ঢাকা ১১:৪৩ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আইসিজে কার্যত ভারতকেই সন্ত্রাসী রাষ্ট্র হিসেবে চিহ্নিত করেছে

ইকরাম সেহগাল, জুলাই ২৩, ২০১৯:: ভারতীয় নৌবাহিনীর কর্মরত অফিসার কূলভূষণ যাদব (১৯৯১ সালে কমিশনপ্রাপ্ত, গ্রেফতারের সময় ছিলেন লে. কমান্ডার র‌্যাংকে) ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা র-এর এজেন্ট হিসেবে পাকিস্তানের ভেতরে অন্তর্ঘাত চালানোর কাজে সম্পৃক্ত ছিলেন। তাকে ২০১৬ সালের মার্চে বালুচিস্তান থেকে গ্রেফতার করা হয়। ভিডিও টেক করা জিজ্ঞাসাবাদে কূলভূষণ জানান, ২০০১ সালের ডিসেম্বরে ভারতীয় পার্লামেন্টে হামলার প্রতিশোধ হিসেবে র-এর হয়ে কাজ করতে উদ্দীপ্ত হয়েছিলেন তিনি। ভিডিওতে তিনি স্বীকার করেন যে পাকিস্তানি সামরিক বাহিনী কিংবা বেসামরিক যে কোনো লোককে হতাহত করার জন্য পাকিস্তানের অভ্যন্তরে সহিংসতামূলক কার্যক্রমে জড়িত ছিলেন। পাকিস্তানের একটি সামরিক আদালতে ২০১৭ সালের ১০ এপ্রিল তাকে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়। পাকিস্তান গোয়েন্দা সংস্থার এটি ছিল একটি গুরুত্বপূর্ণ নিরাপত্তাগত সাফল্য।

ভারত ও র কখনো এই লোক বা তার কার্যক্রমের দায়িত্ব গ্রহণ করেনি। তারা এমনকি বালুচিস্তান বা পাকিস্তানে তাকে আটক করার কথাও অস্বীকার করে যাচ্ছে। তারা বলছে যে তাকে ইরান থেকে অপহরণ করা হয়েছে। আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিজে) যে রায় দিয়েছে তাতে যাদবের মুক্তি ও তাকে ফেরত দান ও প্রত্যাবর্তনের ভারতের দাবি প্রত্যাখ্যান করেছে। এর ফলে কার্যত পাকিস্তানের সামরিক আদালতের রায়কে স্বীকার করে নেয়া হয়েছে। রায়ে ভারতের জন্য যেটুকু স্বস্তি রয়েছে তা হলো তাকে ‘কনস্যুলার এক্সেস’ প্রদান করা হবে। এই সিদ্ধান্তের কারণ আইসিজে কনস্যুলার এক্সেস নিয়ে পাকিস্তান-ভারতের মধ্যকার দ্বিপক্ষীয় চুক্তিটিকে বৈধ বলে স্বীকার করেনি (এটি জাতিসংঘে নিবন্ধিত নয় বলে)। দ্বিপক্ষীয় ভারত-পাকিস্তান কনস্যুলার এক্সেস চুক্তিটি দুই পক্ষ সই করে ২০০৮ সালে। এতে গোয়েন্দাদেরকে কনস্যুলার এক্সেস প্রদান স্পষ্টভাবেই প্রত্যাখ্যান করা হয়েছে।

