ঢাকা ০৩:৪০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৬ অক্টোবর ২০২৪, ১০ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
বিদেশি নাগরিক সাহাবুদ্দিন কিভাবে দেশের রাষ্ট্রপতি, প্রশ্ন রিপনের রাষ্ট্রপতিকে বিদায় না করলে দেশে সুষ্ঠু নির্বাচন হবে না: শামসুজ্জামান দুদু বঙ্গভবনের সামনে আগুন জ্বালিয়ে গণ অধিকার পরিষদের বিক্ষোভ ঠাকুরগাঁওয়ে বুরো বাংলাদেশের আঞ্চলিক অফিস ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের উদ্বোধন ঠাকুরগাঁও, বগুড়া ও ঝিনাইদহের আদালতে ২০০ জন সরকারি আইন কর্মকর্তা নিয়োগ পীরগঞ্জে সরকারি গাছ কাটার ঘটনায় প্রশাসন ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি বিরল সীমান্ত দিয়ে ভারতে যাবার সময় ৩ বাংলাদেশী বিজিবি’র হাতে আটক গবাদিপশুর ব্রুসেলোসিস রোগের ভ্যাকসিন উদ্ভাবনের দাবি বাকৃবির গবেষক দলের সংবিধান সংস্কার কমিশন গঠন করে প্রজ্ঞাপন দেড় কোটির বেশি স্মার্ট জাতীয় পরিচয়পত্র বিতরণ করা হয়নি

রিজভী কী বলেন, আর কী বোঝেন- প্রশ্ন আইনমন্ত্রীর,

ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি::দুর্নীতির দুই মামলায় খালেদা জিয়ার সাজা এবং তার জামিনের বিষয়ে বিএনপি নেতা রুহুল কবির রিজভীর মন্তব্যের জবাবে তার বোঝাপড়া নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। বলেন, ‘রিজভী নামে এক ভদ্রলোক আছেন, তিনি বেগম জিয়াকে নিয়ে কী বলেন, আর কী বোঝেন এ সম্পর্কে সকলের সন্দেহ আছে। তার সম্পর্কে আমি কিছু বলতে চাই না।’

শুক্রবার ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলা চত্বরে এক অনুষ্ঠানের পর সাংবাদিকদের প্রশ্নে আইনমন্ত্রীর এমন প্রতিক্রিয়া আসে।

দুর্নীতির দুই মামলায় ১৭ বছরের সাজা নিয়ে চৌদ্দ মাস ধরে কারাগারে আছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। বিএনপি নেতাদের অভিযোগ, খালেদা জিয়াকে ‘রাজনীতি থেকে সরিয়ে দেওয়ার’ জন্যই মিথ্যা মামলায় সাজা দেওয়া হয়েছে।

দলটির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বৃহস্পতিবার এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীকে বলব, দেশনেত্রীকে নিয়ে মাইনাস ফর্মুলা বন্ধ করুন। প্যারোলের নামে মাইনাস তত্ত্বের যে অশুভ চক্রান্ত চলছে, তাতে কোনও লাভ হবে না। আদালতের ওপর অবৈধ হস্তক্ষেপ বন্ধ হলেই আমাদের দেশনেত্রী আইনি প্রক্রিয়ায় জামিনে বেরিয়ে আসবেন।’

রিজভীর অভিযোগের বিষয়ে আইনমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি বলেন, ‘এতিমের টাকা চুরির জন্য খালেদা জিয়াকে নিম্ন আদালতে শাস্তি দেওয়া হয়েছে। সেই শাস্তির বিরুদ্ধে খালেদা জিয়া হাইকোর্টে আপিল করেছিলেন। সেখানে তাকে ৫ বছর থেকে ১০ বছর সাজা দেওয়া হয়েছে। এখানে সরকারের কোন হস্তক্ষেপ দেখা গেল আমি খুঁজে পাই না।’

