ইতোমধ্যে শিপ্রা সেই ভিডিওটি সরিয়ে ফেলেছেন। তবে সমালোচনা কিন্তু থেমে নেই। সেটি নিয়েই এবার কথা বলেছেন শিপ্রা দেবনাথ।
মানসিকভাবে বিপর্যস্ত দাবি করা শিপ্রা দেবনাথ বলেন, ‘আমি বুঝতে পারিনি ইউটিউব চ্যানেলে ভিডিও ছাড়া নিয়ে সাধারণ মানুষ এমন বাজে প্রতিক্রিয়া দেখাবে। আমার উদ্দেশ্য এমন ছিল না যে আমি রাতারাতি সেলিব্রিটি হয়ে যাবো। মানুষের এমন প্রতিক্রিয়ার পর আমি ভিডিওটি সরিয়ে নিয়েছি। তবুও একটা গ্রুপ আমার চরিত্রহননের চেষ্টা করে যাচ্ছে।’
স্ট্যামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের এই শিক্ষার্থী শিপ্রা আরো বলেন, ‘আমি সাধারণ মেয়ে। সোশ্যাল মিডিয়ায় কারও কারও আচরণে আমি অনেক হতাশ হয়েছি। আর সিনহা ভাই ও আমাদের সঙ্গে যা হয়েছে, জীবনের শেষ বিন্দু দিয়ে হলেও তার বিচার দেখে যেতে চাই। প্রয়োজনে ন্যায় বিচারের স্বার্থে জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত অপেক্ষা করব।’
দেশের জাতীয় একটি দৈনিক পত্রিকায় দেয়া সাক্ষাৎকারে শিপ্রা বলেন, ‘যখন দেখলাম সোশ্যাল মিডিয়ায় নকল ডকুমেন্টারি তৈরি করে জাস্ট গো নামে অনেকে প্রচার করছেন, তখন ভাবলাম আমাদের স্বপ্ন কেড়ে নেয়া হচ্ছে। তখন চিন্তা করলাম আসল তথ্য সবাইকে জানাই। সেই জায়গা থেকেই ভিডিও আপলোড করেছিলাম। যখন দেখলাম মানুষ এটা ভালোভাবে নেয়নি, তখন ২৪ ঘণ্টারও কম সময়ের মধ্যে তা ডিলিট করে দিয়েছি। অনেকে ধারণা করেছিল, এটা আমার ব্যবসা ছিল। অনেকে আমাকে ভুল বুঝেছিল। তাই তাদের সম্মান জানিয়ে ওই ভিডিও সরিয়ে ফেলেছি।’
শিপ্রা আরও বলেন, ‘এটা ঠিক আমি পাবলিক ফিগার নই। জাস্ট গো সোশ্যাল মিডিয়ায় যাওয়ার পর রাতারাতি পাবলিক ফিগারে পরিণত হই। এটা আমি চাইনি। আমাদের স্বপ্ন বাঁচাতে তা আপলোড করেছিলাম। কীভাবে এ ধরনের কাজে সাধারণ মানুষকে হ্যান্ডেল করতে হয়, এটা আমার জানা ছিল না। এখনও নেই। আমি সাধারণ মেয়ে। সোশ্যাল মিডিয়ায় কারও কারও আচরণে আমি কিংকর্তব্যবিমূঢ়।’
শিপ্রা বলেন, ‘কক্সবাজারে যে ঘটনা ঘটেছে, সবাই তার ন্যায়বিচার চাচ্ছে। তিনিও ন্যায়বিচারের প্রতীক্ষায় রয়েছেন। এর বাইরে তার আর কোনো কথা নেই।’