সারাদিন ডেস্ক:: অস্ট্রেলিয়া মাঠে নামবে আর বিতর্ক হবে না, সেটা কীভাবে হয়। ডারবান টেস্টে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ১১৮ রানের দুর্দান্ত জয়ের কালো ছায়া ফেলছে অহেতুক বিতর্ক। টেস্টের চতুর্থ দিন কিংসমিডের ড্রেসিংরুমে যাওয়ার পথে বচসায় জড়ান অস্ট্রেলিয়ার ডেভিড ওয়ার্নার আর দক্ষিণ আফ্রিকার কুইন্টন ডি কক। কেবল বচসাতেই সীমাবদ্ধ থাকলে সমস্যা ছিল না, এই দুই তারকা প্রায় হাতাহাতির পর্যায়েই নিজেদের নিয়ে গিয়েছিলেন। উত্তেজিত হয়ে দুজন দুজনের পরিবার-পরিজন নিয়েও নাকি বাজে মন্তব্য করতে ছাড়েননি।
ঘটনাটি রীতিমতো আলোড়ন তুলেছে ক্রিকেট দুনিয়ায়। টেস্ট ক্রিকেটের মঞ্চে অতীতে এমন ঘটনা ঘটেছে কি না, এটা মনে করতে পারছেন না অনেকেই। মাঠে টুকটাক স্লেজিং হয়—এটা সবাই জানে। কিন্তু মাঠের ঘটনার জের ধরে পুরো বিষয় যে ব্যক্তিগত পর্যায়ে চলে যাবে, সেটা কেউই ভাবতে পারছেন না।
এর আগে এবি ডি ভিলিয়ার্সের রানআউট নিয়ে সমস্যার সৃষ্টি হয়। প্রোটিয়া তারকা আউট হওয়ার অস্ট্রেলীয় ক্রিকেটাররা নাকি খুব দৃষ্টিকটু উদ্যাপনে মেতেছিলেন। ডি ভিলিয়ার্স রানআউট বাঁচাতে ডাইভ দেওয়ায় মাটিতে পড়ে ছিলেন। এ সময় নাথান লায়ন বলটা তাঁর মুখে ছুড়ে মারেন। এটা অবশ্য ম্যাচ রেফারির দৃষ্টিতে পড়েছে। বড় ধরনের জরিমানাই হতে যাচ্ছে অস্ট্রেলীয় স্পিনারের।
তবে ওয়ার্নার-ডি ককের বচসার সঙ্গে এর কোনো সম্পর্ক আছে কি না, সেটা জানা যায়নি। ওয়ার্নারই নাকি প্রথম ডি কককে অশ্রাব্য গালি দিয়েছিলেন মাঠের কোনো ঘটনার জের ধরে। ডি কক সেটা সহ্য করতে না পেরে পাল্টা দিতে চেয়েছেন। তবে যে পক্ষই প্রথমে শুরু করুক, যা ঘটেছে, সেটা টেস্ট ক্রিকেটের জন্য যে মোটেই ভালো কিছু নয়, সেটা অনুধাবন করতে পারছে আইসিসি। অস্ট্রেলিয়া ও দক্ষিণ আফ্রিকা দুই দলই বিষয়টা তদন্ত করে দেখছে।
তবে অস্ট্রেলীয় অধিনায়ক স্টিভ স্মিথ ওয়ার্নার-ডি কক ঘটনায় আঙুল তুলছেন ডি ককের দিকেই, ‘যা ঘটেছে, তা দুই দলের জন্যই লজ্জা। কিন্তু কুইন্টনই প্রথম ওয়ার্নারকে গালি দেয়। গালিটা শুনে নিজেকে ধরে রাখতে পারেনি ওয়ার্নার।’
অস্ট্রেলিয়া-দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজ সবে শুরু হলো। এই ঘটনার জের যে পুরো সিরিজেই থাকছে, এটা বলাই যায়।