ঢাকা ১২:০৮ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
ভাল মানুষ থেকেইে ভাল মানুষ তৈরী হয়—ঠাকুরগাঁওয়ে আল-হাসানাহ স্কুলের শিক্ষার্থীদের মাঝে পুরুস্কার বিতরনী অনুষ্ঠানে সাবেক এমপি জাহিদুর রহমান ঠাকুরগাঁয়ে যুবলীগ নেতার পলিথিন কারখানা বন্ধ, মালামাল জব্দ সাগর-রুনি হত্যা মামলা র‌্যাব থেকে তদন্তের দায়িত্ব পিবিআইয়ের কাছে সংস্কারের পরেই নির্বাচন: ড. ইউনূস বশিরউদ্দীন ও ফারুকীকে কার বুদ্ধিতে নিলেন, প্রশ্ন মান্নার ভূমি সেবায় দুর্নীতি-অনিয়মে তাৎক্ষণিক শাস্তির ব্যবস্থা ভোট কারচুপির তদন্ত সাবেক ডিসি-এসপি-ইউএনওদের ঘুম হারাম আসিফ নজরুলকে হেনস্তা,দূতাবাসের কাউন্সেলরকে দেশে ফেরত, চাকরি হারাচ্ছেন স্টাফ হাসিনাকে ফেরানোর উদ্যোগ, যা বলছে আনন্দবাজার পীরগঞ্জ পাইলট হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষকের রিরুদ্ধে এবার শিক্ষকদের ১২ দফা অভিযোগ

যে কারণে ঐক্যফ্রন্ট ছাড়লেন কাদের সিদ্দিকী

স্টাফ রিপোর্টার::নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ এনে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট থেকে বেরিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী। গতকাল সোমবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে  ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বাধীন ঐক্যফ্রন্ট ছাড়ার ঘোষণা দেন তিনি। কাদের সিদ্দিকী বলেন, জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট নামে যে জোট আমরা গড়েছিলাম, নির্বাচনের পর গত সাত মাসে তার কোনো অস্তিত্ব এখন খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। জাতীয় কোনো সমস্যাকে ঐক্যফ্রন্ট তুলে ধরতে পারছে না। এরকম একটি জোট যে আছে, তা দেশের মানুষ জানেই না। নির্বাচন পরবর্তী এই ৭ মাসে আনুষ্ঠানিকভাবে মতিঝিলে ড. কামাল হোসেনের অফিসে একটি অসমাপ্ত বৈঠক ছাড়া কখনো কোনো নির্দিষ্ট বিষয়বস্তু নিয়ে কোনো মিটিং হয়নি। তাতে মনে হয় কোনো কালে কখনো জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট নামে বাংলাদেশে কোনো রাজনৈতিক জোট গঠন হয়নি। তিনি বলেন, জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের অস্তিত্ব বা ঠিকানা খোঁজার চিন্তা মাথা থেকে ঝেড়ে ফেলছি।

