আজম রেহমান,ঠাকুরগাঁও জেলা প্রতিনিধি
ঠাকুরগাঁও : ঠাকুরগাঁওয়ে ইটভাটার বিষাক্ত গ্যাসে পুড়ে গেছে প্রায় দেড়শ বিঘার জমির বোরো ধান ক্ষেত। আর চরম ক্ষতি হয়েছে ভুট্টা, মরিচ ও আমের মুকুল। অভিযোগ করে কোন প্রতিকার পাচেছ না ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকরা।
সদর উপজেলার আকচা ইউপি চেয়ারম্যান সুব্রত সরকার জানান তার এলাকার আবাসিক ও ফসলি জমিতে ১৫-২০টি ইট ভাটা গড়ে উঠেছে । তিনি বলেন ইট ভাটার নির্গত বিষাক্ত ধোয়া গ্রাস করছে ধান সহ ফল ফসল । এবছর তিনটি ভাটার বিষাক্ত গ্যাসে প্রায় ৪০ বিঘার জমির ধান, ভুট্টা ও আম-লিচু বিনষ্ট হয়েছে । একই ভাবে বেগুন বাড়ি ইউনিয়নের ভোপলা ও রহিয়া ইউনিয়নের ২টি গ্রামে এবং রাণীশংকৈল উপজেলার নন্দুয়ার ইউনিয়নের কৃষি জমিতে গড়ে উঠা ইটভাটার চিমনি থেকে নির্গত বিষাক্ত ধোঁয়ায় ১শতাধিক বিঘা জমির বোরো ধান, আম ও লিচু বাগান, মরিচ ও ভুট্টা ক্ষেতও পুড়ে গেছে।
আকচা গ্রামের নৃগেন চন্দ্র রায় অভিযোগ করে বলেন ভাটা মালিকরা প্রভাবশালী হওয়ায় প্রতিবাদ করে প্রতিকার মিলছে না ।
ইউনিয়ন উপ-সহকারি কৃষি কর্মকর্তা দিদারল ইসলাম বলেন তার কর্ম এলাকার কৃষক ইট ভাটার ক্ষতিকারক গ্যাসে চলতি মৌসুমের ফল-ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে । তিনি এ বিষয়টি তার কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছেন বলে জানান কৃষি বিভাগের মাঠ পর্যায়ের এই কর্মকর্তা । এ প্রসঙ্গে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক আফতাব হোসেন বলেন ক্ষতি গ্রস্ত কৃষকদের তালিকা করে জেলা প্রশাসক কে দেয়া হয়েছে । তিনি আরও বলেন একটি ভাটার মালিক কিছু সংখ্যক কৃষককে ক্ষতিপূরণ দিয়েছে ।
পরিবেশ বাচাঁও আন্দোলনের নেতা মাহাবুব আলম বলেন সরকারি হিসেবে এ জেলায় ১শ’১৬টি ইটভাটা থাকলেও এসব ইট ভাটা অনুমোদন ছাড়া চলছে ।তিনি আরও বলেন, ফসলি জমি এবং আবাসিক এলাকা থেকে ২ কিলোমিটার দুরে ইট ভাটা করার সরকারি প্রজ্ঞাপন জারী করা হলেও তা মেনে কেউ ইট ভাটা স্থাপন করেনি ।
এ বিষয়ে ঠাকুরগাঁও জেলা প্রশাসক কে.এম কামরজ্জামান সেলিম বলেন তিনি প্রশাসনিক ভাবে ব্যবস্থা নেবেন ।