‘আমি দৃঢ়ভাবে বলতে পারি, বিএনপির সময় দেশে আইনের শাসন ছিল না। জননেত্রী শেখ হাসিনা যেদিন থেকে সরকার গঠন করেছেন, সেদিন থেকে বিচার ব্যবস্থা স্বাধীন।’

এর আগে আইনমন্ত্রী কসবা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর অফিসের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করেন। এসময় অন্যদের মধ্যে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসক হায়ত-উদ-দৌলা খান, কসবা উপজেলা চেয়ারম্যান রাশেদুল কাউছার ভূইয়া জীবন, উপজেলা নির্বাহী অফিসার হাসিনা ইসলামসহ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

Tag :

ভিডিও

এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

Azam Rehman

বিদেশি নাগরিক সাহাবুদ্দিন কিভাবে দেশের রাষ্ট্রপতি, প্রশ্ন রিপনের

রিজভী কী বলেন, আর কী বোঝেন- প্রশ্ন আইনমন্ত্রীর,

আপডেট টাইম ০৬:১৯:৪০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০১৯

ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি::দুর্নীতির দুই মামলায় খালেদা জিয়ার সাজা এবং তার জামিনের বিষয়ে বিএনপি নেতা রুহুল কবির রিজভীর মন্তব্যের জবাবে তার বোঝাপড়া নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। বলেন, ‘রিজভী নামে এক ভদ্রলোক আছেন, তিনি বেগম জিয়াকে নিয়ে কী বলেন, আর কী বোঝেন এ সম্পর্কে সকলের সন্দেহ আছে। তার সম্পর্কে আমি কিছু বলতে চাই না।’

শুক্রবার ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলা চত্বরে এক অনুষ্ঠানের পর সাংবাদিকদের প্রশ্নে আইনমন্ত্রীর এমন প্রতিক্রিয়া আসে।

দুর্নীতির দুই মামলায় ১৭ বছরের সাজা নিয়ে চৌদ্দ মাস ধরে কারাগারে আছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। বিএনপি নেতাদের অভিযোগ, খালেদা জিয়াকে ‘রাজনীতি থেকে সরিয়ে দেওয়ার’ জন্যই মিথ্যা মামলায় সাজা দেওয়া হয়েছে।

দলটির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বৃহস্পতিবার এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীকে বলব, দেশনেত্রীকে নিয়ে মাইনাস ফর্মুলা বন্ধ করুন। প্যারোলের নামে মাইনাস তত্ত্বের যে অশুভ চক্রান্ত চলছে, তাতে কোনও লাভ হবে না। আদালতের ওপর অবৈধ হস্তক্ষেপ বন্ধ হলেই আমাদের দেশনেত্রী আইনি প্রক্রিয়ায় জামিনে বেরিয়ে আসবেন।’

রিজভীর অভিযোগের বিষয়ে আইনমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি বলেন, ‘এতিমের টাকা চুরির জন্য খালেদা জিয়াকে নিম্ন আদালতে শাস্তি দেওয়া হয়েছে। সেই শাস্তির বিরুদ্ধে খালেদা জিয়া হাইকোর্টে আপিল করেছিলেন। সেখানে তাকে ৫ বছর থেকে ১০ বছর সাজা দেওয়া হয়েছে। এখানে সরকারের কোন হস্তক্ষেপ দেখা গেল আমি খুঁজে পাই না।’

‘আমি দৃঢ়ভাবে বলতে পারি, বিএনপির সময় দেশে আইনের শাসন ছিল না। জননেত্রী শেখ হাসিনা যেদিন থেকে সরকার গঠন করেছেন, সেদিন থেকে বিচার ব্যবস্থা স্বাধীন।’

এর আগে আইনমন্ত্রী কসবা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর অফিসের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করেন। এসময় অন্যদের মধ্যে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসক হায়ত-উদ-দৌলা খান, কসবা উপজেলা চেয়ারম্যান রাশেদুল কাউছার ভূইয়া জীবন, উপজেলা নির্বাহী অফিসার হাসিনা ইসলামসহ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।