আন্তর্জাতিক ডেস্ক:: মহামারি করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব ঠেকাতে বিশেষ ক্ষমতা নিয়ে মাঠে নেমে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী জাতিগত সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে ‘যুদ্ধাপরাধে’ মেতেছে বলে অভিযোগ করেছেন জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক বিশেষ দূত ইয়াংহি লি।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএনকে তিনি বলেন, দেশটির পশ্চিমাঞ্চলীয় রাখাইন রাজ্যে বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠী আরাকান আর্মির (এএ) সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী রাখাইন বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের ওপর চড়াও হচ্ছে।
ইয়াংহি লি বলেন, সেখানে শত শত বাড়ি পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। বৌদ্ধমঠে হামলা করা হয়েছে। অনেক মানুষকে গ্রেপ্তার এবং নির্যাতন করা হয়েছে। আমরা শিরশ্ছেদ করা অনেক মৃতদেহ পেয়েছি। এরা রাখাইনের বাসিন্দা।
মার্চে গঠিত করোনাভাইরাস মোকাবিলায় প্রতিরোধ কমিটিতে স্থান দেয়া হয় গুরুত্বপূর্ণ কয়েকজন সামরিক কর্মকর্তা ও সেনা সমর্থনপুষ্ট মন্ত্রীকে। এতে ভাইরাস সংক্রমণ রোধের নামে মাঠে নেমে বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠীর ওপর চড়াও হয় সেনাবাহিনী। গত কয়েক মাস ধরে সেনাবাহিনী ও আরাকান আর্মির মধ্যে নিয়মিত দ্বিমুখী সংঘর্ষ চলে আসছিল।
স্থানীয় বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের ওপর মিয়ানমারের সেনাদের এ নিপীড়নকে ‘মানবতাবিরোধী অপরাধ’ এবং যুদ্ধাপরাধ’ আখ্যা দেন জাতিসংঘের বিশেষ দূত। সেইসঙ্গে এগুলোকে অত্যন্ত জঘন্য কর্মকান্ড এবং আন্তর্জাতিক আইনে গুরুতর অপরাধ হিসেবে উল্লেখ করেন ইয়াংহি লি।
তবে এই বিষয়ে সিএনএন মিয়ানমার সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ করলে এ ব্যাপারে কোনো ধরনের প্রতিক্রিয়া পায়নি।