ঢাকা ০৫:৫০ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
দুর্নীতির অভিযোগে পীরগঞ্জ পাইলট স্কুলের প্রধান শিক্ষক বরখাস্ত ড. মো. হারুনুর রশীদ পরিচালিত সেলিনা হোসেনের ‘কাকতাড়ুয়া বুধা’ মুক্তি পেয়েছে ভাল মানুষ থেকেইে ভাল মানুষ তৈরী হয়—ঠাকুরগাঁওয়ে আল-হাসানাহ স্কুলের শিক্ষার্থীদের মাঝে পুরুস্কার বিতরনী অনুষ্ঠানে সাবেক এমপি জাহিদুর রহমান ঠাকুরগাঁয়ে যুবলীগ নেতার পলিথিন কারখানা বন্ধ, মালামাল জব্দ সাগর-রুনি হত্যা মামলা র‌্যাব থেকে তদন্তের দায়িত্ব পিবিআইয়ের কাছে সংস্কারের পরেই নির্বাচন: ড. ইউনূস বশিরউদ্দীন ও ফারুকীকে কার বুদ্ধিতে নিলেন, প্রশ্ন মান্নার ভূমি সেবায় দুর্নীতি-অনিয়মে তাৎক্ষণিক শাস্তির ব্যবস্থা ভোট কারচুপির তদন্ত সাবেক ডিসি-এসপি-ইউএনওদের ঘুম হারাম আসিফ নজরুলকে হেনস্তা,দূতাবাসের কাউন্সেলরকে দেশে ফেরত, চাকরি হারাচ্ছেন স্টাফ

‘রোজায় সব কিছু একেবারে বন্ধ রাখতে পারব না’

সারাদিন ডেস্ক::প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, রোজায় সব কিছু একেবারে বন্ধ রাখতে পারব না। সীমিত আকারে ইন্ডাস্ট্রি চালু করা যাবে।

সোমবার (২০ এপ্রিল) ঢাকা ও ময়মনসিংহের ৮ জেলার কর্মকর্তাদের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সে এ কথা জানান প্রধানমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে এই ভিডিও কনফারেন্স হয়।

শেখ হাসিনা বলেন, যেহেতু এটা ইন্ড্রাস্টিয়াল বেল্ড, কিছু কিছু প্রতিষ্ঠান আমাদের লক্ষ্য আছে খোলা রাখার। বিশেষ করে যারা রফতানিমুখী। একটা কাজ করতে পারেন যদি তারা ইন্ডাস্ট্রি খুলতেও চায় কাজ করতে চায়, সেখানে এই স্বাস্থ্য নির্দেশিকা মেনে কীভাবে এই শ্রমিকদেরকে দিয়ে কাজ করানো যেতে পারে এবং তাদেরকে সুরক্ষিত রেখে বা তাদের থাকার জায়গা দিয়ে সেখানে যদি থাকার ব্যবস্থা করা যায়। যেখানে তারা সুরক্ষিত থাকবে।