এই অবস্থায় দেশের জনগণের প্রকৃত পাহারাদার হিসেবে গঠিত কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ বসে থাকতে পারে না। জাতির এই ক্রান্তিলগ্নে জনগণকে পাশে নিয়ে নতুন উদ্যমে পথ চলা শুরুর অঙ্গীকার করছি আমরা। সংবাদ সম্মেলনের লিখিত বক্তব্যে ঐক্যফ্রন্ট ছাড়ার ব্যাপারে সরাসরি উল্লেখ না থাকায় এক সাংবাদিক প্রশ্ন করেন, আপনার দল কি জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট ছেড়ে দিল কিনা? জবাবে তিনি বলেন, আমার মনে হয় না এখানে কোনো অস্পষ্টতা আছে। সত্য কথা বলতে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট এখন খুঁজে পাওয়া যায় না। তার কোনো কর্মকাণ্ড নেই। সেজন্য সেখান থেকে আমরা চলে আসছি। জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের অকার্যকর অবস্থার জন্য কে দায়ী এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমি এবং কৃষক শ্রমিক জনতা লীগসহ যারা ঐক্যফ্রন্ট গঠন করেছিলেন, কমবেশি সকলেই দায়ী। তবে আমরা সব সময় দেশবাসীর কাছে বিশ্বস্ত থাকার চেষ্টা করেছি, ভবিষ্যতেও সেই চেষ্টা অব্যাহত থাকবে। অপর এক প্রশ্নের জবাবে কাদের সিদ্দিকী বলেন, রাজনীতি একটা প্রবাহমান নদীর মতো। এটা স্রোতধারার মতো। গণতন্ত্রকামী প্রতিটি মানুষের সঙ্গে আমাদের কাজ করা উচিত। সেক্ষেত্রে ঐক্যফ্রন্টে যারা ছিলেন, তাদের সঙ্গে ভবিষ্যতে কোনো কাজ করব না, এমন কোনো শর্ত নেই। নিভের্জাল গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় আমরা কাজ করব। তবে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের জোটে না যাওয়ার ইঙ্গিত দিয়ে তিনি বলেন, নির্বাচনের পর আমি বলেছিলাম- আর কিছু হোক বা না হোক, বর্তমান সরকারি দল ভবিষ্যতে কোনো দিন একটি সুষ্ঠু নির্বাচনে জয়লাভ করতে পারবে না। সেই রাস্তাটা তারা নিশ্চিত করেছে। আমরা সমমনা গণতন্ত্রপ্রেমী এই দেশের প্রতিটি দলের সঙ্গে কাজ করার চেষ্টা করব। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের মনোনয়ন প্রক্রিয়া নিয়ে প্রশ্ন তুলে তিনি বলেন, নির্বাচন হয়েছে ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বে ঐক্যফ্রন্টের ব্যানারে। কিন্তু জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের মনোনয়ন ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বে দেয়া হয়নি। ঐক্যফ্রন্টের যে অফিস ছিল সেখান থেকেও দেয়া হয়নি। এটা দেয়া হয়েছে সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার গুলশানের কার্যালয় থেকে। মূলত নেতৃত্ব দিয়েছে বিএনপি। এই জিনিসটা গুরুতর অন্যায় হয়েছে। ঐক্য গঠনের নীতিমালার পরিপন্থি হয়েছে। কাদের সিদ্দিকী বলেন, জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের সাফল্য হল-৩০শে ডিসেম্বরের নির্বাচনকে সরকার প্রহসনে পরিণত করেছে। আর এটি উন্মোচিত করতে পেরেছে ঐক্যফ্রন্ট। এই নির্বাচন না হলে সরকার যে এমন উলঙ্গভাবে দুষ্কর্ম করতে পারে, এটা কেউ জানত না, বিশ্বাসও করত না।
নির্বাচনের পর গণফোরামের বিজয়ী প্রার্থী সুলতান মো. মনসুর আহমেদের সমালোচনা করে তিনি বলেন, সংসদ সদস্য হিসেবে শপথ নিয়ে জাতিকে বিভ্রান্ত করা হয়েছে। জাতির পেছনে ছুরিকাঘাত করা হয়েছে। মানুষের আশা-আকাঙ্ক্ষাকে পদদলিত করা হয়েছে। শুধু মনসুর নয়, যারাই শপথ নিয়েছেন, সেটাকে মীরজাফরের চাইতেও খারাপভাবে দেখা যেতে পারে। শেষ পর্যায়ে এসে বিএনপির নির্বাচিতদের সংসদে যাওয়ার অনুমতি দেয়ার সমালোচনা করে তিনি বলেন, বিএনপি একজনকে বহিষ্কার ও চারজনকে দলীয় অভিনন্দন জানানো। এটা কী ব্যাপার আমরাও বুঝতে পারিনি। অন্যদিকে, বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর শপথ গ্রহণ না করায় তার আসন শূন্য হল। পরে তার আসনে আবার নির্বাচন করে সংসদে গেল! এটার অর্থও বুঝতে পারিনি। যদি বিএনপিকে সংসদে যেতে হবে, তাহলে ফখরুল ইসলাম আলমগীর কেন গেলেন না? তা জাতির কাছে স্পষ্ট হয়নি। নৈতিকভাবে এর কোনো জবাব নেই। বিএনপির এই অবস্থান নিয়ে তাদের দলের মধ্যেই বিভিন্ন নেতা প্রশ্ন তুলেছেন। প্রশ্ন উঠেছে তাদের আরেক জোট ২০ দলেও। এই কারণে আন্দালিব রহমান পার্থ নেতৃত্বাধীন বিজেপিও জোট ছেড়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে কাদের সিদ্দিকীর স্ত্রী নাসরিন সিদ্দিকী, মেয়ে কুঁড়ি সিদ্দিকী, দলের সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান তালুকদার বীর প্রতীক, সাংগঠনিক সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন, কেন্দ্রীয় নেতা আবদুল্লাহ, আমিনুল ইসলাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
Tag :

