো কারণ আছে নিশ্চয়।’

এর পর খালেদা জিয়ার পক্ষে তার আইনজীবী সানাউল্লাহ মিয়া এ মামলায় জামিনের মেয়াদ বৃদ্ধির আবেদন করলে বিচারক তা মঞ্জুর করেন। ৫ এপ্রিল শুনানির পরবর্তী তারিখ রেখে ওই সময় পর্যন্ত তিনি জামিন দেন খালেদা জিয়াকে।

এ মামলার অন্যতম আসামি জিয়াউল ইসলাম মুন্নার পক্ষে যুক্তিতর্কের শুনানি করতে তার আইনজীবী আমিনুল ইসলাম এদিন আদালতে উপস্থিত থাকলেও শুনানি পিছিয়ে যাওয়ায় তার আর বক্তব্য উপস্থাপন করা হয়নি। আগামী তারিখে তিনি আবার যুক্তি উপস্থাপন শুরু করবেন।

জিয়া দাতব্য ট্রাস্টের নামে আসা ৩ কোটি ১৫ লাখ ৪৩ হাজার টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ২০১০ সালের ৮ অগাস্ট তেজগাঁও থানায় এ মামলা দায়ের করে দুদক।

তদন্ত কর্মকর্তা হারুন অর রশিদ ২০১২ সালের ১৬ জানুয়ারি বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ ৪ জনকে আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র দেন।

খালেদা জিয়ার একান্ত রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরী, বিআইডব্লিউটিএয়ের নৌ নিরাপত্তা ও ট্রাফিক বিভাগের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক জিয়াউল ইসলাম মুন্না এবং ঢাকা সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকার একান্ত সচিব মনিরুল ইসলাম খানও এ মামলায় আসামি।

গত ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার রায়ে খালেদা জিয়াকে ৫ বছরের কারাদণ্ড দেন আদালত। এর পর থেকে তিনি নাজিমুদ্দিন রোডের পুরনো কেন্দ্রীয় কারাগারে আছেন। প্রায় ৭ সপ্তাহ পর আজই প্রথম তিনি কারাগার থেকে বাইরে আসতে পারেন বলে ধারণা করা হয়েছিল।

Tag :

ভিডিও

এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

Azam Rehman

জনপ্রিয় সংবাদ

ঠাকুরগাঁয়ে যুবলীগ নেতার পলিথিন কারখানা বন্ধ, মালামাল জব্দ

জিয়া চ্যারিটেবল মামলায় খালেদা জিয়াকে ৫ এপ্রিল পর্যন্ত জামিন : আদালতে যাননি খালেদা জিয়া

আপডেট টাইম ০২:০০:০৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৮ মার্চ ২০১৮

আজম রেহমান,সারাদিন ডেস্ক:: জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে আগামী ৫ এপ্রিল পর্যন্ত জামিন দিয়েছেন আদালত।

আজ বুধবার ঢাকার ৫নং বিশেষ জজ আদালতের বিচারক ড. আখতারুজ্জামান এ আদেশ দেন।

সর্বশেষ গত ১৩ মার্চ দাতব্য ট্রাস্ট মামলার অন্যতম আসামি জিয়াউল ইসলাম মুন্নার পক্ষে আংশিক যুক্তিতর্ক হয়। সে দিন বিচারক ২৮ ও ২৯ মার্চ শুনানির নতুন তারিখ রেখে নির্ধারিত দিনে খালেদা জিয়াকে হাজিরের নির্দেশ দেন।

সে অনুযায়ী আজ বুধবার সকালে আদালত ও কারাগার এলাকার নিরাপত্তা জোরদার করা হয়। আদালতের বাইরের সড়কে মোতায়েন করা হয় বিপুলসংখ্যক পুলিশ।

বেলা পৌনে ১১টার দিকে মহানগর দায়রা জজ আদালতের পিপি আবদুল্লাহ আবু বলেন, ‘খালেদা জিয়াকে আজকে অসুস্থতার কারণে আনা হচ্ছে না বলে আমরা শুনতে পাচ্ছি।’

পরে আদালত বসলে দুদকের আইনজীবী মোশাররফ হোসেন কাজল বিচারককে বলেন, ‘খালেদা জিয়াকে আদালতে হাজির করা কারা কর্তৃপক্ষের দায়িত্ব। কিন্তু কেন হাজির করা হয়নি তা বলতে পারছি না। কোনো কারণ আছে নিশ্চয়।’

এর পর খালেদা জিয়ার পক্ষে তার আইনজীবী সানাউল্লাহ মিয়া এ মামলায় জামিনের মেয়াদ বৃদ্ধির আবেদন করলে বিচারক তা মঞ্জুর করেন। ৫ এপ্রিল শুনানির পরবর্তী তারিখ রেখে ওই সময় পর্যন্ত তিনি জামিন দেন খালেদা জিয়াকে।

এ মামলার অন্যতম আসামি জিয়াউল ইসলাম মুন্নার পক্ষে যুক্তিতর্কের শুনানি করতে তার আইনজীবী আমিনুল ইসলাম এদিন আদালতে উপস্থিত থাকলেও শুনানি পিছিয়ে যাওয়ায় তার আর বক্তব্য উপস্থাপন করা হয়নি। আগামী তারিখে তিনি আবার যুক্তি উপস্থাপন শুরু করবেন।

জিয়া দাতব্য ট্রাস্টের নামে আসা ৩ কোটি ১৫ লাখ ৪৩ হাজার টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ২০১০ সালের ৮ অগাস্ট তেজগাঁও থানায় এ মামলা দায়ের করে দুদক।

তদন্ত কর্মকর্তা হারুন অর রশিদ ২০১২ সালের ১৬ জানুয়ারি বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ ৪ জনকে আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র দেন।

খালেদা জিয়ার একান্ত রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরী, বিআইডব্লিউটিএয়ের নৌ নিরাপত্তা ও ট্রাফিক বিভাগের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক জিয়াউল ইসলাম মুন্না এবং ঢাকা সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকার একান্ত সচিব মনিরুল ইসলাম খানও এ মামলায় আসামি।

গত ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার রায়ে খালেদা জিয়াকে ৫ বছরের কারাদণ্ড দেন আদালত। এর পর থেকে তিনি নাজিমুদ্দিন রোডের পুরনো কেন্দ্রীয় কারাগারে আছেন। প্রায় ৭ সপ্তাহ পর আজই প্রথম তিনি কারাগার থেকে বাইরে আসতে পারেন বলে ধারণা করা হয়েছিল।