ঢাকা ১০:০৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৭ ভাদ্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
কান্তিভিটা সীমান্তে স্কুলছাত্রের লাশ ফেরত দিয়েছে বিএসএফ ঠাকুরগাঁওয়ে সাবেক দুই এমপিসহ ৪৮ জনের বিরুদ্ধে শিল্পপতির চাঁদাবাজী মামলা ‘সেভ পীরগঞ্জ’ গ্রুপের সামাজিক কার্যক্রম অব্যাহত সীমান্ত আইন লঙ্ঘন করে ভারতে যাওয়ার সময় দানাজপুর সীমান্তে ৩ টি মোটর সাইকেল সহ ৪ যুবক আটক ঠাকুরগাঁওয়ে মাষ্টারপাড়া জামে মসজিদ নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করলেন মানবজমিনের রেজাউল পীরগঞ্জে শতবর্ষী পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ে দুর্নিতীর হোতাদের বিচারের দাবীতে ছাত্র জনতার বিক্ষোভ সমাবেশ মুসলিমদের উপর যে তান্ডব চলেছে, হিন্দুদের উপর তার ছিটেফোটাও হয়নি- হিন্দু বৌদ্ধ কৃষ্টান কল্রান ফান্ত ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ হলো ঢাকা মেডিকেলে অন্তর্বর্তী সরকারের সময় ‘বেঁধে দিলেন’ কাদের সিদ্দিকী! পদত্যাগ করছেন প্রধান বিচারপতি

বঙ্গবন্ধুকে অসম্মান : সোশ্যাল মিডিয়ায় নিন্দার ঝড়

রাজধানীর কারওয়ানবাজারের পান্থকুঞ্জ পার্কে টানানো বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ সম্বলিত ব্যানার কেটে বিকৃত করে অজ্ঞাত দুর্বৃত্তরা। বুধবার রাতের কোনো এক সময়ে এ অপকর্মটি করা হয়।

 

রাত ২টা ২৮ মিনিটে অনলাইন নিউজ পোর্টাল বিবার্তা২৪.নেট-এ ‘জাতির জন্য এ বিরাট অসম্মান!’ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়। এরপর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম বিশেষ করে ফেসবুকে বিষয়টি নিয়ে নিন্দা ও সমালোচনার ঝড় ওঠে। বিবার্তার অগণিত পাঠক তাদের প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে অসংখ্য স্ট্যাটাস দিয়েছেন। এমনই কিছু প্রতিক্রিয়া তুলো ধরা হলো-

 

লীনা পারভীন : ‘সাবধান হবার সময় এসেছে’ শীর্ষক শিরোনামের স্ট্যাটাসে লিখেছেন, ১৯৭৫ এর ঘটনার আগে এ দেশে এতো মিডিয়া ছিলো না। প্রতিবাদের লোক ছিলো কম। কিন্তু এখন?

 

তিনি বিকৃত সেই ছবিটি দিয়ে লিখেছেন, হোটেল সোনারগাঁয়ের উল্টোপাশে পান্থকুঞ্জ পার্কের ছবি এটি। শহরের অন্যতম একটি ব্যস্ত রাস্তা যেখানে মাঝ রাত পর্যন্ত লোক চলাচল থাকে। বাংলাদেশে এ কোন ঘোর দুঃসময় আবার আসার ইঙ্গিত দিচ্ছে এই ছবিটি? জাতির জনকের অবমাননার আইনও আছে আমাদের দেশে। ছাড় দিতে দিতেই কিন্তু ৭৫ এসেছিলো। আর কত? সরকারের সমালোচনা করুন; কিন্তু গোটা ব্যানারটির মাঝে কেবল জাতির জনকের মাথার অংশটি কেটে ফেলার ইঙ্গিতটাকে উড়িয়ে দেবেন না প্লিজ।

 

খান আসাদুজ্জামান মাসুম : যশরাজ ও টিটু রায়রা কত বড় ভয়ংকর তাদের গ্রেফতার করে যে সব ড্রেস পরানো হলো আমাদের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এক খানা বিশাল কিছু করে ফেলছে। অথচ ঢাকার এতো একটা ব্যস্ততম গুরুত্বপূর্ণ রাস্তার পাশে এতোবড় একটা ব্যানারের বঙ্গবন্ধু মাথার অংশটুকু কেঁটে ফেলতে পারে! এতো বড় একটা ঘটনা। আর আমাদের বাহিনীর কেরামতি কই? সিসি ক্যামেরা কই? কই টহল পুলিশ? কেবল রাতের বেলা সিএনজি মোটরসাইকেল ঠ্যাক দিয়ে মানুষ হয়রানি করা ছারা এদের কোনো কাজ যেন নেই? এটা ১৯৭৫ সাল নয়। এটা ২০১৭ সাল। এই সময় এসেও যদি বঙ্গবন্ধুর এমন অপমান দেখতে হবে, তবে ভেবে নেবেন শত্রুরা এখনো কতোটা সঙ্গবদ্ধ এবং মরণ কামড় দেয়ার জন্য ওঁৎপেতে আছে। তারই স্বাক্ষ্য বহন করে এমন ঘটনায়। সেহেতু সাবধান!

