নিজেদের শরীরকে পুঁজি করে এমনই ফাঁদ পেতেছিলেন তারা। দলে সদস্য সংখ্যা মোট আট। এর মধ্যে বাকি ৬ জন পুরুষ। এদের মধ্যে আছে জিমেনার বয়ফ্রেন্ড টোপো ওজেদা।
স্থানীয় মিডিয়ার রিপোর্টে বলা হয়েছে, তদন্তকারীরা প্রমাণ পেয়েছেন যে, ২০১৮ সালের নভেম্বরে পিনামার সমুদ্র সৈকতে একজন পুরুষকে শিকারে পরিণত করেছিলেন ওই দুই যুবতীর একজন। এরপর পরই তারা একটি প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলেন। এ বছরের মার্চে তারা ইতুজাইঙ্গোতে একটি বার-এ সাক্ষাত করতে রাজি হন। এতে উপস্থিত থাকার কথা বলা হয়, ওই যুবতীর বোন ও ওই পুরুষ ব্যবসায়ীর একজন বন্ধুর। তবে তাদের কারো নাম প্রকাশ করা হয় নি। ওই বার-এ তারা নির্ধারিত দিনে উপস্থিত হন। প্রায় দুই ঘন্টা কেটে যায়। এক পর্যায়ে দুই বোনের মধ্যে একজন বাসায় পৌঁছে দেয়ার কথা বলেন।
বারে যোগ দেয়া পুরুষদের একটি গাড়িতে করে তারা যাত্রা করেন ওই যুবতীর বাসায়। বাসার কাছে গিয়ে একজন যুবতী সঙ্গের পুরুষদের একজনকে নেমে আসতে বলেন, যেন তিনি তাকে বিদায়ী চুমু দিতে পারেন। তিনি গাড়ি থেকে নামার সঙ্গে সঙ্গে সশস্ত্র কয়েকজন পুরুষ তাদেরকে ঘিরে ফেলে এবং ওই পুরুষকে তাদের গাড়িতে আটকে ফেলে। তার কাছে দাবি করা হয় ২০ লাখ আর্জেন্টাইন পেসো বা ৩৬,৭৮০ পাউন্ড। নারীদেহের ফাঁদে পড়া ওই দুই পুরুষ জানান, তাদের কাছে অতো অর্থ নেই। তবে তাদের কাছে স্থানীয় মুদ্রায় অতো অর্থ নেই। তবে তাদের কাছে ছিল ৬০ হাজার ডলার। এ কথা শোনার পর তাদেরকে নিয়ে যাওয়া হয় পুয়ের্তো মাদেরোতে একটি ফ্লাটে। সশস্ত্র প্রহরা বসানো হয়। তাদের কাছ থেকে ওই অর্থ হাতিয়ে নেয়ার পরই ওই দুই পুরুষকে মুক্তি দেয়া হয়। তাদের গাড়িটি পর্যন্ত নিয়ে যায় ওই গ্যাং। সঙ্গে নিয়ে যায় তাদের মোবাইল ফোনও।
এ ঘটনার শিকার ব্যক্তিরা পুলিশে অভিযোগ করেন। ফলে তদন্ত শুরু করে পুলিশ। এ অবস্থায় ওই গ্যাংয়ের সঙ্গে সম্পর্ক থাকতে পারে এমন ১০টি বাড়ি তল্লাশির নির্দেশ দেন প্রসিকিউটর লিয়ানদ্রো ভেনট্রিসেলি। সেই অভিযানে গ্রেপ্তার করা হয় ওই ৬ পুরুষ ও দুই যুবতীকে। তাদের বিরুদ্ধে ডাকাতি, অপহরণ সহ আরো বেশ কিছু অভিযোগ আনা হয়েছে।