দুর্ভাগ্যজনকভাবে পাকিস্তান এটি জাতিসংঘে নিবন্ধন করেনি। পাকিস্তান যদি জাতিসংঘে এটি নিবন্ধন করে নিত, তবে আইসিজে এতে সম্পৃক্ত হতো না। ভারত ও পাকিস্তান উভয়েই এ ধরনের পদক্ষেপ নিয়ে ভিন্নমত পোষণ করতে পারে। কারণ উভয়ে জানত যে এ ধরনের পরিস্থিতির আবির্ভাব ঘটতে পারে। চুক্তিতে সই করার ফলে ভারত এ সম্পর্কে জানত, কিন্তু সেটি তার নিজের আইনে বাতিল করেছে। চুক্তি সই করে পরে তা নিয়ে প্রয়োজনে অভিযোগ করাটা একটি ভণ্ডামি। ভারত আইসিজেকে ব্যবহার করে আন্তর্জাতিক মিডিয়ায় প্রচার করছিল যে পাকিস্তান সন্ত্রাসবাদের মদতদাতা দেশ। আইসিজে রায় কিন্তু বিপরীতই হয়েছে, রায়ে ভারতকেই সন্ত্রাসে মদতদাতা দেশ হিসেবে অভিহিত করা হয়েছে।

পাকিস্তান বলে আসছে যে ভিয়েনা কনভেনশন গুপ্তচরদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে না। এটি বৈধ যুক্তি হলেও আদালত তা গ্রহণ করেনি। তুলনামূলকভাবে আলাদা ও স্বস্তিদায়ক অবস্থানে থেকে দি হেগ আসলে বুঝতে পারছে না যে ১৯৬৩ সালে সই হওয়া ও ১৯৬৭ সালে ১৮০টি দেশে অনুস্বাক্ষরিত হওয়া চুক্তিটি বর্তমানের গোপন যুদ্ধেরকালে ভিন্ন আবহ সৃষ্ট করেছে। ১৯৬৩ সালে চুক্তিটির সময় স্নায়ুযুদ্ধ ছিল সর্বোচ্চ মাত্রায়। ওই সময় কনস্যুলার অফিসাররা ছিলেন যোগাযোগের জন্য মুক্ত। বিদেশী নাগরিকরা আটক হলে তাদের দূতাবাসগুলোকে বিষয়টি জানানো হতো, যাতে কনস্যুলার অফিসাররা তাদের সাথে সাক্ষাত করে বিষয়টি নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারেন।

আর ১৯৬১ সালে কিউবায় সিআইএ বিদ্রোহী গ্রুপ ব্রিগেড ২৫০৬ গঠন করেছিল। ওই সময়ও সন্ত্রাসবাদ আর হাইব্রিড যুদ্ধের অস্তিত্ব ছিল। তবে নতুন নতুন প্রযুক্তি নিয়ে হাইব্রিড যুদ্ধ নতুন মাত্রা লাভ করেছে। এখন ভিয়েনা কনভেনশন সেকেলে হয়ে পড়েছে। নতুন পরিস্থিতিতে এটির অবস্থায় সমন্বয় সাধন করতে হবে। যখন রাষ্ট্রই হয় আগ্রাসী, সেই রাষ্ট্র যখন সন্ত্রাসী পাঠায়, তখন আটক সন্ত্রাসীর জন্য কনস্যুলার এক্সেস কতটুকু বৈধ হয় তা দেখার বিষয়।

তবে অতি সম্প্রতি রেকো ডিক চুক্তি নিয়ে পাকিস্তান একটি মামলায় হেরে যাওয়ার পর আইসিজে পাকিস্তানকে কিছুটা স্বস্তি দিয়েছে। আর ফেব্রুয়ারিতে বিমান বাহিনীর পাকিস্তান হামলার পর এটি ভারতের জন্য ছিল আরেকটি বিপর্যয়। ওই বিমান হামলায় ভারতের দুটি জঙ্গি বিমান ভূপাতিত করে পাকিস্তান, তাদের এক পাইলট পাকিস্তানের মাটিতে ধরা পড়ে। এটা ছিল তাদের কাছে শোচনীয় পরাজয়। অবশ্য ভারতীয় মিডিয়া এই রায়কে বিজয় হিসেবে উদযাপন করছে। তবে সংশ্লিষ্ট মহলগুলো বাস্তবতা সম্পর্কে খুবই সচেতন, তারা কষ্ট অনুভব করছে। তবে আমরা এখান থেকে কোথায় যাব?

