বেরোবি প্রতিনিধি::
পদোন্নতি নীতিমালা বাস্তবায়নসহ তিন দফা দাবিতে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) প্রশাসনিক ভবনে তালা লাগিয়ে সর্বাত্মক কর্মবিরতি পালন করছে কর্মচারী সমন্বয় পরিষদ নামে তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীদের একটি সংগঠন। কর্মবিরতির তৃতীয় দিনে গতকাল প্রশাসনিক ভবনের দুই গেটেই তালা ঝুলিয়ে দিয়ে তারা এ কর্মসূচি পালন করে। সর্বাত্মক কর্মবিরতিতে কার্যত অচল হয়ে পড়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল কার্যক্রম। কর্মচারীরা অভিযোগ করে বলেন, আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ে অতিকষ্টে চাকরি করছি। গায়েবি কারণে কয়েকজনকে ৪৪ মাস যাবৎ বেতন-ভাতা দেয়া হয়নি। ২৮৮ জনকে বকেয়া পরিশোধ করলেও ৫৮জন কর্মচারীর বকেয়া পাওনা আছে। এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন যে বক্তব্য দিয়েছে, তা গ্রহণযোগ্য নয়। কারণ, ২৮৮ জনের বকেয়া দেয়ার ক্ষেত্রে মামলার কোনো প্রশ্ন ওঠেনি।
তাহলে, ৫৮ জনের ক্ষেত্রে কেন মামলার প্রশ্ন তোলা হলো? তা ছাড়া, ওই ৫৮ জনের নামে কোনো মামলা নেই, তা আগেই চিঠির মাধ্যমে ইউজিসিকে জানিয়েছেন রেজিস্ট্রার মহোদয়। তাই, আমরা মনে করি, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ৫৮ জনের বকেয়া আটকে রেখে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টির অপচেষ্টা করছেন। এদিকে চলমান কর্মবিরতিতে বেরোবির কার্যক্রমে অনেকটা অচলাবস্থা বিরাজ করছে। তালা লাগানোর ফলে কার্যত অচল হয়ে পড়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনি ও একাডেমিক কার্যক্রম। এ বিষয়ে কর্মচারী সমন্বয় পরিষদের সমন্বয়ক মাহবুবার রহমান বলেন, আমরা অনির্দিষ্ট কালের কর্মবিরতি ঘোষণা দিয়েছিলাম। কিন্তু প্রশাসন কোনো সহযোগিতা বা আলোচনার ইঙ্গিত না দেয়ায় বাধ্য হয়ে তালা দিয়েছি। দাবি আদায় অথবা কার্যকর কোনো পদক্ষেপ নেয়া না হলে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন তিনি। সার্বিক বিষয়ে জানতে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহর মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।