ঢাকা ০১:২০ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ২ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
দুর্নীতির অভিযোগে পীরগঞ্জ পাইলট স্কুলের প্রধান শিক্ষক বরখাস্ত ড. মো. হারুনুর রশীদ পরিচালিত সেলিনা হোসেনের ‘কাকতাড়ুয়া বুধা’ মুক্তি পেয়েছে ভাল মানুষ থেকেইে ভাল মানুষ তৈরী হয়—ঠাকুরগাঁওয়ে আল-হাসানাহ স্কুলের শিক্ষার্থীদের মাঝে পুরুস্কার বিতরনী অনুষ্ঠানে সাবেক এমপি জাহিদুর রহমান ঠাকুরগাঁয়ে যুবলীগ নেতার পলিথিন কারখানা বন্ধ, মালামাল জব্দ সাগর-রুনি হত্যা মামলা র‌্যাব থেকে তদন্তের দায়িত্ব পিবিআইয়ের কাছে সংস্কারের পরেই নির্বাচন: ড. ইউনূস বশিরউদ্দীন ও ফারুকীকে কার বুদ্ধিতে নিলেন, প্রশ্ন মান্নার ভূমি সেবায় দুর্নীতি-অনিয়মে তাৎক্ষণিক শাস্তির ব্যবস্থা ভোট কারচুপির তদন্ত সাবেক ডিসি-এসপি-ইউএনওদের ঘুম হারাম আসিফ নজরুলকে হেনস্তা,দূতাবাসের কাউন্সেলরকে দেশে ফেরত, চাকরি হারাচ্ছেন স্টাফ

খালেদা জিয়াকে রাজনৈতিকভাবে গ্রেপ্তার করা হয়নি: প্রধানমন্ত্রী

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে রাজনৈতিকভাবে গ্রেপ্তার করা হয়নি বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ‘তাঁকে রাজনৈতিকভাবে গ্রেপ্তার করা হয়নি। রাজনৈতিকভাবে গ্রেপ্তার করতে হলে খালেদা জিয়াকে ২০১৪-২০১৫ সালে গ্রেপ্তার করা যেত।’

আজ বুধবার জাতীয় সংসদের প্রশ্নোত্তর পর্বে প্রধানমন্ত্রী এ মন্তব্য করেন। স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদের বৈঠক শুরু হওয়ার পর প্রধানমন্ত্রীর জন্য নির্ধারিত প্রশ্নোত্তর পর্ব অনুষ্ঠিত হয়।
শেখ হাসিনা বলেন, ১০ বছর মামলা চলার পরে আদালতের রায়ে খালেদা জিয়া এখন কারাগারে বন্দী। তাঁদের বড় বড় আইনজীবী খালেদা জিয়াকে নির্দোষ প্রমাণ করতে পারেননি।
সংরক্ষিত নারী আসনের সদস্য নুরজাহান বেগমের সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, একজন নারী হয়ে এতিমের অর্থ আত্মসাৎ করার কথা চিন্তাও করা যায় না।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘মামলার রায় বের হওয়ার পূর্বে তারা (বিএনপি) দলের গঠনতন্ত্র সংশোধন করে দুর্নীতিবাজকে দলের নেতৃত্বে আসার সুযোগ করে দিল। এর অর্থ তারা জানে, খালেদা জিয়া অপরাধী। এ জন্য রায়ের আগেই এটা সংশোধন করেছে। এটা তো সব নারী জাতির জন্যই একটা কলঙ্ক। আমাদের নারী জাতির জন্য লজ্জার। কারণ, একজন নারী মানে একজন মা। একজন মা হয়ে এতিমের টাকা কী করে চুরি করে বা অপব্যবহার করে!’