রায়ের পর একটি কর্তব্য হলো ইন্দো-পাকিস্তান এগ্রিমেন্ট অন কনস্যুলার এক্সেসটি জাতিসংঘে পাস করানোর প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা। এছাড়া আইসিজে ও জাতিসংঘের অন্যান্য সংস্থায় ভারতের সন্ত্রাসবাদ নিয়ে আলোচনা শুরু করা দরকার পাকিস্তানের।

ভারতের দাবি প্রত্যাখ্যান করে আইসিজে কার্যত ভারতকে সন্ত্রাসী রাষ্ট্র হিসেবে চিহ্নিত করেছে। এটি জাতীয়, আন্তর্জাতিক ও কূটনৈতিক মহলসহ সব ফোরামে প্রচার করতে হবে। আরেকটি প্রশ্ন হলো, মৃত্যুদণ্ডাদেশ কার্যকর হবে কিনা? বাস্তবতা হলো, যাদবের একটি ক্ষমার আবেদন স্থগিত রয়েছে। অবশ্য যাদবের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হলে ইন্দো-পাকিস্তান সম্পর্ক আরো জটিল হয়ে পড়বে।

পাকিস্তান অত্যন্ত সতর্কতার সাথে যাদবের মামলাটি সামাল দিয়ে আসছে। আর এ কারণেই আইসিজেও সামরিক আদালতের রায়কে বাতিল করে দেয়নি। আর এর মাধ্যমে আইসিজে পাকিস্তানের সামরিক আদালত ও এর রায়কে বৈধতা দিয়েছে। আর এর মাধ্যমে সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধকেও পরোক্ষভাবে স্বীকৃতি দিয়ে দিয়েছে আইসিজে। সন্ত্রাসীদের (এবং তাদের রাষ্ট্রীয় মদতদাতারা) উচিত হবে বিষয়টি লক্ষ্য রাখা।

লেখক: প্রতিরক্ষা ও নিরাপত্তা বিশ্লেষক

Tag :

ভিডিও

এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

Azam Rehman

জনপ্রিয় সংবাদ

আইসিজে কার্যত ভারতকেই সন্ত্রাসী রাষ্ট্র হিসেবে চিহ্নিত করেছে

আপডেট টাইম ০৬:৪৬:৪৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৯ জুলাই ২০১৯

ইকরাম সেহগাল, জুলাই ২৩, ২০১৯:: ভারতীয় নৌবাহিনীর কর্মরত অফিসার কূলভূষণ যাদব (১৯৯১ সালে কমিশনপ্রাপ্ত, গ্রেফতারের সময় ছিলেন লে. কমান্ডার র‌্যাংকে) ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা র-এর এজেন্ট হিসেবে পাকিস্তানের ভেতরে অন্তর্ঘাত চালানোর কাজে সম্পৃক্ত ছিলেন। তাকে ২০১৬ সালের মার্চে বালুচিস্তান থেকে গ্রেফতার করা হয়। ভিডিও টেক করা জিজ্ঞাসাবাদে কূলভূষণ জানান, ২০০১ সালের ডিসেম্বরে ভারতীয় পার্লামেন্টে হামলার প্রতিশোধ হিসেবে র-এর হয়ে কাজ করতে উদ্দীপ্ত হয়েছিলেন তিনি। ভিডিওতে তিনি স্বীকার করেন যে পাকিস্তানি সামরিক বাহিনী কিংবা বেসামরিক যে কোনো লোককে হতাহত করার জন্য পাকিস্তানের অভ্যন্তরে সহিংসতামূলক কার্যক্রমে জড়িত ছিলেন। পাকিস্তানের একটি সামরিক আদালতে ২০১৭ সালের ১০ এপ্রিল তাকে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়। পাকিস্তান গোয়েন্দা সংস্থার এটি ছিল একটি গুরুত্বপূর্ণ নিরাপত্তাগত সাফল্য।