ভিডিও

এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

Azam Rehman

জনপ্রিয় সংবাদ

ভাল মানুষ থেকেইে ভাল মানুষ তৈরী হয়—ঠাকুরগাঁওয়ে আল-হাসানাহ স্কুলের শিক্ষার্থীদের মাঝে পুরুস্কার বিতরনী অনুষ্ঠানে সাবেক এমপি জাহিদুর রহমান

যে কারণে ঐক্যফ্রন্ট ছাড়লেন কাদের সিদ্দিকী

আপডেট টাইম ০১:০৩:০৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ১০ জুলাই ২০১৯
স্টাফ রিপোর্টার::নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ এনে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট থেকে বেরিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী। গতকাল সোমবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে  ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বাধীন ঐক্যফ্রন্ট ছাড়ার ঘোষণা দেন তিনি। কাদের সিদ্দিকী বলেন, জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট নামে যে জোট আমরা গড়েছিলাম, নির্বাচনের পর গত সাত মাসে তার কোনো অস্তিত্ব এখন খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। জাতীয় কোনো সমস্যাকে ঐক্যফ্রন্ট তুলে ধরতে পারছে না। এরকম একটি জোট যে আছে, তা দেশের মানুষ জানেই না। নির্বাচন পরবর্তী এই ৭ মাসে আনুষ্ঠানিকভাবে মতিঝিলে ড. কামাল হোসেনের অফিসে একটি অসমাপ্ত বৈঠক ছাড়া কখনো কোনো নির্দিষ্ট বিষয়বস্তু নিয়ে কোনো মিটিং হয়নি। তাতে মনে হয় কোনো কালে কখনো জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট নামে বাংলাদেশে কোনো রাজনৈতিক জোট গঠন হয়নি। তিনি বলেন, জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের অস্তিত্ব বা ঠিকানা খোঁজার চিন্তা মাথা থেকে ঝেড়ে ফেলছি।