 

এফ এম শাহীন : আমরা যখন গর্বিত বাঙালি হিসেবে ৭ মার্চের ভাষণ ওয়ার্ল্ড ডকুমেন্টারি হেরিটেজ স্বীকৃতিতে সর্বস্তরের জনগণ এই বিরল গৌরব উদযাপন করছি… ঠিক তখনই রাজধানীর পান্থকুঞ্জ পার্কের সামনে থাকা ব্যানারগুলোর বঙ্গবন্ধুর ছবিটি এভাবে কাটা হয়েছে!
আমি নিশ্চিত জামায়াত-বিএনপির পাকি জারজ ছাড়া এই ঘৃণ্য কাজটি কেউ করতে পারে না।

 

সোহেল শাহরিয়ার : চারদিকে শুধু আওয়ামী লীগ আর আওয়ামী লীগ। চিন্তা করা যায়! আসলে এই নব্য আওয়ামী লীগ তারা কী করে বুঝবে কী ছিল এই ভাষণে। কী ছিল এই কথা গুলোতে… এই সবার আওয়ামী লীগের মধ্যে এমনটা হওয়া সত্যিই চিন্তার বিষয়।

 

গোলাম রাব্বানী : ঘৃণাভরা ধিক্কার। যে পাকিবীর্যের কুলাঙ্গাররা এই ন্যক্কারজনক কাজ করেছে! ছিঃ এরা জাতির কলঙ্ক! যারা জাতির জনককে অসম্মান করে তারা কার্যত সমগ্র জাতিকেই অসম্মান করে। এদেশে থাকার কোনো নৈতিক অধিকার তাদের নেই!

জামিল আক্তার : রাজধানীর প্রাণকেন্দ্রে এমন ঘটনা ঘটলো কীভাবে তা খুঁজে বের করার দায়িত্ব প্রশাসনের।

তনমী হোসেন : অকৃতজ্ঞ এক জাতি আমরা! জাতির পিতাতে সম্মান দিতে কষ্ট হয় আমাদের!

আনোয়ার হোসেন জীবন :লজ্জাজনক ঘটনা। আমি মরে যাই, বার বার মরি… এই অসহায়ত্বের যন্ত্রণায়।

Tag :

ভিডিও

এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

কান্তিভিটা সীমান্তে স্কুলছাত্রের লাশ ফেরত দিয়েছে বিএসএফ

বঙ্গবন্ধুকে অসম্মান : সোশ্যাল মিডিয়ায় নিন্দার ঝড়

আপডেট টাইম ০৫:২১:১৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ নভেম্বর ২০১৭

রাজধানীর কারওয়ানবাজারের পান্থকুঞ্জ পার্কে টানানো বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ সম্বলিত ব্যানার কেটে বিকৃত করে অজ্ঞাত দুর্বৃত্তরা। বুধবার রাতের কোনো এক সময়ে এ অপকর্মটি করা হয়।

 

রাত ২টা ২৮ মিনিটে অনলাইন নিউজ পোর্টাল বিবার্তা২৪.নেট-এ ‘জাতির জন্য এ বিরাট অসম্মান!’ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়। এরপর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম বিশেষ করে ফেসবুকে বিষয়টি নিয়ে নিন্দা ও সমালোচনার ঝড় ওঠে। বিবার্তার অগণিত পাঠক তাদের প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে অসংখ্য স্ট্যাটাস দিয়েছেন। এমনই কিছু প্রতিক্রিয়া তুলো ধরা হলো-

 

লীনা পারভীন : ‘সাবধান হবার সময় এসেছে’ শীর্ষক শিরোনামের স্ট্যাটাসে লিখেছেন, ১৯৭৫ এর ঘটনার আগে এ দেশে এতো মিডিয়া ছিলো না। প্রতিবাদের লোক ছিলো কম। কিন্তু এখন?

