ঢাকা ০৫:৪২ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
দুর্নীতির অভিযোগে পীরগঞ্জ পাইলট স্কুলের প্রধান শিক্ষক বরখাস্ত ড. মো. হারুনুর রশীদ পরিচালিত সেলিনা হোসেনের ‘কাকতাড়ুয়া বুধা’ মুক্তি পেয়েছে ভাল মানুষ থেকেইে ভাল মানুষ তৈরী হয়—ঠাকুরগাঁওয়ে আল-হাসানাহ স্কুলের শিক্ষার্থীদের মাঝে পুরুস্কার বিতরনী অনুষ্ঠানে সাবেক এমপি জাহিদুর রহমান ঠাকুরগাঁয়ে যুবলীগ নেতার পলিথিন কারখানা বন্ধ, মালামাল জব্দ সাগর-রুনি হত্যা মামলা র‌্যাব থেকে তদন্তের দায়িত্ব পিবিআইয়ের কাছে সংস্কারের পরেই নির্বাচন: ড. ইউনূস বশিরউদ্দীন ও ফারুকীকে কার বুদ্ধিতে নিলেন, প্রশ্ন মান্নার ভূমি সেবায় দুর্নীতি-অনিয়মে তাৎক্ষণিক শাস্তির ব্যবস্থা ভোট কারচুপির তদন্ত সাবেক ডিসি-এসপি-ইউএনওদের ঘুম হারাম আসিফ নজরুলকে হেনস্তা,দূতাবাসের কাউন্সেলরকে দেশে ফেরত, চাকরি হারাচ্ছেন স্টাফ

হত্যার পর মৃতদেহ পোড়ােনার দায়ে তিনজনের ফাঁসি

ঠাকুরগাঁও : ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার পল্লী এলাকায় এক কলেজ শিক্ষার্থীকে হত্যার পর পুড়িয়ে দেওয়ার দায়ে বন্ধু সুইট আলম, জামিল হাসান ও মোকদাদ বিন মোতাহার পলাশকে ফাঁসির আদেশ দিয়েছে অতিরিক্ত দায়রা জজ আদালত। ফাঁসীর দন্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামী জামিল হাসানকে ধরতে গ্রেফতারী পরোয়ানা জারী করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার বিকালে জনাকীর্ণ আদালতে বিচারক বিএম তারিকুল কবীর এ রায় দেন। দন্ডপ্রাপ্তরা হলো, নওগাঁ সদর উপজেলার বারিল্লা উত্তর পাড়ার সুইট আলম, দিনাজপুরের চিরির বন্দর উপজেলার পলাশবাড়ি গ্রামের মোকদাদ বিন মাহতাব ও বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার ভানোর সরকার পাড়ার হাসান জামিল।
মামলার বিবরণে জানা যায়,দিনাজপুর জেলার চিরিরবন্দর থানার আন্ধারমুহা গ্রামের ইদ্রিস আলীর ছেলে রেজাউল ইসলাম স্থানীয় টেকনিক্যাল এন্ড বিএম কলেজে লেখাপড়ার পাশাাপশি ওয়াল্ডভিশন-২১ নামে একটি মাল্টিলেভেল কোম্পানীতে কাজ করত। চাকুরি করার সুবাদে দন্ডিত আসামীদের সঙ্গে রেজাউলের বন্ধুত্ব গড়ে ওঠে। রেজাউলকে হত্যার পরিকল্পনা করতে বন্ধু হাসান জামিলের বাড়ি বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার ভানোর কৈমারী এলাকায় নিয়ে যায়।
২০১৫ সালের ৪ মার্চ সন্ধায় আসামীরা সকলে মিলে ভিক্টিম রেজাউল ইসলামকে কৈমারী গ্রামের একটি বাঁশঝাড়ে নিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যার পর আগুনে পুড়িয়ে দেয়।
রেজাউলের মোটর সাইকেলটি আসামী জামিলের আত্মীয়র বাড়িতে রেখে তারা কর্মস্থলে ফিরে যায়।
ঘটনার ২দিন পর ৬ মার্চ পুলিশ বাঁশঝাড় হতে নিহতের লাশ উদ্ধার করে একটি হত্যা মামলা রুজু করে। ওদিকে মোটর সাইকেলসহ রেজাউল নিখোঁজ হওয়ায় তার পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় জিডি করলে র‌্যাব-১৩ মাঠে নামে এবং হত্যার সঙ্গে জড়িত থাকার সন্দেহে ওই বছরের ২২ মে ৩ আসামীকে গ্রেফতার করে। উচ্চ আদালত থেকে ভুয়া জামিন নামা তৈরি করে অপর আসামী হাসান জামিল পলাতক থাকে।
গ্রেপ্তারকৃতদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে মোটর সাইকেলটি উদ্ধারসহ হত্যার রহস্য উদঘাটিত হয়। পরে পুলিশ আসামীদের স্বীকারোক্তি মোতাবেক ৩ জনের বিরুদ্ধে একই বছরের ২৪ আগষ্ট আদালতে চার্জসীট দাখিল করে পুলিশ। দীর্ঘিদন মামলা চলার পর বৃহষ্পতিবার বিকেলে এই মামলার রায় ঘোষিত হয়।

