সারাদিন ডেস্ক:: বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ছাত্র আবরার ফাহাদকে শিবির সন্দেহে রাত ৮টার দিকে ফোন করে হলের ২০১১ নম্বর কক্ষে ডেকে নেন ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা। এরপর রাত ৩টার দিকে সিঁড়ির পাশে মিলে তার লাশ। যে কক্ষে আবরারকে ডেকে নেয়া হয়েছে, সে কক্ষে নিয়মিত মদের আসর বসত বলে জানা গেছে।
জানা যায়, ছাত্রলীগের বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের ৪ নেতা ওই রুমে থাকতেন। তারা হলেন- বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের আইনবিষয়ক উপসম্পাদক ও সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ছাত্র অমিত সাহা, উপদফতর সম্পাদক ও কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ছাত্র মুজতাবা রাফিদ, সমাজসেবাবিষয়ক উপসম্পাদক ও বায়োমেডিকেল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ছাত্র ইফতি মোশারফ ওরফে সকাল এবং প্রত্যয় মুবিন।
হলের শিক্ষার্থী জানান, নিয়মিত মদ্যপানের আসর বসত ওই রুমে। তারা রাতে মদ খেয়ে চিৎকার করতেন। তাদের কেউ কিছু বলতে গেলে গালিও দিতেন। আশপাশের রুমে যারা থাকেন, তারা ভালোভাবে ঘুমাতে পারতেন না। কেউ প্রতিবাদ করলে মারধরও করতেন।
ঘটনার পর সকালে ওই রুমে অভিযান চালায় পুলিশ। অভিযানে মদের বোতল সহ ৫-৬টি স্টাম্পও উদ্ধার করা করা হয়।
হল শাখা ছাত্রলীগের এক নেতা জানান, ২০১১ কক্ষটি ছাত্রলীগের রাজনৈতিক কক্ষ হিসেবে ব্যবহার হতো। এমনকি তারা যে কাউকে তুলে নিয়ে এসে নির্যাতন করতেন।
এর আগে রোববার রাত ৮টার দিকে হলের ১০১১ নম্বর কক্ষ থেকে ২০১১ নম্বর কক্ষে আবরার ফাহাদকে ডেকে নিয়ে যায় বুয়েট ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। পরে রাত ৩টার দিকে হলের সিঁড়ির পাশে আবরারের দেহ পড়ে থাকতে দেখা যায়। এরপরে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।