এই অবস্থায় দেশের জনগণের প্রকৃত পাহারাদার হিসেবে গঠিত কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ বসে থাকতে পারে না। জাতির এই ক্রান্তিলগ্নে জনগণকে পাশে নিয়ে নতুন উদ্যমে পথ চলা শুরুর অঙ্গীকার করছি আমরা। সংবাদ সম্মেলনের লিখিত বক্তব্যে ঐক্যফ্রন্ট ছাড়ার ব্যাপারে সরাসরি উল্লেখ না থাকায় এক সাংবাদিক প্রশ্ন করেন, আপনার দল কি জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট ছেড়ে দিল কিনা? জবাবে তিনি বলেন, আমার মনে হয় না এখানে কোনো অস্পষ্টতা আছে। সত্য কথা বলতে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট এখন খুঁজে পাওয়া যায় না। তার কোনো কর্মকাণ্ড নেই। সেজন্য সেখান থেকে আমরা চলে আসছি। জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের অকার্যকর অবস্থার জন্য কে দায়ী এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমি এবং কৃষক শ্রমিক জনতা লীগসহ যারা ঐক্যফ্রন্ট গঠন করেছিলেন, কমবেশি সকলেই দায়ী। তবে আমরা সব সময় দেশবাসীর কাছে বিশ্বস্ত থাকার চেষ্টা করেছি, ভবিষ্যতেও সেই চেষ্টা অব্যাহত থাকবে। অপর এক প্রশ্নের জবাবে কাদের সিদ্দিকী বলেন, রাজনীতি একটা প্রবাহমান নদীর মতো। এটা স্রোতধারার মতো। গণতন্ত্রকামী প্রতিটি মানুষের সঙ্গে আমাদের কাজ করা উচিত। সেক্ষেত্রে ঐক্যফ্রন্টে যারা ছিলেন, তাদের সঙ্গে ভবিষ্যতে কোনো কাজ করব না, এমন কোনো শর্ত নেই। নিভের্জাল গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় আমরা কাজ করব। তবে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের জোটে না যাওয়ার ইঙ্গিত দিয়ে তিনি বলেন, নির্বাচনের পর আমি বলেছিলাম- আর কিছু হোক বা না হোক, বর্তমান সরকারি দল ভবিষ্যতে কোনো দিন একটি সুষ্ঠু নির্বাচনে জয়লাভ করতে পারবে না। সেই রাস্তাটা তারা নিশ্চিত করেছে। আমরা সমমনা গণতন্ত্রপ্রেমী এই দেশের প্রতিটি দলের সঙ্গে কাজ করার চেষ্টা করব। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের মনোনয়ন প্রক্রিয়া নিয়ে প্রশ্ন তুলে তিনি বলেন, নির্বাচন হয়েছে ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বে ঐক্যফ্রন্টের ব্যানারে। কিন্তু জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের মনোনয়ন ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বে দেয়া হয়নি। ঐক্যফ্রন্টের যে অফিস ছিল সেখান থেকেও দেয়া হয়নি। এটা দেয়া হয়েছে সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার গুলশানের কার্যালয় থেকে। মূলত নেতৃত্ব দিয়েছে বিএনপি। এই জিনিসটা গুরুতর অন্যায় হয়েছে। ঐক্য গঠনের নীতিমালার পরিপন্থি হয়েছে। কাদের সিদ্দিকী বলেন, জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের সাফল্য হল-৩০শে ডিসেম্বরের নির্বাচনকে সরকার প্রহসনে পরিণত করেছে। আর এটি উন্মোচিত করতে পেরেছে ঐক্যফ্রন্ট। এই নির্বাচন না হলে সরকার যে এমন উলঙ্গভাবে দুষ্কর্ম করতে পারে, এটা কেউ জানত না, বিশ্বাসও করত না।
নির্বাচনের পর গণফোরামের বিজয়ী প্রার্থী সুলতান মো. মনসুর আহমেদের সমালোচনা করে তিনি বলেন, সংসদ সদস্য হিসেবে শপথ নিয়ে জাতিকে বিভ্রান্ত করা হয়েছে। জাতির পেছনে ছুরিকাঘাত করা হয়েছে। মানুষের আশা-আকাঙ্ক্ষাকে পদদলিত করা হয়েছে। শুধু মনসুর নয়, যারাই শপথ নিয়েছেন, সেটাকে মীরজাফরের চাইতেও খারাপভাবে দেখা যেতে পারে। শেষ পর্যায়ে এসে বিএনপির নির্বাচিতদের সংসদে যাওয়ার অনুমতি দেয়ার সমালোচনা করে তিনি বলেন, বিএনপি একজনকে বহিষ্কার ও চারজনকে দলীয় অভিনন্দন জানানো। এটা কী ব্যাপার আমরাও বুঝতে পারিনি। অন্যদিকে, বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর শপথ গ্রহণ না করায় তার আসন শূন্য হল। পরে তার আসনে আবার নির্বাচন করে সংসদে গেল! এটার অর্থও বুঝতে পারিনি। যদি বিএনপিকে সংসদে যেতে হবে, তাহলে ফখরুল ইসলাম আলমগীর কেন গেলেন না? তা জাতির কাছে স্পষ্ট হয়নি। নৈতিকভাবে এর কোনো জবাব নেই। বিএনপির এই অবস্থান নিয়ে তাদের দলের মধ্যেই বিভিন্ন নেতা প্রশ্ন তুলেছেন। প্রশ্ন উঠেছে তাদের আরেক জোট ২০ দলেও। এই কারণে আন্দালিব রহমান পার্থ নেতৃত্বাধীন বিজেপিও জোট ছেড়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে কাদের সিদ্দিকীর স্ত্রী নাসরিন সিদ্দিকী, মেয়ে কুঁড়ি সিদ্দিকী, দলের সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান তালুকদার বীর প্রতীক, সাংগঠনিক সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন, কেন্দ্রীয় নেতা আবদুল্লাহ, আমিনুল ইসলাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।