ঢাকা ০১:৫৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

জাতীয় পার্টিতে অনৈক্যের সুর

স্টাফ রিপোর্টার,২৩ জুলাই ২০১৯, মঙ্গলবার::-
জাতীয় পার্টিতে অনৈক্য দেখা দিয়েছে। সাবেক প্রেসিডেন্ট হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের দাফনের এক সপ্তাহের মাথায় বিষয়টি সামনে এনেছেন সংসদের বিরোধীদলীয় উপনেতা ও পার্টির সিনিয়র কো-চেয়ারম্যান রওশন এরশাদ। তিনি জিএম কাদেরকে চেয়ারম্যান হিসেবে মেনে নিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন। বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের বিরোধীদলীয় উপনেতার প্যাডে হাতে লেখা এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে রওশন এরশাদ বলেছেন, জিএম কাদেরকে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান থেকে চেয়ারম্যান করার বিষয়টি দলীয় কোন ফোরামে আলোচনা হয়নি। তার এ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে মূলত এরশাদের জাতীয় পার্টির অনৈক্যের বিষয়টি আবারও প্রকাশ্যে দেখা দিলো।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিটি সোমবার রাতে গণমাধ্যমে পাঠানো হয়। এতে রওশদ এরশাদসহ ১০ জন জনের নাম উল্লেখ রয়েছে। তবে তাতে রওশন এরশাদ ছাড়া আর কারো স্বাক্ষর নেই।

দীর্ঘদিন চিকিৎসাধীন থাকার পর গত ১৪ই জুলাই মারা যান জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও সংসদের বিরোধীদলীয় নেতা সাবেক প্রেসিডেন্ট হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ। এর আগে গত জুনে শারীরিক অসুস্থতাজনিত কারণে পার্টির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হিসেবে জিএম কাদেরকে দায়িত্বভার অর্পন করেন তিনি। এরশাদের মৃত্যুর চার দিনের মাথায় গত ১৮ই জুলাই জাতীয় পার্টির মহাসচিব মশিউর রহমার রাঙ্গা জিএম কাদেরকে ভারপ্রাপ্ত  চেয়ারম্যান থেকে চেয়ারম্যান হিসেবে গণমাধ্যমের সামনে পরিচয় করিয়ে দেন। আর এর পাঁচ দিন পরেই তাকে চেয়ারম্যান পদে মানতে আপত্তি জানালেন রওশন এরশাদ।

রওশন এরশাদ প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করেছেন, সম্প্রতি বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমের মারফত জানতে পেরেছি জাতীয় পার্টির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জিএম কাদেরকে চেয়ারম্যান হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে, যা আদৌ কোন যথাযথ ফোরামে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়নি।

ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান দায়িত্বপালনকালে জাতীয় পার্টির গঠণতন্ত্র ধারা ২০(২) এর ‘খ’-এ দেয়া ক্ষমতা প্রয়োগ করিতে পারিবেন। যথা: ‘মনোনীত ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান প্রেসিডিয়ামের সংখ্যাগরিষ্ঠদের মতামতের ভিত্তিতে দায়িত্ব পালন করিবেন।’ চেয়াম্যানের অবর্তমানে ধারা ২০(২) এর ‘ক’-কে উপক্ষো করা যাবে না।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও উল্লেখ করা হয়, আশা করি, বর্তমানে যিনি ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন- তিনি পার্টির গঠণতন্ত্র অনুযায়ী পরবর্তী চেয়ারম্যান না হওয়া পর্যন্ত দায়িত্বপালন করবেন।

রওশদ এরশাদ বলেন, আমি আশা করবো সকল নেতাকর্মী গঠণতন্ত্রের প্রতি শ্রদ্ধাশীল  হইবেন। বিবৃতিতে ১০ নেতার নামোল্লেখ আছে। বিরোধীদলীয় উপনেতা দাবি করেছেন তার এই মতামতের প্রতি উল্লেখিতরা ছাড়াও আরও অনেক সিনিয়র নেতৃবৃন্দ একমত পোষণ করেন।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখিত ১০ জন হলেন, পার্টির সিনিয়র কো-চেয়ারম্যান বেগম রওশদ এরশাদ এমপি, প্রেসিডিয়াম সদস্য ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ এমপি, প্রেসিডিয়াম সদস্য সেলিম ওসমান এমপি, লিয়াকত হোসেন খোকা এমপি, রওশন আরা মান্নান এমপি, প্রেসিডিয়াম সদস্য নাসরিন জাহান রত্না এমপি, প্রেসিডিয়াম সদস্য মাসুদা এম রশিদ চৌধুরী এমপি, প্রেসিডিয়াম সদস্য মীর আবদুস সবুর আসুদ এবং প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যাপক দেলোয়ার হোসেন।
তবে এই তালিকায় থাকা একমাত্র রওশাদ এরশাদ ছাড়া নামের পাশে আর কারো স্বাক্ষর নেই।

Tag :

