ঢাকা ০৭:২৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ঠাকুরগাঁও-১ আসনে সাহেদের দলীয় মনোনয়ন ক্রয়ে ঠাকুরগাঁওয়ে মানুষের মাঝে ব্যাপক উচ্ছাস

আজম রেহমান,সারাদিন ডেস্ক:: একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঠাকুরগাঁও-১ আসনে আওয়ামীলীগের মনোনয়ন ফরম কিনেছেন  মরহুম খাদেমুল ইসলাম এমপির পুত্র সাবেক ছাত্রনেতা ও সফল কূটনীতিক সাহেদুল ইসলাম সাহেদ । শুক্রবার ধানমণ্ডির আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার রাজনৈতিক কার্যালয়ের নির্বাচনী অফিস থেকে সাহেদুল ইসলাম সাহেদ মনোনয়ন ফরম কিনেছেন। সাহেদুল ইসলামের পক্ষে মনোনয়ন ফরম কিনেছেন তার ছোট ভাই ঠাকুরগাঁও জেলা আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা: মহিদুল ইসলাম।
সাহেদুল ইসলাম সাহেদের মনোনয়ন ক্রয় করায়  ঠাকুরগাঁও আওয়ামী লীগের তৃণমূল নেতা কর্মীদের মাঝে ব্যাপক উচ্ছাস-আনন্দ ছড়িয়ে পড়েছে।মিষ্টি মুখও করেছেন কেউ কেউ।
আওয়ামী লীগের প্রবীন রাজনীতিক ও সমাজের বিভিন্ন মহলের বয়োজ্যেষ্ঠ ব্যক্তিদের সাথে কথা বলে জানা যায়, ঠাকুরগাঁওয়ের উন্নয়নের রূপকার ও জনমানুষের অকৃত্রিম বন্ধু প্রয়াত এমপি  খাদেমুল ইসলাম যেভাবে শ্রেনী ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকলের সাথে মিশেছেন এবং পচাত্তর পরবর্তী সময়ে দলের দুঃসময়ে হাল ধরেছেন তা সকলেই শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ  রেখেছেন ।
জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক নেতা ও জামালপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান গোলাম মোস্তফা  বলেন ‘আমরা বিশ্বাস করি জননেত্রী শেখ হাসিনা মরহুম খাদেমুল ইসলামের অবদান মনে রেখেছেন । আমরা আশাবাদী নেত্রী এই মরহুম নেতার সুযোগ্য পুত্র সাহেদুল ইসলাম সাহেদ কে মনোনয়ন দিয়ে তার পিতার পদাঙ্ক অনুসরণ করে ঠাকুরগায়ে দলের বর্তমান ভগ্নদশা থেকে উত্তরণের সুযোগ করে দেবেন ।
জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক নেতা দুলাল সেন বলেন সাহেদুল ইসলাম একজন উচ্চ শিক্ষিত ব্যক্তি ও সাবেক ছাত্রলীগ নেতা । তিনি অবশ্যই তার পিতার এই অঞ্চলে শক্ত রাজনেতিক ভিত্তি কাজে লাগিয়ে দল কে সুসংগঠিত করতে অবদান রাখবেন । আমাদের জোর দাবী নেত্রী জনগণের অনুভূতি অনুধাবন করে সাহেদুল ইসলাম সাহেদ কে মনোনয়ন দেবেন ।
ঠাকুরগাও সদর উপজেলা আওয়ামীলীগ নেতা আমিনুল ইসলাম বলেন,দীর্ঘ ১০ বছরে আওয়ামীলীগের প্রবীন নেতা কর্মীদের পাশ কাটিয়ে দলের হাল ধরার নামে বিএনপির লোকদের পুনর্বাসন করা হয়েছে।চাকুরী ও ব্যবসা ক্ষেত্রে হাইব্রিড নেতারস আঙ্গুল ফুলে কলা গাছ বনে গেছেন।তাই আওয়ামীলীগের সাধারন কর্মী হিসেবে আমরা নেতৃত্বের পরিবর্তন চাই।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মরহুম খাদেমুল ইসলাম ছাত্র জীবনেই বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও তাঁর নেতৃত্বে আস্থাশীল হয়ে ছাত্র জীবনেই রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়েন। পরবর্তী তে বিভিন্ন গণতান্ত্রিক আন্দোলন সংগ্রামে সক্রিয় অংশগ্রহনের ধারাবাহিকতায় মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেন। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপিরবারে হত্যার পর সারাদেশে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের উপর যে জুলুম নির্যাতন নেমে আসে সেই রোষানল থেকে তিনি-ও মুক্তি পাননি । তাকে দশ মাস কারাগারে অন্তরীণ রাখা হয় । জেল থেকে মুক্তি পেয়ে তিনি আওয়ামী রাজনীতির সবচেয়ে সংকটাপন্ন সময়ে ঠাকুরগাঁও মহকুমা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদকের দায়িত্ব গ্রহন করে দল কে সংগঠিত করেন । এরই ধারাবাহিকতায় পরবর্তীতে জেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক ও সভাপতি নির্বাচিত হন। আমৃত্যু তিনি সফলভাবে সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন । তিনি ১৯৮৬, ১৯৯১ ও ১৯৯৬ সালে ঠাকুরগাও-১ আসন হতে তিনবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন । অবশেষে ১৯৯৬ সালের ১৭-ই ডিসেম্বর হৃদযন্ত্রের ক্রীয়া বন্ধ হয়ে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন ।
খাদেমুল ইসলামের মৃত্যুর পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগ থেকে সদ্য এমএ পাশ করা সাহেদুল ইসলাম কে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাপানে বাংলাদেশী হাইকমিশনের কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ দেন ।
পরবর্তীতে ২০০৮ সালের নির্বাচনে জয়ী হয়ে সরকার গঠনের পর পুনরায় সাহেদুল ইসলাম কে নিউইয়র্কে বাংলাদেশ কনস্যুলেট অফিসের ডেপুটি কনসাল জেনারেল নিযুক্ত করেন। যার দায়িত্ব সাহেদ সফলতার সাথে পালন করেন ।
Tag :