ভারত ও র কখনো এই লোক বা তার কার্যক্রমের দায়িত্ব গ্রহণ করেনি। তারা এমনকি বালুচিস্তান বা পাকিস্তানে তাকে আটক করার কথাও অস্বীকার করে যাচ্ছে। তারা বলছে যে তাকে ইরান থেকে অপহরণ করা হয়েছে। আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিজে) যে রায় দিয়েছে তাতে যাদবের মুক্তি ও তাকে ফেরত দান ও প্রত্যাবর্তনের ভারতের দাবি প্রত্যাখ্যান করেছে। এর ফলে কার্যত পাকিস্তানের সামরিক আদালতের রায়কে স্বীকার করে নেয়া হয়েছে। রায়ে ভারতের জন্য যেটুকু স্বস্তি রয়েছে তা হলো তাকে ‘কনস্যুলার এক্সেস’ প্রদান করা হবে। এই সিদ্ধান্তের কারণ আইসিজে কনস্যুলার এক্সেস নিয়ে পাকিস্তান-ভারতের মধ্যকার দ্বিপক্ষীয় চুক্তিটিকে বৈধ বলে স্বীকার করেনি (এটি জাতিসংঘে নিবন্ধিত নয় বলে)। দ্বিপক্ষীয় ভারত-পাকিস্তান কনস্যুলার এক্সেস চুক্তিটি দুই পক্ষ সই করে ২০০৮ সালে। এতে গোয়েন্দাদেরকে কনস্যুলার এক্সেস প্রদান স্পষ্টভাবেই প্রত্যাখ্যান করা হয়েছে।

দুর্ভাগ্যজনকভাবে পাকিস্তান এটি জাতিসংঘে নিবন্ধন করেনি। পাকিস্তান যদি জাতিসংঘে এটি নিবন্ধন করে নিত, তবে আইসিজে এতে সম্পৃক্ত হতো না। ভারত ও পাকিস্তান উভয়েই এ ধরনের পদক্ষেপ নিয়ে ভিন্নমত পোষণ করতে পারে। কারণ উভয়ে জানত যে এ ধরনের পরিস্থিতির আবির্ভাব ঘটতে পারে। চুক্তিতে সই করার ফলে ভারত এ সম্পর্কে জানত, কিন্তু সেটি তার নিজের আইনে বাতিল করেছে। চুক্তি সই করে পরে তা নিয়ে প্রয়োজনে অভিযোগ করাটা একটি ভণ্ডামি। ভারত আইসিজেকে ব্যবহার করে আন্তর্জাতিক মিডিয়ায় প্রচার করছিল যে পাকিস্তান সন্ত্রাসবাদের মদতদাতা দেশ। আইসিজে রায় কিন্তু বিপরীতই হয়েছে, রায়ে ভারতকেই সন্ত্রাসে মদতদাতা দেশ হিসেবে অভিহিত করা হয়েছে।

পাকিস্তান বলে আসছে যে ভিয়েনা কনভেনশন গুপ্তচরদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে না। এটি বৈধ যুক্তি হলেও আদালত তা গ্রহণ করেনি। তুলনামূলকভাবে আলাদা ও স্বস্তিদায়ক অবস্থানে থেকে দি হেগ আসলে বুঝতে পারছে না যে ১৯৬৩ সালে সই হওয়া ও ১৯৬৭ সালে ১৮০টি দেশে অনুস্বাক্ষরিত হওয়া চুক্তিটি বর্তমানের গোপন যুদ্ধেরকালে ভিন্ন আবহ সৃষ্ট করেছে। ১৯৬৩ সালে চুক্তিটির সময় স্নায়ুযুদ্ধ ছিল সর্বোচ্চ মাত্রায়। ওই সময় কনস্যুলার অফিসাররা ছিলেন যোগাযোগের জন্য মুক্ত। বিদেশী নাগরিকরা আটক হলে তাদের দূতাবাসগুলোকে বিষয়টি জানানো হতো, যাতে কনস্যুলার অফিসাররা তাদের সাথে সাক্ষাত করে বিষয়টি নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারেন।

