ঢাকা ০১:৪৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১১ অক্টোবর ২০২৪, ২৬ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শেরপুরে পাকা বোরো ধান নিয়ে দিশেহারা কৃষক

বগুড়া ০২ মে: বগুড়ার শেরপুরে গত কয়েকদিন ধরে বৈরি আবহাওয়া আর ঝড়-শিলাবৃষ্টির কারনে মাঠের উঠতি পাকা ধান নিয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছে কৃষকরা। অন্যদিকে ধান কাটা শ্রমিক সংকট নিয়ে চরম ভোগান্তি ও দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে মাঠের পাকা বোরো ধান শুয়ে পড়ায় ফলন বিপর্যয় হয়েছে।

উপজেলা কৃষি অফিস সুত্রে জানা যায়, চলতি ইরি-বোরো মৌসুমে শেরপুর উপজেলার ২০ হাজার ৭০০ হেক্টর জমিতে ইরি-বোরো চাষাবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। ধান রোপনের শুরু থেকেই আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় কোন রোগ বালাই দেখা যায়নি। এছাড়া কৃষি অফিসের তৎপরাতা আর কৃষকের সচেতনতার কারনে ধান খুব ভাল হয়েছিল। কিন্তু চলতি সপ্তাহে ঝড় ও শিলাবৃষ্টিতে অনেক জমির পাকা ধানগাছ নুয়ে পড়েছে।

উপজেলার কাফুরা গ্রামের কৃষক জিল্লার রহমান জানান, এবার বোরো ধানের আবাদ খুব ভাল হয়েছিল। কিন্তু কয়েক দিনের ঝড়, শিলা বৃষ্টির কারণে জমির ধান মাটিতে পড়ে গেছে। জমি থেকে পানি নিস্কাশনের ব্যবস্থা না থাকায় ধানের ব্যাপক ক্ষতি হবে। ধানের ক্ষেতে পানি থাকায় শ্রমিকরা ধান কাটতে মাঠে নামতে পারছে না। বেশি টাকা দিয়েও মিলছে না ধান কাটার শ্রমিক। বিনোদপুর গ্রামের কৃষক মীর কাশেম জানান, জমিতে পানি জমে থাকায় ধানেও পানি লাগছে। শেষমেশ কতটা ধান থাকবে, তা নিয়ে চিন্তায় পড়েছি।

এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি অফিসার মোছা. সারমিন আক্তার বলেন, ঝড় বৃষ্টিতে বেশকিছু পাকা-অধাপাকা ধান শুয়ে পড়েছে। এরমধ্যে কৃষকরা পাকা ধান কাটা শুরু করেছে। শতকরা ৮০ভাগ ধান পেকে গেলে দ্রুত কেটে নেওয়ার জন্য কৃষকদের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। কারণ প্রাকৃতিক দূর্যোগে পুরো ধান নষ্ট না হয় এজন্য আগাম সর্তকতা হিসেবে পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।

Tag :

ভিডিও

এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

Azam Rehman

শেরপুরে পাকা বোরো ধান নিয়ে দিশেহারা কৃষক

আপডেট টাইম ০৫:৩৭:২৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ২ মে ২০১৮

বগুড়া ০২ মে: বগুড়ার শেরপুরে গত কয়েকদিন ধরে বৈরি আবহাওয়া আর ঝড়-শিলাবৃষ্টির কারনে মাঠের উঠতি পাকা ধান নিয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছে কৃষকরা। অন্যদিকে ধান কাটা শ্রমিক সংকট নিয়ে চরম ভোগান্তি ও দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে মাঠের পাকা বোরো ধান শুয়ে পড়ায় ফলন বিপর্যয় হয়েছে।

উপজেলা কৃষি অফিস সুত্রে জানা যায়, চলতি ইরি-বোরো মৌসুমে শেরপুর উপজেলার ২০ হাজার ৭০০ হেক্টর জমিতে ইরি-বোরো চাষাবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। ধান রোপনের শুরু থেকেই আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় কোন রোগ বালাই দেখা যায়নি। এছাড়া কৃষি অফিসের তৎপরাতা আর কৃষকের সচেতনতার কারনে ধান খুব ভাল হয়েছিল। কিন্তু চলতি সপ্তাহে ঝড় ও শিলাবৃষ্টিতে অনেক জমির পাকা ধানগাছ নুয়ে পড়েছে।

উপজেলার কাফুরা গ্রামের কৃষক জিল্লার রহমান জানান, এবার বোরো ধানের আবাদ খুব ভাল হয়েছিল। কিন্তু কয়েক দিনের ঝড়, শিলা বৃষ্টির কারণে জমির ধান মাটিতে পড়ে গেছে। জমি থেকে পানি নিস্কাশনের ব্যবস্থা না থাকায় ধানের ব্যাপক ক্ষতি হবে। ধানের ক্ষেতে পানি থাকায় শ্রমিকরা ধান কাটতে মাঠে নামতে পারছে না। বেশি টাকা দিয়েও মিলছে না ধান কাটার শ্রমিক। বিনোদপুর গ্রামের কৃষক মীর কাশেম জানান, জমিতে পানি জমে থাকায় ধানেও পানি লাগছে। শেষমেশ কতটা ধান থাকবে, তা নিয়ে চিন্তায় পড়েছি।

এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি অফিসার মোছা. সারমিন আক্তার বলেন, ঝড় বৃষ্টিতে বেশকিছু পাকা-অধাপাকা ধান শুয়ে পড়েছে। এরমধ্যে কৃষকরা পাকা ধান কাটা শুরু করেছে। শতকরা ৮০ভাগ ধান পেকে গেলে দ্রুত কেটে নেওয়ার জন্য কৃষকদের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। কারণ প্রাকৃতিক দূর্যোগে পুরো ধান নষ্ট না হয় এজন্য আগাম সর্তকতা হিসেবে পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।