সারাদিন ডেস্ক::আসছে নতুন বছরে শুক্রবারের সাপ্তাহিক ছুটি বাদে সরকারি-বেসরকারি নিম্ন মাধ্যমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ৮৫ দিন ছুটি রেখে শিক্ষাপঞ্জি অনুমোদন করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ রোববার তাদের ওয়েবসাইটে সরকারি-বেসরকারি নিম্ন মাধ্যমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের জন্য ২০১৯ সালের ছুটির তালিকা ও শিক্ষাপঞ্জি প্রকাশ করেছে।
বরাবারের মত নতুন বছরে শিক্ষাবর্ষ ধরা হয়েছে ১ জানুয়ারি থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত। ১ জানুয়ারি পাঠ্যপুস্তক দিবস উদযাপিত হবে।
২২ জুন থেকে ৪ জুলাই পর্যন্ত অর্ধ-বার্ষিক ও প্রাক-নির্বাচনী পরীক্ষা নিয়ে ২০ জুলাই ফল প্রকাশ করতে হবে।
আর ১৪-২৯ অক্টোবর নির্বাচনী পরীক্ষা নিয়ে তার ফল ৭ নভেম্বর এবং ২৭ নভেম্বর থেকে ১১ ডিসেম্বরের মধ্যে বার্ষিক পরীক্ষা নিয়ে ৩০ ডিসেম্বর ফল প্রকাশের দিন নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে।
শিক্ষাপঞ্জিতে বলা হয়েছে, শিক্ষার গুণগত মান বাড়াতে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সব পরীক্ষা নিয়ে শুধু বার্ষিক পরীক্ষার উত্তরপত্র অন্তত এক বছর সংরক্ষণ করতে হবে। কোনো পরীক্ষার সময়কাল ১৪ দিনের বেশি হবে না।
পাবলিক পরীক্ষা ছাড়া অন্য পরীক্ষার প্রশ্ন বিদ্যালয়গুলোকেই প্রণয়ন করতে হবে। কোনো অবস্থাতেই প্রশ্ন কিনে পরীক্ষা নেওয়া যাবে না।
বিশেষ কারণে পরীক্ষার তারিখ পরিবর্তন করতে হলে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের অনুমতি নিতে হবে।
বিদ্যালয়ে কারও সংবর্ধনা বা পরিদর্শন উপলক্ষে ক্লাস বন্ধ না রাখার নির্দেশনা নিয়ে শিক্ষাপঞ্জিতে বলা হয়েছে, শিক্ষার্থীদের রাস্তায় দাঁড় করানোও যাবে না।
“কোনো সরকারি কর্মকর্তার পরিদর্শন উপলক্ষে বিদ্যালয় ছুটি দেওয়া যাবে না এবং সংবর্ধনা/পরিদর্শন উপলক্ষে শিক্ষার্থীদের ক্লাস বন্ধ করা যাবে না। সংবর্ধিত/পরিদর্শনকারী ব্যক্তির প্রতি সম্মান প্রদর্শনের জন্য শিক্ষার্থীদের রাস্তায় দাঁড় করানো যাবে না।”
নির্দেশনা অনুযায়ী, ছুটির মধ্যে অনুষ্ঠেয় ভর্তি ও অন্যান্য পরীক্ষা গ্রহণের জন্য বিদ্যালয় খোলা রাখতে হবে। উপবৃত্তি, ভর্তি পরীক্ষা, প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা, জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট পরীক্ষার জন্যও বিদ্যালয় খোলা রাখতে হবে।
জেএসসি ও এসএসসি পরীক্ষার সময় পরীক্ষা কেন্দ্র ছাড়া অন্য বিদ্যালয়ে শ্রেণি কার্যক্রম চালু রাখতে হবে।
“প্রত্যেক বিদ্যালয়ে দৈনিক পাঠ বিবরণী নামে ডায়েরি ছাপিয়ে শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিলি করতে হবে। এ ডায়েরিতে ছাত্র-ছাত্রীর পরিচিতি, অভিভাবকদের প্রতি পরামর্শ, ছাত্র-ছাত্রীদের আচরণবিধি, শিক্ষকদের নাম ও শিক্ষাগত যোগ্যতা, ধর্মীয় ও নৈতিক শিক্ষার জরুরি নির্দেশনাবলী, ছুটির তালিকা এবং ক্লাস রুটিন (এতে প্রতিদিন অভিভাবকের স্বাক্ষর নিতে হবে) অন্তর্ভুক্ত থাকবে।”
২১ ফেব্রুয়ারি, ১৭ মার্চ, ২৬ মার্চ, ১৫ অগাস্ট ও ১৬ ডিসেম্বর ক্লাস বন্ধ থাকলেও এসব জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ দিবসে বিষয়ভিত্তিক বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করে বিদ্যালয়ে দিবসগুলো উদযাপন করতে হবে।
প্রতিটি বিদ্যালয়ে সরকার ঘোষিত সময়সূচি অনুযায়ী সৃজনশীল মেধা অন্বেষণ দিবস এবং শিক্ষা সপ্তাহ পালন করতে হবে বলেও নির্দেশনা দিয়েছে সরকার।