সারাদিন ডেস্ক:: বিএনপি আমলের দুর্নীতি নিয়ে জাতীয় সংসদে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বক্তব্যের দুই দিন পর শুক্রবার ঢাকায় এক আলোচনা সভায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মওদুদের এমন বক্তব্য আসে।
তিনি বলেন, “এ সরকার তো শেষ সরকার নয়, এই সরকারকে একদিন বিদায় নিতে হবে। তারপরে এই সরকারের আমলে যত দুর্নীতি হয়েছে, ইনশাল্লাহ তাদের দুর্নীতির ওপর একটি শ্বেতপত্র প্রকাশ করা হবে।”
আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন বর্তমান সরকারের মন্ত্রী-এমপিদের পাশাপাশি তাদের ‘মদদপুষ্ট’ ব্যবসায়ী, এমনকি জেলা পর্যায়ের নেতাদের সবার ‘দুর্নীতির হিসাব’ সেখানে থাকবে এবং সেদিন তাদের বিচারের মুখোমুখি করা হবে বলে হুমকি দেন এই বিএনপি নেতা।
তিনি বলেন, “কোনো জবাবদিহিতা নাই এই সরকারের, কোনো রকমের কোনো মনিটরিং নাই। যত বড় বড় প্রকল্প তত হাজার হাজার কোটি টাকা, যত বড় বড় প্রকল্প তত বড় বড় কমিশন। যত বড় বড় কমিশন তত বড় বড় ঘুষ।”
মওদুদ বলেন, বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে জরুরি অবস্থার সময় ১৫টি মামলা ছিল। সেগুলোর একটিও এখন নেই।
“আর আমার নেত্রীর (খালেদা জিয়া) বিরুদ্ধে তখন চারটি মামলা ছিল, তার সঙ্গে এখন যোগ হয়েছে ৩২টি মামলা। আমার যে আগামী বইটা বের হবে, তাতে সব পাবেন।”
মামলায় হেরে বাড়ি হারানোর প্রসঙ্গ টেনে সাবেক আইনমন্ত্রী মওদুদ সরকারের উদ্দেশে বলেন, “আমার বাড়ি নিয়ে গেছেন, আমাদের খরিদ করা বাড়ি, প্রাইভেট পারসন থেকে নেওয়া, সরকারের সম্পত্তি না। পুলিশ পাঠিয়ে নিয়ে গেলেন, কোনো নোটিস দিলেন না, কোর্টে কোনো অর্ডার নাই। কেন? আমি বিরোধী দল করি।”
বিরোধী দলে না থাকলে এভাবে বাড়ি হারাতে হত না বলেও মন্তব্য করেন এইচ এম এরশাদের উপ রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব পালন করা মওদুদ।
তিনি বলেন, “আমি এই সরকারের আমলে দুই বার জেলে গেছি। অনেকে বলে মওদুদ সাহেব জেলে যেতে চায় না। জেল আমাদের জন্য নতুন কিছু নয়। আমি আটবার জেল খেটেছি। ১৯৫৫ সালে ভাষা আন্দোলনের সময় আমি প্রথম জেলে যাই। সুতরাং জেলকে আমাদের ভয় করার কিছু নাই।”
জাতীয় প্রেস ক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে ২০ দলীয় জোটের শরিক ন্যাশনাল পিপলস পার্টির (এনপিপি) উদ্যোগে ‘বিএনপি চেয়ারপারসনের মুক্তি এবং নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে জাতীয় নির্বাচন দাবি’ শীর্ষক এ আলোচনা সভা হয়।