Tag :

ভিডিও

এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

Azam Rehman

জনপ্রিয় সংবাদ

দুর্নীতির অভিযোগে পীরগঞ্জ পাইলট স্কুলের প্রধান শিক্ষক বরখাস্ত

হত্যার পর মৃতদেহ পোড়ােনার দায়ে তিনজনের ফাঁসি

আপডেট টাইম ১২:০৫:৪১ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৩০ অক্টোবর ২০২০

ঠাকুরগাঁও : ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার পল্লী এলাকায় এক কলেজ শিক্ষার্থীকে হত্যার পর পুড়িয়ে দেওয়ার দায়ে বন্ধু সুইট আলম, জামিল হাসান ও মোকদাদ বিন মোতাহার পলাশকে ফাঁসির আদেশ দিয়েছে অতিরিক্ত দায়রা জজ আদালত। ফাঁসীর দন্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামী জামিল হাসানকে ধরতে গ্রেফতারী পরোয়ানা জারী করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার বিকালে জনাকীর্ণ আদালতে বিচারক বিএম তারিকুল কবীর এ রায় দেন। দন্ডপ্রাপ্তরা হলো, নওগাঁ সদর উপজেলার বারিল্লা উত্তর পাড়ার সুইট আলম, দিনাজপুরের চিরির বন্দর উপজেলার পলাশবাড়ি গ্রামের মোকদাদ বিন মাহতাব ও বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার ভানোর সরকার পাড়ার হাসান জামিল।
মামলার বিবরণে জানা যায়,দিনাজপুর জেলার চিরিরবন্দর থানার আন্ধারমুহা গ্রামের ইদ্রিস আলীর ছেলে রেজাউল ইসলাম স্থানীয় টেকনিক্যাল এন্ড বিএম কলেজে লেখাপড়ার পাশাাপশি ওয়াল্ডভিশন-২১ নামে একটি মাল্টিলেভেল কোম্পানীতে কাজ করত। চাকুরি করার সুবাদে দন্ডিত আসামীদের সঙ্গে রেজাউলের বন্ধুত্ব গড়ে ওঠে। রেজাউলকে হত্যার পরিকল্পনা করতে বন্ধু হাসান জামিলের বাড়ি বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার ভানোর কৈমারী এলাকায় নিয়ে যায়।
২০১৫ সালের ৪ মার্চ সন্ধায় আসামীরা সকলে মিলে ভিক্টিম রেজাউল ইসলামকে কৈমারী গ্রামের একটি বাঁশঝাড়ে নিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যার পর আগুনে পুড়িয়ে দেয়।
রেজাউলের মোটর সাইকেলটি আসামী জামিলের আত্মীয়র বাড়িতে রেখে তারা কর্মস্থলে ফিরে যায়।
ঘটনার ২দিন পর ৬ মার্চ পুলিশ বাঁশঝাড় হতে নিহতের লাশ উদ্ধার করে একটি হত্যা মামলা রুজু করে। ওদিকে মোটর সাইকেলসহ রেজাউল নিখোঁজ হওয়ায় তার পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় জিডি করলে র‌্যাব-১৩ মাঠে নামে এবং হত্যার সঙ্গে জড়িত থাকার সন্দেহে ওই বছরের ২২ মে ৩ আসামীকে গ্রেফতার করে। উচ্চ আদালত থেকে ভুয়া জামিন নামা তৈরি করে অপর আসামী হাসান জামিল পলাতক থাকে।
গ্রেপ্তারকৃতদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে মোটর সাইকেলটি উদ্ধারসহ হত্যার রহস্য উদঘাটিত হয়। পরে পুলিশ আসামীদের স্বীকারোক্তি মোতাবেক ৩ জনের বিরুদ্ধে একই বছরের ২৪ আগষ্ট আদালতে চার্জসীট দাখিল করে পুলিশ। দীর্ঘিদন মামলা চলার পর বৃহষ্পতিবার বিকেলে এই মামলার রায় ঘোষিত হয়।