ঢাকা ০৩:৩২ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মমতার বিষ্ফোরক মন্তব্য, পশ্চিমবঙ্গে ডেঙ্গু ছড়াচ্ছে বাংলাদেশের মশা

কলকাতা প্রতিনিধি | ২ আগস্ট ২০১৯, শুক্রবার:: ঢাকার মেয়র যখন কলকাতা পুরসভার ডেপুটি মেয়র ও স্বাস্থ্য বিভাগের মেয়র পারিষদ অতীন ঘোঘের কাছে ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে সহযোগিতা চেয়েছেন ঠিক তখনই পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বৃহষ্পতিবার সন্ধ্যায় কলকাতায় এক অনুষ্ঠানে ডেঙ্গু নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করেছেন। তিনি বলেছেন, পশ্চিমবঙ্গে  ডেঙ্গু ছড়িয়ে পড়ার পিছনে বাংলাদেশের মশাদের সক্রিয় ভূমিকা থাকতে পারে। সীমান্ত এলাকায় মশা ও-পার থেকে এ-পারে আসে, এ-পার থেকে ও-পারে যায়। দু’পারেই অনেক লোকও যাতায়াত করেন। সব মিলিয়ে তাই ডেঙ্গু সংক্রমণের প্রবণতা বাড়ার সম্ভাবনা প্রবল বলে তিনি মন্তব্য করেছেন।
সীমান্তবর্তী উত্তর ২৪ পরগণা জেলার হাবড়ায় ইতিমধ্যেই ডেঙ্গু ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে।  মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, বাংলাদেশে খুব ডেঙ্গু হচ্ছে। তাই বাড়তি সাবধানতা নিতে হবে বলে সকলকে সতর্ক করে দিয়েছেন। সীমান্ত এলাকায় ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণের উপর তিনি বিশেষভাবে জোর দিয়েছেন। অবশ্য পশ্চিমবঙ্গে  ইতিমধ্যেই ৭০০ জন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছেন। তার মধ্যে সব থেকে বেশি রোগী পাওয়া গিয়েছে উত্তর ২৪ পরগনার সীমান্তবর্তী এলাকা হাবড়ায়। জেলার সরকারি হিসেব অনুযায়ী, প্রায় ৫০ -৬০ শতাংশ ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী পাওয়া গিয়েছে সেখানে। জেলার ব্যারাকপুরে ৫৬, অশোকনগর-কল্যাণগড়ে ৫৬, ভাটপাড়ায় ৩৮, বিধাননগরে ৩০ জন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছেন। জেলার টিটাগড় ৫৩, পানিহাটিতে ৪০ এবং খড়দায় ৩৬ জন ডেঙ্গু রোগী পাওয়া গিয়েছে। কলকাতাতেও কয়েকজন ডেঙ্গু রোগীর সন্ধান পাওয়া গেলেও এখন পর্যন্ত কলকাতায় মৃত্যুর কোনও খবর নেই বলে পুরসভার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
Tag :

ভিডিও

এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

Azam Rehman

মমতার বিষ্ফোরক মন্তব্য, পশ্চিমবঙ্গে ডেঙ্গু ছড়াচ্ছে বাংলাদেশের মশা

আপডেট টাইম ০৪:৪৩:৩৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২ অগাস্ট ২০১৯
কলকাতা প্রতিনিধি | ২ আগস্ট ২০১৯, শুক্রবার:: ঢাকার মেয়র যখন কলকাতা পুরসভার ডেপুটি মেয়র ও স্বাস্থ্য বিভাগের মেয়র পারিষদ অতীন ঘোঘের কাছে ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে সহযোগিতা চেয়েছেন ঠিক তখনই পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বৃহষ্পতিবার সন্ধ্যায় কলকাতায় এক অনুষ্ঠানে ডেঙ্গু নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করেছেন। তিনি বলেছেন, পশ্চিমবঙ্গে  ডেঙ্গু ছড়িয়ে পড়ার পিছনে বাংলাদেশের মশাদের সক্রিয় ভূমিকা থাকতে পারে। সীমান্ত এলাকায় মশা ও-পার থেকে এ-পারে আসে, এ-পার থেকে ও-পারে যায়। দু’পারেই অনেক লোকও যাতায়াত করেন। সব মিলিয়ে তাই ডেঙ্গু সংক্রমণের প্রবণতা বাড়ার সম্ভাবনা প্রবল বলে তিনি মন্তব্য করেছেন।
সীমান্তবর্তী উত্তর ২৪ পরগণা জেলার হাবড়ায় ইতিমধ্যেই ডেঙ্গু ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে।  মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, বাংলাদেশে খুব ডেঙ্গু হচ্ছে। তাই বাড়তি সাবধানতা নিতে হবে বলে সকলকে সতর্ক করে দিয়েছেন। সীমান্ত এলাকায় ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণের উপর তিনি বিশেষভাবে জোর দিয়েছেন। অবশ্য পশ্চিমবঙ্গে  ইতিমধ্যেই ৭০০ জন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছেন। তার মধ্যে সব থেকে বেশি রোগী পাওয়া গিয়েছে উত্তর ২৪ পরগনার সীমান্তবর্তী এলাকা হাবড়ায়। জেলার সরকারি হিসেব অনুযায়ী, প্রায় ৫০ -৬০ শতাংশ ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী পাওয়া গিয়েছে সেখানে। জেলার ব্যারাকপুরে ৫৬, অশোকনগর-কল্যাণগড়ে ৫৬, ভাটপাড়ায় ৩৮, বিধাননগরে ৩০ জন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছেন। জেলার টিটাগড় ৫৩, পানিহাটিতে ৪০ এবং খড়দায় ৩৬ জন ডেঙ্গু রোগী পাওয়া গিয়েছে। কলকাতাতেও কয়েকজন ডেঙ্গু রোগীর সন্ধান পাওয়া গেলেও এখন পর্যন্ত কলকাতায় মৃত্যুর কোনও খবর নেই বলে পুরসভার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।