ভিডিও

এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

Azam Rehman

জনপ্রিয় সংবাদ

ঠাকুরগাঁও-১ আসনে সাহেদের দলীয় মনোনয়ন ক্রয়ে ঠাকুরগাঁওয়ে মানুষের মাঝে ব্যাপক উচ্ছাস

আপডেট টাইম ১০:১৯:২০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১০ নভেম্বর ২০১৮
আজম রেহমান,সারাদিন ডেস্ক:: একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঠাকুরগাঁও-১ আসনে আওয়ামীলীগের মনোনয়ন ফরম কিনেছেন  মরহুম খাদেমুল ইসলাম এমপির পুত্র সাবেক ছাত্রনেতা ও সফল কূটনীতিক সাহেদুল ইসলাম সাহেদ । শুক্রবার ধানমণ্ডির আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার রাজনৈতিক কার্যালয়ের নির্বাচনী অফিস থেকে সাহেদুল ইসলাম সাহেদ মনোনয়ন ফরম কিনেছেন। সাহেদুল ইসলামের পক্ষে মনোনয়ন ফরম কিনেছেন তার ছোট ভাই ঠাকুরগাঁও জেলা আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা: মহিদুল ইসলাম।
সাহেদুল ইসলাম সাহেদের মনোনয়ন ক্রয় করায়  ঠাকুরগাঁও আওয়ামী লীগের তৃণমূল নেতা কর্মীদের মাঝে ব্যাপক উচ্ছাস-আনন্দ ছড়িয়ে পড়েছে।মিষ্টি মুখও করেছেন কেউ কেউ।
আওয়ামী লীগের প্রবীন রাজনীতিক ও সমাজের বিভিন্ন মহলের বয়োজ্যেষ্ঠ ব্যক্তিদের সাথে কথা বলে জানা যায়, ঠাকুরগাঁওয়ের উন্নয়নের রূপকার ও জনমানুষের অকৃত্রিম বন্ধু প্রয়াত এমপি  খাদেমুল ইসলাম যেভাবে শ্রেনী ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকলের সাথে মিশেছেন এবং পচাত্তর পরবর্তী সময়ে দলের দুঃসময়ে হাল ধরেছেন তা সকলেই শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ  রেখেছেন ।
জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক নেতা ও জামালপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান গোলাম মোস্তফা  বলেন ‘আমরা বিশ্বাস করি জননেত্রী শেখ হাসিনা মরহুম খাদেমুল ইসলামের অবদান মনে রেখেছেন । আমরা আশাবাদী নেত্রী এই মরহুম নেতার সুযোগ্য পুত্র সাহেদুল ইসলাম সাহেদ কে মনোনয়ন দিয়ে তার পিতার পদাঙ্ক অনুসরণ করে ঠাকুরগায়ে দলের বর্তমান ভগ্নদশা থেকে উত্তরণের সুযোগ করে দেবেন ।
জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক নেতা দুলাল সেন বলেন সাহেদুল ইসলাম একজন উচ্চ শিক্ষিত ব্যক্তি ও সাবেক ছাত্রলীগ নেতা । তিনি অবশ্যই তার পিতার এই অঞ্চলে শক্ত রাজনেতিক ভিত্তি কাজে লাগিয়ে দল কে সুসংগঠিত করতে অবদান রাখবেন । আমাদের জোর দাবী নেত্রী জনগণের অনুভূতি অনুধাবন করে সাহেদুল ইসলাম সাহেদ কে মনোনয়ন দেবেন ।
