ডেস্ক: অনিয়ম ও দুর্নীতির খবর প্রকাশের পর ঠাকুরগাঁও বিআরটিএ’তে অভিযান চালিয়েছে দুদক সমন্বিত কার্যালয় দিনাজপুর জেলা। ২৩ এপ্রিল দুপুরে দুদক এ অভিযান চালিয়েছে। এসময় দালাল চক্রের একজনকে গ্রেপ্তার করে ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে ১৫ দিনে র জেল দেয়া হয়েছে।ছা পোষা ১ জন কে আটক করা হলেও দুর্নীতীর মূল হোতা সহকারী পরিচালক ফারুখ হোসেন রয়ে গেলেন বহাল তবিয়তে। যার নেতৃত্বে সীমাহীন দূর্নীতি ও জনসাধারনতক মাসে র পর মাস হয়রানীর শিকার হতে হয়।
দন্ডাদেশপ্রাপ্ত ব্যাক্তি শামসুর রহমান রুবেল এর বাসা জেলা শহরের আশ্রমপাড়ায়। সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তরিকুল ইসলাম ১৮৭৯ সালের টাউট আইনের ৬ নম্বর ধারা অনুযায়ী তাকে ১৫ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করেন। পরে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
মঙ্গলবার সকালে হঠাৎ দুদক দিনাজপুর সমন্বিত কার্যালয়ের উপপরিচালক আবু হেনা মো. আশিকুর রহমানের নেতৃত্বে দুদকের একটি দল ঠাকুরগাঁও বিআরটিএ’তে অভিযান চালায়। এসময় দুদকের সহকারী পরিচালক ওবায়দুর রহমানসহ, উপ-সহকারী পরিচালক মো. কামরুজ্জামান ও কর্মকর্তা শাহজাহান আলী অভিযানে অংশ নেন।
এ বিষয়ে আবু হেনা মো. আশিকুর রহমান জানান, দুদক বেশ কয়েকটি যানবাহনের রেজিস্ট্রেশনের জন্য আবেদন ফাইলের নমুনা সংগ্রহ করেন ও আবেদনকারীদের সাথে যোগাযোগ করে দুর্নীতির প্রমাণ পান। এ বিষয়ে পরবর্তীতে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে নিশ্চিত করেন।
উল্লেখ্য, বিআরটিএ ঠাকুরগাঁও ও পঞ্চগড় সার্কেলের সহকারী পরিচালক ফারুক এর নেতৃত্বে ঘুষ বাণিজ্যের অভিযোগে বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ হলে দুদক এ অভিযান পরিচালনা করে দুর্নীতির প্রমাণ পায়। নিরপেক্ষ তদন্ত হলে এই অফিসের সহকারী পরিটালকের নেতৃত্বে সংঘটিত অসংখ্য অনিয়ম ও দুর্নিতীর অভিযোগ প্রমানিত হবে বলে ভুক্তভোগী মহলের বিশ্বাস।