ভারতীয় সংবাদমাধ্যম জি নিউজ তাদের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
প্রতিবেদনটিতে বলা হয়, জারি করা হয়েছে আনলক-৫ এর গাইডলাইন। নতুন গাইডলাইন অনুযায়ী ১৫ অক্টোবরের পর থেকে ধাপে ধাপে স্কুল-কলেজসহ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা যেতে পারে। তবে গাইডলাইন অনুযায়ী ১৫ অক্টোবরের পর কবে থেকে স্কুল-কলেজ ও বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলবে সে বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানানো হয়নি।
স্কুলসহ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলায় অনুমতি দিলেও গাইডলাইনে স্পষ্টভাবে বলা হয়েছে, স্কুল বা কলেজ খোলার আগে সংশ্লিষ্ট ম্যানেজমেন্টের সঙ্গে পরিস্থিতির সার্বিক বিবেচনা করেই নেয়া হবে সিদ্ধান্ত। একই সঙ্গে শিক্ষার্থীরা স্কুল বা কলেজে এসে সশরীরে ক্লাস করবে কি না, সে ব্যাপারে অভিভাবকের অনুমতি আবশ্যক। অভিভাবকের লিখিত অনুমতি ছাড়া কোনও শিক্ষার্থী স্কুল বা কলেজে এসে ক্লাস করতে পারবে না।
স্কুল-কলেজসহ সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলায় ছাড় দিলেও গাইডলাইন অনুযায়ী অনলাইন বা ডিসট্যান্স লার্নিংকেই প্রাথমিকভাবে গুরুত্ব দেয়া হবে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার পরও কোনও শিক্ষার্থী যদি ক্লাসে সশরীরে উপস্থিত হওয়ার বদলে অনলাইনে ক্লাস করতে চায়, তবে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ তাকে সেই অনুমতি দিতে বাধ্য থাকবে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কোনোভাবেই ক্লাসে উপস্থিত হওয়া নিয়ে শিক্ষার্থীদের জোর করতে পারবে না।
স্কুল খোলার আগে স্যানিটাইজ জরুরি। যে স্কুলগুলো কোয়ারেন্টিন সেন্টার হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছে, সেগুলোকে স্যানিটাইজ করতে হবে। এর পাশাপাশি স্কুলে ঢোকার সময়ে তাপমাত্রা পরীক্ষা, স্যানিটাইজ করতে হবে শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের। স্কুলে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত যন্ত্রে নির্দিষ্ট তাপমাত্রা রাখতে হবে।
এর আগে ১ অক্টোবর থেকে পশ্চিমবঙ্গে রাজ্যে যাত্রা, নাটক, থিয়েটার, চলচ্চিত্রসহ সমস্ত সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান শুরুর অনুমতি দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।