ঠাকুরগাও সদর উপজেলা আওয়ামীলীগ নেতা আমিনুল ইসলাম বলেন,দীর্ঘ ১০ বছরে আওয়ামীলীগের প্রবীন নেতা কর্মীদের পাশ কাটিয়ে দলের হাল ধরার নামে বিএনপির লোকদের পুনর্বাসন করা হয়েছে।চাকুরী ও ব্যবসা ক্ষেত্রে হাইব্রিড নেতারস আঙ্গুল ফুলে কলা গাছ বনে গেছেন।তাই আওয়ামীলীগের সাধারন কর্মী হিসেবে আমরা নেতৃত্বের পরিবর্তন চাই।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মরহুম খাদেমুল ইসলাম ছাত্র জীবনেই বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও তাঁর নেতৃত্বে আস্থাশীল হয়ে ছাত্র জীবনেই রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়েন। পরবর্তী তে বিভিন্ন গণতান্ত্রিক আন্দোলন সংগ্রামে সক্রিয় অংশগ্রহনের ধারাবাহিকতায় মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেন। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপিরবারে হত্যার পর সারাদেশে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের উপর যে জুলুম নির্যাতন নেমে আসে সেই রোষানল থেকে তিনি-ও মুক্তি পাননি । তাকে দশ মাস কারাগারে অন্তরীণ রাখা হয় । জেল থেকে মুক্তি পেয়ে তিনি আওয়ামী রাজনীতির সবচেয়ে সংকটাপন্ন সময়ে ঠাকুরগাঁও মহকুমা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদকের দায়িত্ব গ্রহন করে দল কে সংগঠিত করেন । এরই ধারাবাহিকতায় পরবর্তীতে জেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক ও সভাপতি নির্বাচিত হন। আমৃত্যু তিনি সফলভাবে সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন । তিনি ১৯৮৬, ১৯৯১ ও ১৯৯৬ সালে ঠাকুরগাও-১ আসন হতে তিনবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন । অবশেষে ১৯৯৬ সালের ১৭-ই ডিসেম্বর হৃদযন্ত্রের ক্রীয়া বন্ধ হয়ে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন ।
খাদেমুল ইসলামের মৃত্যুর পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগ থেকে সদ্য এমএ পাশ করা সাহেদুল ইসলাম কে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাপানে বাংলাদেশী হাইকমিশনের কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ দেন ।
পরবর্তীতে ২০০৮ সালের নির্বাচনে জয়ী হয়ে সরকার গঠনের পর পুনরায় সাহেদুল ইসলাম কে নিউইয়র্কে বাংলাদেশ কনস্যুলেট অফিসের ডেপুটি কনসাল জেনারেল নিযুক্ত করেন। যার দায়িত্ব সাহেদ সফলতার সাথে পালন করেন ।