তিনি বলেন, ইন্ডাস্ট্রিগুলোর নিজস্ব জায়গা অনেকের আছে, সেখানে যদি তারা একটা ব্যবস্থা করতে পারে। এভাবে যদি তারা ব্যবস্থা করতে পারে তাহলে কিছু কিছু ইন্ডাস্ট্রি তো চালু করতেই হবে। বিশেষ করে আমাদের ওষধ শিল্প বা এই যে আমরা করোনাভাইসের জন্য অ্যাপ্রোন থেকে শুরু করে পিপিই থেকে শুরু করে যা মাস্ক এবং হেড ক্যাপ, তারপর সু ক্যাপ-এইগুলো যারা তৈরি করছে, তাদের জন্য তো খোলা রাখতে হচ্ছে। এটা ওইভাবে আলোচনা করে যে তারা কত পারসেন্ট আসতে চায়।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, শ্রমিকদের আনা-নেয়ার ব্যাপারে…গতবার যেমন হঠাৎ সুপারভাইজার দিয়ে শ্রমিকদের ডেকে নিয়ে আসল। আমি মনে করি এটা কোনোমতেই ঠিক হয়নি। তাদের এই আসা-যাওয়ায় যে কষ্টটা তারা পেয়েছে এবং পরদিনই বলেছে চলে যাও। যেখানে যোগাযোগ ব্যবস্থা সম্পূর্ণ বন্ধ সেখানে মাইলের পর মাইল হেঁটে হেঁটে এই মেয়েরা পর্যন্ত গার্জিয়ানকে সঙ্গে করে হেঁটে হেঁটে এসেছে। এইভাবে তাদেরকে যেন কোনোভাবে এসে না পড়তে হয়। তাদেরকে আনতে হলে আনার ব্যবস্থা করতে হবে আবার তাদের থাকার ব্যবস্থা করতে হবে। তারা যেন স্বাস্থ্য বিষয়ে সুরক্ষা রেখে থাকতে পারে, তাহলে তারা (কারখানা) চালু করতে পারবে।

তিনি বলেন, সামনে রোজা। আমরা সব কিছু একেবারে বন্ধ করে রাখতে পারব না। আমাদের কিছু জায়গা আস্তে আস্তে উন্মুক্ত করতেই হবে। তবে যেহেতু গাজীপুরে খুব বেশি আবার দেখা দিচ্ছে এই রোগের প্রাদুর্ভাবটা, এখানে আপনাদের চিন্তা করতে হবে ওই ২৪ বা ২৫ তারিখে এটা (কারখানা) চালু করা ঠিক হবে কি-না। সেখানে কী পরিমাণ রোগী আছে বা পরীক্ষায় কত জন শনাক্ত হয়েছে এই বিষয়গুলো আগে জানতে হবে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, গাজীপুরে ২৭৯ জন রোগী শনাক্ত হয়েছে। যেভাবে বাড়ছে এই বাড়ার ট্রেন্ডটা তো ঠিক না। লকডাউন করতে হবে, সেটা বুঝে নিয়েই আপনাদের ইন্ডাস্ট্রি খোলার কথা ভাবতে হবে। নিরাপত্তার কথা ভাবতে হবে। আমিও চাই না একেবারে বন্ধ থাকুক। সীমিত আকারে শ্রমিক আসতে হবে এবং তা ওভাবে চালু করতে হবে। কারখানার মালিকদের সঙ্গে কথা বলে তারপর আপনারা ঠিক করবেন।

Tag :

ভিডিও

এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

Azam Rehman

জনপ্রিয় সংবাদ

দুর্নীতির অভিযোগে পীরগঞ্জ পাইলট স্কুলের প্রধান শিক্ষক বরখাস্ত

‘রোজায় সব কিছু একেবারে বন্ধ রাখতে পারব না’

আপডেট টাইম ০৩:৫৬:৪৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ২০ এপ্রিল ২০২০

সারাদিন ডেস্ক::প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, রোজায় সব কিছু একেবারে বন্ধ রাখতে পারব না। সীমিত আকারে ইন্ডাস্ট্রি চালু করা যাবে।

সোমবার (২০ এপ্রিল) ঢাকা ও ময়মনসিংহের ৮ জেলার কর্মকর্তাদের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সে এ কথা জানান প্রধানমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে এই ভিডিও কনফারেন্স হয়।

শেখ হাসিনা বলেন, যেহেতু এটা ইন্ড্রাস্টিয়াল বেল্ড, কিছু কিছু প্রতিষ্ঠান আমাদের লক্ষ্য আছে খোলা রাখার। বিশেষ করে যারা রফতানিমুখী। একটা কাজ করতে পারেন যদি তারা ইন্ডাস্ট্রি খুলতেও চায় কাজ করতে চায়, সেখানে এই স্বাস্থ্য নির্দেশিকা মেনে কীভাবে এই শ্রমিকদেরকে দিয়ে কাজ করানো যেতে পারে এবং তাদেরকে সুরক্ষিত রেখে বা তাদের থাকার জায়গা দিয়ে সেখানে যদি থাকার ব্যবস্থা করা যায়। যেখানে তারা সুরক্ষিত থাকবে।