 

তিনি বিকৃত সেই ছবিটি দিয়ে লিখেছেন, হোটেল সোনারগাঁয়ের উল্টোপাশে পান্থকুঞ্জ পার্কের ছবি এটি। শহরের অন্যতম একটি ব্যস্ত রাস্তা যেখানে মাঝ রাত পর্যন্ত লোক চলাচল থাকে। বাংলাদেশে এ কোন ঘোর দুঃসময় আবার আসার ইঙ্গিত দিচ্ছে এই ছবিটি? জাতির জনকের অবমাননার আইনও আছে আমাদের দেশে। ছাড় দিতে দিতেই কিন্তু ৭৫ এসেছিলো। আর কত? সরকারের সমালোচনা করুন; কিন্তু গোটা ব্যানারটির মাঝে কেবল জাতির জনকের মাথার অংশটি কেটে ফেলার ইঙ্গিতটাকে উড়িয়ে দেবেন না প্লিজ।

 

খান আসাদুজ্জামান মাসুম : যশরাজ ও টিটু রায়রা কত বড় ভয়ংকর তাদের গ্রেফতার করে যে সব ড্রেস পরানো হলো আমাদের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এক খানা বিশাল কিছু করে ফেলছে। অথচ ঢাকার এতো একটা ব্যস্ততম গুরুত্বপূর্ণ রাস্তার পাশে এতোবড় একটা ব্যানারের বঙ্গবন্ধু মাথার অংশটুকু কেঁটে ফেলতে পারে! এতো বড় একটা ঘটনা। আর আমাদের বাহিনীর কেরামতি কই? সিসি ক্যামেরা কই? কই টহল পুলিশ? কেবল রাতের বেলা সিএনজি মোটরসাইকেল ঠ্যাক দিয়ে মানুষ হয়রানি করা ছারা এদের কোনো কাজ যেন নেই? এটা ১৯৭৫ সাল নয়। এটা ২০১৭ সাল। এই সময় এসেও যদি বঙ্গবন্ধুর এমন অপমান দেখতে হবে, তবে ভেবে নেবেন শত্রুরা এখনো কতোটা সঙ্গবদ্ধ এবং মরণ কামড় দেয়ার জন্য ওঁৎপেতে আছে। তারই স্বাক্ষ্য বহন করে এমন ঘটনায়। সেহেতু সাবধান!

 

এফ এম শাহীন : আমরা যখন গর্বিত বাঙালি হিসেবে ৭ মার্চের ভাষণ ওয়ার্ল্ড ডকুমেন্টারি হেরিটেজ স্বীকৃতিতে সর্বস্তরের জনগণ এই বিরল গৌরব উদযাপন করছি… ঠিক তখনই রাজধানীর পান্থকুঞ্জ পার্কের সামনে থাকা ব্যানারগুলোর বঙ্গবন্ধুর ছবিটি এভাবে কাটা হয়েছে!
আমি নিশ্চিত জামায়াত-বিএনপির পাকি জারজ ছাড়া এই ঘৃণ্য কাজটি কেউ করতে পারে না।

 

সোহেল শাহরিয়ার : চারদিকে শুধু আওয়ামী লীগ আর আওয়ামী লীগ। চিন্তা করা যায়! আসলে এই নব্য আওয়ামী লীগ তারা কী করে বুঝবে কী ছিল এই ভাষণে। কী ছিল এই কথা গুলোতে… এই সবার আওয়ামী লীগের মধ্যে এমনটা হওয়া সত্যিই চিন্তার বিষয়।

 

গোলাম রাব্বানী : ঘৃণাভরা ধিক্কার। যে পাকিবীর্যের কুলাঙ্গাররা এই ন্যক্কারজনক কাজ করেছে! ছিঃ এরা জাতির কলঙ্ক! যারা জাতির জনককে অসম্মান করে তারা কার্যত সমগ্র জাতিকেই অসম্মান করে। এদেশে থাকার কোনো নৈতিক অধিকার তাদের নেই!

জামিল আক্তার : রাজধানীর প্রাণকেন্দ্রে এমন ঘটনা ঘটলো কীভাবে তা খুঁজে বের করার দায়িত্ব প্রশাসনের।

তনমী হোসেন : অকৃতজ্ঞ এক জাতি আমরা! জাতির পিতাতে সম্মান দিতে কষ্ট হয় আমাদের!

আনোয়ার হোসেন জীবন :লজ্জাজনক ঘটনা। আমি মরে যাই, বার বার মরি… এই অসহায়ত্বের যন্ত্রণায়।