সংসদ নেতা শেখ হাসিনা বলেন, ‘দেশে সুষ্ঠু ও সুন্দর গণতান্ত্রিক পরিবেশ থাকলে উন্নয়ন ত্বরান্বিত হয়। গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত থাকলে উন্নয়ন অব্যাহত থাকে। ২০১৪ সালে ক্ষমতায় আসতে পেরেছি বলেই উন্নয়নের ধারাবাহিকতা রাখতে পেরেছি। গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকুক তা আমরা চাই।’
বর্তমান সরকারের আমলে অনুষ্ঠিত বিভিন্ন নির্বাচন নিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বর্তমান সরকারের সময়ে ছয় হাজারের ওপর নির্বাচন হয়েছে, কেউ তো কোনো নির্বাচন নিয়ে প্রশ্ন তুলতে পারেনি। কিন্তু বিএনপির আমলের ১৫ ফেব্রুয়ারির নির্বাচনের কথা আমাদের মনে আছে। ২০০৬ সালে তারা যখন নির্বাচন করার প্রচেষ্টা করেছিল, তখনো ভোটারবিহীন নির্বাচন করে কতজনকে নির্বাচিত ঘোষণাও দিয়েছিল।’
জাতীয় পার্টির সাংসদ কাজী ফিরোজ রশীদের এক সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগের লক্ষ্য তৃণমূল পর্যায়ে উন্নয়ন। প্রত্যেকটি গ্রামকে শহরে রূপান্তর করা হবে। নতুন মেয়াদে ক্ষমতায় এলে গভীর সমুদ্রবন্দর, বিমানবন্দর তৈরি, এশিয়ান হাইওয়ে, ট্রান্স এশিয়ান রেলওয়ের সঙ্গে সংযুক্ত হওয়াসহ পুরো নেটওয়ার্ক হিসেবে গড়ে তুলে প্রাচ্য ও পাশ্চাত্যের মধ্যে সেতুবন্ধ গড়ে তোলা হবে।
শেখ হাসিনা বলেন, তাঁর দল আবার ক্ষমতায় এলে দক্ষিণাঞ্চলে আরেকটি নিউক্লিয়ার বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপন করা হবে।
তরীকত ফেডারেশনের সাংসদ এম এ আউয়ালের প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী জানান, চলমান মাদকবিরোধী অভিযানে গত ১৮ মে থেকে এ পর্যন্ত বিপুল পরিমাণে মাদকদ্রব্য, অস্ত্র, গোলাবারুদ এবং এগুলো পরিবহনের বাহন উদ্ধার ও জব্দ করা হয়েছে। এ সময়ে ১৫ হাজার ৩৩৩টি মামলা করা হয়েছে। ২০ হাজার ৭৬৭ জন আসামিকে গ্রেপ্তার করে বিচারে সোপর্দ করা হয়েছে। মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে ১ হাজার ২৮৯ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেওয়া হয়েছে।

Tag :

ভিডিও

এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

দুর্নীতির অভিযোগে পীরগঞ্জ পাইলট স্কুলের প্রধান শিক্ষক বরখাস্ত

খালেদা জিয়াকে রাজনৈতিকভাবে গ্রেপ্তার করা হয়নি: প্রধানমন্ত্রী

আপডেট টাইম ১০:৪৬:৩৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ১১ জুলাই ২০১৮

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে রাজনৈতিকভাবে গ্রেপ্তার করা হয়নি বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ‘তাঁকে রাজনৈতিকভাবে গ্রেপ্তার করা হয়নি। রাজনৈতিকভাবে গ্রেপ্তার করতে হলে খালেদা জিয়াকে ২০১৪-২০১৫ সালে গ্রেপ্তার করা যেত।’