আর ১৯৬১ সালে কিউবায় সিআইএ বিদ্রোহী গ্রুপ ব্রিগেড ২৫০৬ গঠন করেছিল। ওই সময়ও সন্ত্রাসবাদ আর হাইব্রিড যুদ্ধের অস্তিত্ব ছিল। তবে নতুন নতুন প্রযুক্তি নিয়ে হাইব্রিড যুদ্ধ নতুন মাত্রা লাভ করেছে। এখন ভিয়েনা কনভেনশন সেকেলে হয়ে পড়েছে। নতুন পরিস্থিতিতে এটির অবস্থায় সমন্বয় সাধন করতে হবে। যখন রাষ্ট্রই হয় আগ্রাসী, সেই রাষ্ট্র যখন সন্ত্রাসী পাঠায়, তখন আটক সন্ত্রাসীর জন্য কনস্যুলার এক্সেস কতটুকু বৈধ হয় তা দেখার বিষয়।

তবে অতি সম্প্রতি রেকো ডিক চুক্তি নিয়ে পাকিস্তান একটি মামলায় হেরে যাওয়ার পর আইসিজে পাকিস্তানকে কিছুটা স্বস্তি দিয়েছে। আর ফেব্রুয়ারিতে বিমান বাহিনীর পাকিস্তান হামলার পর এটি ভারতের জন্য ছিল আরেকটি বিপর্যয়। ওই বিমান হামলায় ভারতের দুটি জঙ্গি বিমান ভূপাতিত করে পাকিস্তান, তাদের এক পাইলট পাকিস্তানের মাটিতে ধরা পড়ে। এটা ছিল তাদের কাছে শোচনীয় পরাজয়। অবশ্য ভারতীয় মিডিয়া এই রায়কে বিজয় হিসেবে উদযাপন করছে। তবে সংশ্লিষ্ট মহলগুলো বাস্তবতা সম্পর্কে খুবই সচেতন, তারা কষ্ট অনুভব করছে। তবে আমরা এখান থেকে কোথায় যাব?

রায়ের পর একটি কর্তব্য হলো ইন্দো-পাকিস্তান এগ্রিমেন্ট অন কনস্যুলার এক্সেসটি জাতিসংঘে পাস করানোর প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা। এছাড়া আইসিজে ও জাতিসংঘের অন্যান্য সংস্থায় ভারতের সন্ত্রাসবাদ নিয়ে আলোচনা শুরু করা দরকার পাকিস্তানের।

ভারতের দাবি প্রত্যাখ্যান করে আইসিজে কার্যত ভারতকে সন্ত্রাসী রাষ্ট্র হিসেবে চিহ্নিত করেছে। এটি জাতীয়, আন্তর্জাতিক ও কূটনৈতিক মহলসহ সব ফোরামে প্রচার করতে হবে। আরেকটি প্রশ্ন হলো, মৃত্যুদণ্ডাদেশ কার্যকর হবে কিনা? বাস্তবতা হলো, যাদবের একটি ক্ষমার আবেদন স্থগিত রয়েছে। অবশ্য যাদবের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হলে ইন্দো-পাকিস্তান সম্পর্ক আরো জটিল হয়ে পড়বে।

পাকিস্তান অত্যন্ত সতর্কতার সাথে যাদবের মামলাটি সামাল দিয়ে আসছে। আর এ কারণেই আইসিজেও সামরিক আদালতের রায়কে বাতিল করে দেয়নি। আর এর মাধ্যমে আইসিজে পাকিস্তানের সামরিক আদালত ও এর রায়কে বৈধতা দিয়েছে। আর এর মাধ্যমে সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধকেও পরোক্ষভাবে স্বীকৃতি দিয়ে দিয়েছে আইসিজে। সন্ত্রাসীদের (এবং তাদের রাষ্ট্রীয় মদতদাতারা) উচিত হবে বিষয়টি লক্ষ্য রাখা।

লেখক: প্রতিরক্ষা ও নিরাপত্তা বিশ্লেষক