ঢাকা ০৫:৪১ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
দুর্নীতির অভিযোগে পীরগঞ্জ পাইলট স্কুলের প্রধান শিক্ষক বরখাস্ত ড. মো. হারুনুর রশীদ পরিচালিত সেলিনা হোসেনের ‘কাকতাড়ুয়া বুধা’ মুক্তি পেয়েছে ভাল মানুষ থেকেইে ভাল মানুষ তৈরী হয়—ঠাকুরগাঁওয়ে আল-হাসানাহ স্কুলের শিক্ষার্থীদের মাঝে পুরুস্কার বিতরনী অনুষ্ঠানে সাবেক এমপি জাহিদুর রহমান ঠাকুরগাঁয়ে যুবলীগ নেতার পলিথিন কারখানা বন্ধ, মালামাল জব্দ সাগর-রুনি হত্যা মামলা র‌্যাব থেকে তদন্তের দায়িত্ব পিবিআইয়ের কাছে সংস্কারের পরেই নির্বাচন: ড. ইউনূস বশিরউদ্দীন ও ফারুকীকে কার বুদ্ধিতে নিলেন, প্রশ্ন মান্নার ভূমি সেবায় দুর্নীতি-অনিয়মে তাৎক্ষণিক শাস্তির ব্যবস্থা ভোট কারচুপির তদন্ত সাবেক ডিসি-এসপি-ইউএনওদের ঘুম হারাম আসিফ নজরুলকে হেনস্তা,দূতাবাসের কাউন্সেলরকে দেশে ফেরত, চাকরি হারাচ্ছেন স্টাফ

লোকসভা নির্বাচনে যত সব অঘটন

এক্সক্লুসিভ:::  ‘বুরা না মানো, মোদি হে!’ হ্যাঁ ভারতে আবারও ফিরে এসেছে মোদি সরকার। বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ জোট শুধু জয়ই পায়নি, এটি সপষ্টভাবেই ভারতের স্বাধীনতার পর বিজেপি’র সব থেকে বড় বিজয়। তবে এ নির্বাচনে ঘটেছে অনেক অঘটনও। এরমধ্যে আছে আমেথিতে কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধীর পরাজয় ও ভুপালে সন্ত্রাসবাদে অভিযুক্ত প্রজ্ঞা ঠাকুরের জয়। আছে নানা চমকও।

একনজরে দেখে নিন ২০১৯ লোকসভা নির্বাচনের যত অঘটন: আমেথিতে রাহুল গান্ধীর পরাজয় রাহুল গান্ধী ও তার দল কংগ্রেস আমেথিতে বিজেপি’র স্মৃতি ইরানির কাছে হেরে গেছে। আমেথিকে বলা হয় কংগ্রেসের দুর্গ। স্বাধীনতার পর এই তৃতীয়বারের মতো এমন অঘটন ঘটলো এ আসনে। একই সঙ্গে ২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনে এটি বিজেপি’র জন্য অন্যতম বড় জয় হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।