আজ বুধবার জাতীয় সংসদের প্রশ্নোত্তর পর্বে প্রধানমন্ত্রী এ মন্তব্য করেন। স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদের বৈঠক শুরু হওয়ার পর প্রধানমন্ত্রীর জন্য নির্ধারিত প্রশ্নোত্তর পর্ব অনুষ্ঠিত হয়।
শেখ হাসিনা বলেন, ১০ বছর মামলা চলার পরে আদালতের রায়ে খালেদা জিয়া এখন কারাগারে বন্দী। তাঁদের বড় বড় আইনজীবী খালেদা জিয়াকে নির্দোষ প্রমাণ করতে পারেননি।
সংরক্ষিত নারী আসনের সদস্য নুরজাহান বেগমের সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, একজন নারী হয়ে এতিমের অর্থ আত্মসাৎ করার কথা চিন্তাও করা যায় না।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘মামলার রায় বের হওয়ার পূর্বে তারা (বিএনপি) দলের গঠনতন্ত্র সংশোধন করে দুর্নীতিবাজকে দলের নেতৃত্বে আসার সুযোগ করে দিল। এর অর্থ তারা জানে, খালেদা জিয়া অপরাধী। এ জন্য রায়ের আগেই এটা সংশোধন করেছে। এটা তো সব নারী জাতির জন্যই একটা কলঙ্ক। আমাদের নারী জাতির জন্য লজ্জার। কারণ, একজন নারী মানে একজন মা। একজন মা হয়ে এতিমের টাকা কী করে চুরি করে বা অপব্যবহার করে!’

সংসদ নেতা শেখ হাসিনা বলেন, ‘দেশে সুষ্ঠু ও সুন্দর গণতান্ত্রিক পরিবেশ থাকলে উন্নয়ন ত্বরান্বিত হয়। গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত থাকলে উন্নয়ন অব্যাহত থাকে। ২০১৪ সালে ক্ষমতায় আসতে পেরেছি বলেই উন্নয়নের ধারাবাহিকতা রাখতে পেরেছি। গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকুক তা আমরা চাই।’
বর্তমান সরকারের আমলে অনুষ্ঠিত বিভিন্ন নির্বাচন নিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বর্তমান সরকারের সময়ে ছয় হাজারের ওপর নির্বাচন হয়েছে, কেউ তো কোনো নির্বাচন নিয়ে প্রশ্ন তুলতে পারেনি। কিন্তু বিএনপির আমলের ১৫ ফেব্রুয়ারির নির্বাচনের কথা আমাদের মনে আছে। ২০০৬ সালে তারা যখন নির্বাচন করার প্রচেষ্টা করেছিল, তখনো ভোটারবিহীন নির্বাচন করে কতজনকে নির্বাচিত ঘোষণাও দিয়েছিল।’
জাতীয় পার্টির সাংসদ কাজী ফিরোজ রশীদের এক সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগের লক্ষ্য তৃণমূল পর্যায়ে উন্নয়ন। প্রত্যেকটি গ্রামকে শহরে রূপান্তর করা হবে। নতুন মেয়াদে ক্ষমতায় এলে গভীর সমুদ্রবন্দর, বিমানবন্দর তৈরি, এশিয়ান হাইওয়ে, ট্রান্স এশিয়ান রেলওয়ের সঙ্গে সংযুক্ত হওয়াসহ পুরো নেটওয়ার্ক হিসেবে গড়ে তুলে প্রাচ্য ও পাশ্চাত্যের মধ্যে সেতুবন্ধ গড়ে তোলা হবে।
শেখ হাসিনা বলেন, তাঁর দল আবার ক্ষমতায় এলে দক্ষিণাঞ্চলে আরেকটি নিউক্লিয়ার বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপন করা হবে।
তরীকত ফেডারেশনের সাংসদ এম এ আউয়ালের প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী জানান, চলমান মাদকবিরোধী অভিযানে গত ১৮ মে থেকে এ পর্যন্ত বিপুল পরিমাণে মাদকদ্রব্য, অস্ত্র, গোলাবারুদ এবং এগুলো পরিবহনের বাহন উদ্ধার ও জব্দ করা হয়েছে। এ সময়ে ১৫ হাজার ৩৩৩টি মামলা করা হয়েছে। ২০ হাজার ৭৬৭ জন আসামিকে গ্রেপ্তার করে বিচারে সোপর্দ করা হয়েছে। মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে ১ হাজার ২৮৯ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেওয়া হয়েছে।