সারাদিন ডেস্ক:: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে বৈঠকের পর ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি নিজের ভেরিফায়েড টুইটার অ্যাকাউন্টে বাংলায় লিখেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথে অসাধারণ একটি আলোচনা হয়েছে। আমরা ভারত এবং বাংলাদেশের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের সকল বিষয়ে পর্যালোচনা করেছি।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফরের ৩য় দিনে স্থানীয় সময় বেলা ১২টায় নয়াদিল্লিতে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন হায়দ্রাবাদ হাউসে ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। দ্বিপক্ষীয় বৈঠকের পর দেওয়া যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়েছে, দুই দেশের ‘অসাধারণ’ দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক নিয়ে ‘সন্তোষ’ প্রকাশ করেছেন। ঐতিহাসিক ও ভ্রাতৃত্বমূলক সম্পর্কের ওপর ভিত্তি করে গড়ে ওঠা এই দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক দুই দেশের সার্বভৌমত্ব, সমতা, আস্থা ও বোঝাপড়ার ওপর ভিত্তি করে সব ক্ষেত্রে দ্বিপক্ষীয় অংশীদারিত্ব গড়ে তুলেছে, যা ‘স্ট্রাটেজিক পার্টনারশিপকে’ ছাড়িয়ে গেছে।
এতে বলা হয়, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ‘২০১১ সালে দুই সরকারের সম্মতি অনুযায়ী তিস্তা নদীর পানিবণ্টনে ফ্রেমওয়ার্ক অব ইন্টেরিম অ্যাগ্রিমেন্ট আশু স্বাক্ষর ও বাস্তবায়ন’-এর জন্য বাংলাদেশের জনগণ অপেক্ষায় রয়েছে। এ কথার পরিপ্রেক্ষিতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী মোদি (শেখ হাসিনাকে) অবহিত করেছেন যে তাঁর সরকার ভারতে সংশ্লিষ্ট সব পক্ষকে নিয়ে সম্ভাব্য দ্রুততম সময়ে চুক্তিটি সম্পাদনের জন্য কাজ করছে।
বিবৃতি অনুযায়ী দুই প্রধানমন্ত্রী যুগপৎভাবে অপর ছয়টি অভিন্ন নদীর পানিবণ্টনেও দ্রুততার সঙ্গে সর্বশেষ তথ্য-উপাত্ত বিনিময় এবং ফ্রেমওয়ার্ক অব ইন্টেরিম অ্যাগ্রিমেন্টের খসড়া প্রস্তুত করার জন্য যৌথ নদী কমিশনের কারিগরি পর্যায়ের কমিটিকে নির্দেশ দিয়েছেন। অপর নদীগুলো মনু, মুহুরী, খোয়াই, গোমতী, ধরলা ও দুধকুমার উল্লেখ করে এতে বলা হয়, দুই নেতা ফেনী নদীর পানিবণ্টনে খসড়া ফ্রেমওয়ার্ক অব ইন্টেরিম অ্যাগ্রিমেন্ট সুনির্দিষ্ট করারও নির্দেশ দেন।
মোদির সঙ্গে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর সাক্ষাৎকারে রোহিঙ্গা সমস্যাও উঠে আসে উল্লেখ করে বলা হয়, মোদি এসব বাস্তুচ্যুত লোককে নিরাপদ, দ্রুত ও স্থায়ীভাবে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে তাদের নিজ বাড়িঘরে প্রত্যাবাসনের প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত করার প্রয়োজনীয়তার বিষয়ে একমত হন।