প্রজ্ঞা ঠাকুরের জয় সন্ত্রাসবাদে অভিযুক্ত প্রজ্ঞা ঠাকুর তার আসনে জয় পেয়েছেন। তিনি ভারতের জাতির জনক মহাত্মা গান্ধীর হত্যাকারী নাথুরাম গডসে’কে দেশভক্ত বলে সমালোচিত হয়েছেন। তবে এ মন্তব্যের জন্য পরে ক্ষমা চান তিনি। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি তাকে ক্ষমা করেননি। তিনি সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, এজন্য প্রজ্ঞাকে কোনোদিনই ক্ষমা করতে পারবেন না তিনি। কিন্তু তাকে দল থেকে বহিষ্কার করেননি মোদি। এখন সেই প্রজ্ঞাই পার্লামেন্টে জনগণের প্রতিনিধিত্ব করতে যাচ্ছেন। সর্বহারা চন্দ্রবাবু নাইডু চন্দ্রবাবু নাইডু ও তার দল টিডিপি সব হারিয়েছেন। হ্যাঁ, তেলেঙ্গানা ও অন্ধ্র প্রদেশে একটি আসনেও জিততে পারেনি টিডিপি প্রার্থীরা। উল্লেখ্য, এবার নির্বাচনের শেষের দিকে তিনি বিজেপি বিরোধী কঠোর অবস্থান নিয়েছিলেন। বিজেপি থামাও- এমন অঙ্গীকারে তিনি বিরোধী দলগুলোকে একত্রিত করার চেষ্টা করছিলেন। কিন্তু সেই চন্দ্রবাবু এখন সর্বহারায় পরিণত হয়েছেন। উল্টো দোর্দণ্ড প্রতাপ নিয়ে ক্ষমতায় ফিরছে বিজেপি। দিল্লি থেকে মুছে গেছে আম আদমি পার্টি অরবিন্দ কেজরিওয়াল নেতৃত্বাধীন আম আদমি পার্টি দিল্লি থেকে একটি আসনও পায়নি। তবে অঘটনের শেষ এখানেই নয়। শিক্ষাখাতে বৈপ্লবিক পরিবর্তনের জন্য পরিচিত অতিশী মারলেনা শুধু বিজেপি প্রার্থীর কাছে হারেনই নি, তিনি তার আসনে তৃতীয় হয়েছেন। তার আসনে জয় পেয়েছেন ক্রিকেটার ও বিজেপি’র প্রার্থী গৌতম গাম্ভীর। কর্ণাটকে ব্যর্থ কংগ্রেস-জেডি (এস) জোট বিজেপিকে থামাতে কর্ণাটকে জোট বাঁধে কংগ্রেস ও জেডিএস। তবে এরপরও নিজেদের হার থামাতে পারেনি এই জোট। এমনকি সাবেক প্রধানমন্ত্রী দেবে গৌড়াও তার আসন থেকে হেরে গেছেন। পশ্চিমবঙ্গে বিজেপি’র শক্তিশালী উত্থান তৃণমূলের শক্ত ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত পশ্চিমবঙ্গ। ২০১৪ সালে এ রাজ্যে বিজেপি’র জয় ছিল মাত্র ২ আসনে। কিন্তু এবারই ঘুঁটি ঘুরিয়ে দিয়েছে দলটি। তৃণমূলের মমতা ব্যানার্জির কানের পাশ দিয়ে গুলি গেছে বলতে হবে। আসন সংখ্যায় এ রাজ্যে তৃণমূলের কাছাকাছিই থাকছে বিজেপি। রাজস্থান ও ছত্তিশগড়ে কংগ্রেসের হার গত বছরের ডিসেম্বরেও বিধানসভার নির্বাচনে এ দুই রাজ্যে বড় সফলতা পেয়েছিল কংগ্রেস। এখান থেকেই বিজেপি’র পতনের আশা সঞ্চার করেছিল দলটি। তবে লোকসভা নির্বাচনে দেখা গেছে এখানকার মানুষ আবারও মোদিকেই টেনে নিয়েছেন। অঘটনের পর অঘটন। এবারের লোকসভা নির্বাচন ছিল চমকে ভরা। কিন্তু বুঝতে হবে, ‘মোদি হে তো মুমকিন হে!’ অর্থাৎ মোদি থাকলে সবই সম্ভব।

Tag :

ভিডিও

এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

Azam Rehman

জনপ্রিয় সংবাদ

দুর্নীতির অভিযোগে পীরগঞ্জ পাইলট স্কুলের প্রধান শিক্ষক বরখাস্ত

লোকসভা নির্বাচনে যত সব অঘটন

আপডেট টাইম ০১:১৯:৩০ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৫ মে ২০১৯

এক্সক্লুসিভ:::  ‘বুরা না মানো, মোদি হে!’ হ্যাঁ ভারতে আবারও ফিরে এসেছে মোদি সরকার। বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ জোট শুধু জয়ই পায়নি, এটি সপষ্টভাবেই ভারতের স্বাধীনতার পর বিজেপি’র সব থেকে বড় বিজয়। তবে এ নির্বাচনে ঘটেছে অনেক অঘটনও। এরমধ্যে আছে আমেথিতে কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধীর পরাজয় ও ভুপালে সন্ত্রাসবাদে অভিযুক্ত প্রজ্ঞা ঠাকুরের জয়। আছে নানা চমকও।

একনজরে দেখে নিন ২০১৯ লোকসভা নির্বাচনের যত অঘটন: আমেথিতে রাহুল গান্ধীর পরাজয় রাহুল গান্ধী ও তার দল কংগ্রেস আমেথিতে বিজেপি’র স্মৃতি ইরানির কাছে হেরে গেছে। আমেথিকে বলা হয় কংগ্রেসের দুর্গ। স্বাধীনতার পর এই তৃতীয়বারের মতো এমন অঘটন ঘটলো এ আসনে। একই সঙ্গে ২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনে এটি বিজেপি’র জন্য অন্যতম বড় জয় হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।