ভিডিও

এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

Azam Rehman

জাতীয় পার্টিতে অনৈক্যের সুর

আপডেট টাইম ০১:০০:১৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৩ জুলাই ২০১৯
স্টাফ রিপোর্টার,২৩ জুলাই ২০১৯, মঙ্গলবার::-
জাতীয় পার্টিতে অনৈক্য দেখা দিয়েছে। সাবেক প্রেসিডেন্ট হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের দাফনের এক সপ্তাহের মাথায় বিষয়টি সামনে এনেছেন সংসদের বিরোধীদলীয় উপনেতা ও পার্টির সিনিয়র কো-চেয়ারম্যান রওশন এরশাদ। তিনি জিএম কাদেরকে চেয়ারম্যান হিসেবে মেনে নিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন। বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের বিরোধীদলীয় উপনেতার প্যাডে হাতে লেখা এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে রওশন এরশাদ বলেছেন, জিএম কাদেরকে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান থেকে চেয়ারম্যান করার বিষয়টি দলীয় কোন ফোরামে আলোচনা হয়নি। তার এ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে মূলত এরশাদের জাতীয় পার্টির অনৈক্যের বিষয়টি আবারও প্রকাশ্যে দেখা দিলো।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিটি সোমবার রাতে গণমাধ্যমে পাঠানো হয়। এতে রওশদ এরশাদসহ ১০ জন জনের নাম উল্লেখ রয়েছে। তবে তাতে রওশন এরশাদ ছাড়া আর কারো স্বাক্ষর নেই।

দীর্ঘদিন চিকিৎসাধীন থাকার পর গত ১৪ই জুলাই মারা যান জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও সংসদের বিরোধীদলীয় নেতা সাবেক প্রেসিডেন্ট হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ। এর আগে গত জুনে শারীরিক অসুস্থতাজনিত কারণে পার্টির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হিসেবে জিএম কাদেরকে দায়িত্বভার অর্পন করেন তিনি। এরশাদের মৃত্যুর চার দিনের মাথায় গত ১৮ই জুলাই জাতীয় পার্টির মহাসচিব মশিউর রহমার রাঙ্গা জিএম কাদেরকে ভারপ্রাপ্ত  চেয়ারম্যান থেকে চেয়ারম্যান হিসেবে গণমাধ্যমের সামনে পরিচয় করিয়ে দেন। আর এর পাঁচ দিন পরেই তাকে চেয়ারম্যান পদে মানতে আপত্তি জানালেন রওশন এরশাদ।

রওশন এরশাদ প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করেছেন, সম্প্রতি বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমের মারফত জানতে পেরেছি জাতীয় পার্টির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জিএম কাদেরকে চেয়ারম্যান হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে, যা আদৌ কোন যথাযথ ফোরামে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়নি।

ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান দায়িত্বপালনকালে জাতীয় পার্টির গঠণতন্ত্র ধারা ২০(২) এর ‘খ’-এ দেয়া ক্ষমতা প্রয়োগ করিতে পারিবেন। যথা: ‘মনোনীত ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান প্রেসিডিয়ামের সংখ্যাগরিষ্ঠদের মতামতের ভিত্তিতে দায়িত্ব পালন করিবেন।’ চেয়াম্যানের অবর্তমানে ধারা ২০(২) এর ‘ক’-কে উপক্ষো করা যাবে না।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও উল্লেখ করা হয়, আশা করি, বর্তমানে যিনি ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন- তিনি পার্টির গঠণতন্ত্র অনুযায়ী পরবর্তী চেয়ারম্যান না হওয়া পর্যন্ত দায়িত্বপালন করবেন।

রওশদ এরশাদ বলেন, আমি আশা করবো সকল নেতাকর্মী গঠণতন্ত্রের প্রতি শ্রদ্ধাশীল  হইবেন। বিবৃতিতে ১০ নেতার নামোল্লেখ আছে। বিরোধীদলীয় উপনেতা দাবি করেছেন তার এই মতামতের প্রতি উল্লেখিতরা ছাড়াও আরও অনেক সিনিয়র নেতৃবৃন্দ একমত পোষণ করেন।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখিত ১০ জন হলেন, পার্টির সিনিয়র কো-চেয়ারম্যান বেগম রওশদ এরশাদ এমপি, প্রেসিডিয়াম সদস্য ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ এমপি, প্রেসিডিয়াম সদস্য সেলিম ওসমান এমপি, লিয়াকত হোসেন খোকা এমপি, রওশন আরা মান্নান এমপি, প্রেসিডিয়াম সদস্য নাসরিন জাহান রত্না এমপি, প্রেসিডিয়াম সদস্য মাসুদা এম রশিদ চৌধুরী এমপি, প্রেসিডিয়াম সদস্য মীর আবদুস সবুর আসুদ এবং প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যাপক দেলোয়ার হোসেন।
তবে এই তালিকায় থাকা একমাত্র রওশাদ এরশাদ ছাড়া নামের পাশে আর কারো স্বাক্ষর নেই।