তিনি বলেন, ইন্ডাস্ট্রিগুলোর নিজস্ব জায়গা অনেকের আছে, সেখানে যদি তারা একটা ব্যবস্থা করতে পারে। এভাবে যদি তারা ব্যবস্থা করতে পারে তাহলে কিছু কিছু ইন্ডাস্ট্রি তো চালু করতেই হবে। বিশেষ করে আমাদের ওষধ শিল্প বা এই যে আমরা করোনাভাইসের জন্য অ্যাপ্রোন থেকে শুরু করে পিপিই থেকে শুরু করে যা মাস্ক এবং হেড ক্যাপ, তারপর সু ক্যাপ-এইগুলো যারা তৈরি করছে, তাদের জন্য তো খোলা রাখতে হচ্ছে। এটা ওইভাবে আলোচনা করে যে তারা কত পারসেন্ট আসতে চায়।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, শ্রমিকদের আনা-নেয়ার ব্যাপারে…গতবার যেমন হঠাৎ সুপারভাইজার দিয়ে শ্রমিকদের ডেকে নিয়ে আসল। আমি মনে করি এটা কোনোমতেই ঠিক হয়নি। তাদের এই আসা-যাওয়ায় যে কষ্টটা তারা পেয়েছে এবং পরদিনই বলেছে চলে যাও। যেখানে যোগাযোগ ব্যবস্থা সম্পূর্ণ বন্ধ সেখানে মাইলের পর মাইল হেঁটে হেঁটে এই মেয়েরা পর্যন্ত গার্জিয়ানকে সঙ্গে করে হেঁটে হেঁটে এসেছে। এইভাবে তাদেরকে যেন কোনোভাবে এসে না পড়তে হয়। তাদেরকে আনতে হলে আনার ব্যবস্থা করতে হবে আবার তাদের থাকার ব্যবস্থা করতে হবে। তারা যেন স্বাস্থ্য বিষয়ে সুরক্ষা রেখে থাকতে পারে, তাহলে তারা (কারখানা) চালু করতে পারবে।

তিনি বলেন, সামনে রোজা। আমরা সব কিছু একেবারে বন্ধ করে রাখতে পারব না। আমাদের কিছু জায়গা আস্তে আস্তে উন্মুক্ত করতেই হবে। তবে যেহেতু গাজীপুরে খুব বেশি আবার দেখা দিচ্ছে এই রোগের প্রাদুর্ভাবটা, এখানে আপনাদের চিন্তা করতে হবে ওই ২৪ বা ২৫ তারিখে এটা (কারখানা) চালু করা ঠিক হবে কি-না। সেখানে কী পরিমাণ রোগী আছে বা পরীক্ষায় কত জন শনাক্ত হয়েছে এই বিষয়গুলো আগে জানতে হবে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, গাজীপুরে ২৭৯ জন রোগী শনাক্ত হয়েছে। যেভাবে বাড়ছে এই বাড়ার ট্রেন্ডটা তো ঠিক না। লকডাউন করতে হবে, সেটা বুঝে নিয়েই আপনাদের ইন্ডাস্ট্রি খোলার কথা ভাবতে হবে। নিরাপত্তার কথা ভাবতে হবে। আমিও চাই না একেবারে বন্ধ থাকুক। সীমিত আকারে শ্রমিক আসতে হবে এবং তা ওভাবে চালু করতে হবে। কারখানার মালিকদের সঙ্গে কথা বলে তারপর আপনারা ঠিক করবেন।