প্রজ্ঞা ঠাকুরের জয় সন্ত্রাসবাদে অভিযুক্ত প্রজ্ঞা ঠাকুর তার আসনে জয় পেয়েছেন। তিনি ভারতের জাতির জনক মহাত্মা গান্ধীর হত্যাকারী নাথুরাম গডসে’কে দেশভক্ত বলে সমালোচিত হয়েছেন। তবে এ মন্তব্যের জন্য পরে ক্ষমা চান তিনি। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি তাকে ক্ষমা করেননি। তিনি সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, এজন্য প্রজ্ঞাকে কোনোদিনই ক্ষমা করতে পারবেন না তিনি। কিন্তু তাকে দল থেকে বহিষ্কার করেননি মোদি। এখন সেই প্রজ্ঞাই পার্লামেন্টে জনগণের প্রতিনিধিত্ব করতে যাচ্ছেন। সর্বহারা চন্দ্রবাবু নাইডু চন্দ্রবাবু নাইডু ও তার দল টিডিপি সব হারিয়েছেন। হ্যাঁ, তেলেঙ্গানা ও অন্ধ্র প্রদেশে একটি আসনেও জিততে পারেনি টিডিপি প্রার্থীরা। উল্লেখ্য, এবার নির্বাচনের শেষের দিকে তিনি বিজেপি বিরোধী কঠোর অবস্থান নিয়েছিলেন। বিজেপি থামাও- এমন অঙ্গীকারে তিনি বিরোধী দলগুলোকে একত্রিত করার চেষ্টা করছিলেন। কিন্তু সেই চন্দ্রবাবু এখন সর্বহারায় পরিণত হয়েছেন। উল্টো দোর্দণ্ড প্রতাপ নিয়ে ক্ষমতায় ফিরছে বিজেপি। দিল্লি থেকে মুছে গেছে আম আদমি পার্টি অরবিন্দ কেজরিওয়াল নেতৃত্বাধীন আম আদমি পার্টি দিল্লি থেকে একটি আসনও পায়নি। তবে অঘটনের শেষ এখানেই নয়। শিক্ষাখাতে বৈপ্লবিক পরিবর্তনের জন্য পরিচিত অতিশী মারলেনা শুধু বিজেপি প্রার্থীর কাছে হারেনই নি, তিনি তার আসনে তৃতীয় হয়েছেন। তার আসনে জয় পেয়েছেন ক্রিকেটার ও বিজেপি’র প্রার্থী গৌতম গাম্ভীর। কর্ণাটকে ব্যর্থ কংগ্রেস-জেডি (এস) জোট বিজেপিকে থামাতে কর্ণাটকে জোট বাঁধে কংগ্রেস ও জেডিএস। তবে এরপরও নিজেদের হার থামাতে পারেনি এই জোট। এমনকি সাবেক প্রধানমন্ত্রী দেবে গৌড়াও তার আসন থেকে হেরে গেছেন। পশ্চিমবঙ্গে বিজেপি’র শক্তিশালী উত্থান তৃণমূলের শক্ত ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত পশ্চিমবঙ্গ। ২০১৪ সালে এ রাজ্যে বিজেপি’র জয় ছিল মাত্র ২ আসনে। কিন্তু এবারই ঘুঁটি ঘুরিয়ে দিয়েছে দলটি। তৃণমূলের মমতা ব্যানার্জির কানের পাশ দিয়ে গুলি গেছে বলতে হবে। আসন সংখ্যায় এ রাজ্যে তৃণমূলের কাছাকাছিই থাকছে বিজেপি। রাজস্থান ও ছত্তিশগড়ে কংগ্রেসের হার গত বছরের ডিসেম্বরেও বিধানসভার নির্বাচনে এ দুই রাজ্যে বড় সফলতা পেয়েছিল কংগ্রেস। এখান থেকেই বিজেপি’র পতনের আশা সঞ্চার করেছিল দলটি। তবে লোকসভা নির্বাচনে দেখা গেছে এখানকার মানুষ আবারও মোদিকেই টেনে নিয়েছেন। অঘটনের পর অঘটন। এবারের লোকসভা নির্বাচন ছিল চমকে ভরা। কিন্তু বুঝতে হবে, ‘মোদি হে তো মুমকিন হে!’ অর্থাৎ মোদি থাকলে সবই সম্ভব।