ঢাকা ১২:৩৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ২২ মার্চ ২০২৫, ৮ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
এবার আ. লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে নতুন মঞ্চ ঘোষণা, অবস্থান শনিবার থেকে মিলন হত্যার বিচার দাবিতে ডিসি অফিস ঘেরাও মুক্তিপণের ২৫ লাখ নিয়েও মিলন হত্যা, গলিত লাশ উদ্ধার, ঘাতকের বাড়ীঘরে জনতার  অগ্নিসংযােগ, বিচারের দাবীতে ডিসি অফিস ঘেরা ট্রাক ও পাগলুর মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ২ সংবাদকর্মী মামুনের ওপর হামলার প্রতিবাদে সাংবাদিকদের অবস্থান কর্মসূচী, সন্ত্রাশীকে দল থেকে বহিষ্কার অনলাইন বই বাজার: ঘরে বসেই যে ১০ ওয়েবসাইট থেকে কিনতে পারেন পছন্দের বই পদোন্নতি পেয়ে সচিব হলেন সাত কর্মকর্তা স্টারলিংক এলে আর কেউ ইন্টারনেট বন্ধ করতে পারবে না: শফিকুল আলম গণঅভ্যুত্থানের প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নে মাঠে থেকে কাজ করতেই পদত্যাগ করেছি: নাহিদ পীরগঞ্জে জাতীয় স্থানীয় সরকার দিবস পালিত

হত্যার পর মৃতদেহ পোড়ােনার দায়ে তিনজনের ফাঁসি

ঠাকুরগাঁও : ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার পল্লী এলাকায় এক কলেজ শিক্ষার্থীকে হত্যার পর পুড়িয়ে দেওয়ার দায়ে বন্ধু সুইট আলম, জামিল হাসান ও মোকদাদ বিন মোতাহার পলাশকে ফাঁসির আদেশ দিয়েছে অতিরিক্ত দায়রা জজ আদালত। ফাঁসীর দন্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামী জামিল হাসানকে ধরতে গ্রেফতারী পরোয়ানা জারী করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার বিকালে জনাকীর্ণ আদালতে বিচারক বিএম তারিকুল কবীর এ রায় দেন। দন্ডপ্রাপ্তরা হলো, নওগাঁ সদর উপজেলার বারিল্লা উত্তর পাড়ার সুইট আলম, দিনাজপুরের চিরির বন্দর উপজেলার পলাশবাড়ি গ্রামের মোকদাদ বিন মাহতাব ও বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার ভানোর সরকার পাড়ার হাসান জামিল।
মামলার বিবরণে জানা যায়,দিনাজপুর জেলার চিরিরবন্দর থানার আন্ধারমুহা গ্রামের ইদ্রিস আলীর ছেলে রেজাউল ইসলাম স্থানীয় টেকনিক্যাল এন্ড বিএম কলেজে লেখাপড়ার পাশাাপশি ওয়াল্ডভিশন-২১ নামে একটি মাল্টিলেভেল কোম্পানীতে কাজ করত। চাকুরি করার সুবাদে দন্ডিত আসামীদের সঙ্গে রেজাউলের বন্ধুত্ব গড়ে ওঠে। রেজাউলকে হত্যার পরিকল্পনা করতে বন্ধু হাসান জামিলের বাড়ি বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার ভানোর কৈমারী এলাকায় নিয়ে যায়।
২০১৫ সালের ৪ মার্চ সন্ধায় আসামীরা সকলে মিলে ভিক্টিম রেজাউল ইসলামকে কৈমারী গ্রামের একটি বাঁশঝাড়ে নিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যার পর আগুনে পুড়িয়ে দেয়।
রেজাউলের মোটর সাইকেলটি আসামী জামিলের আত্মীয়র বাড়িতে রেখে তারা কর্মস্থলে ফিরে যায়।
ঘটনার ২দিন পর ৬ মার্চ পুলিশ বাঁশঝাড় হতে নিহতের লাশ উদ্ধার করে একটি হত্যা মামলা রুজু করে। ওদিকে মোটর সাইকেলসহ রেজাউল নিখোঁজ হওয়ায় তার পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় জিডি করলে র‌্যাব-১৩ মাঠে নামে এবং হত্যার সঙ্গে জড়িত থাকার সন্দেহে ওই বছরের ২২ মে ৩ আসামীকে গ্রেফতার করে। উচ্চ আদালত থেকে ভুয়া জামিন নামা তৈরি করে অপর আসামী হাসান জামিল পলাতক থাকে।
গ্রেপ্তারকৃতদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে মোটর সাইকেলটি উদ্ধারসহ হত্যার রহস্য উদঘাটিত হয়। পরে পুলিশ আসামীদের স্বীকারোক্তি মোতাবেক ৩ জনের বিরুদ্ধে একই বছরের ২৪ আগষ্ট আদালতে চার্জসীট দাখিল করে পুলিশ। দীর্ঘিদন মামলা চলার পর বৃহষ্পতিবার বিকেলে এই মামলার রায় ঘোষিত হয়।

Tag :

ভিডিও

এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

Azam Rehman

এবার আ. লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে নতুন মঞ্চ ঘোষণা, অবস্থান শনিবার থেকে

হত্যার পর মৃতদেহ পোড়ােনার দায়ে তিনজনের ফাঁসি

আপডেট টাইম ১২:০৫:৪১ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৩০ অক্টোবর ২০২০

ঠাকুরগাঁও : ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার পল্লী এলাকায় এক কলেজ শিক্ষার্থীকে হত্যার পর পুড়িয়ে দেওয়ার দায়ে বন্ধু সুইট আলম, জামিল হাসান ও মোকদাদ বিন মোতাহার পলাশকে ফাঁসির আদেশ দিয়েছে অতিরিক্ত দায়রা জজ আদালত। ফাঁসীর দন্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামী জামিল হাসানকে ধরতে গ্রেফতারী পরোয়ানা জারী করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার বিকালে জনাকীর্ণ আদালতে বিচারক বিএম তারিকুল কবীর এ রায় দেন। দন্ডপ্রাপ্তরা হলো, নওগাঁ সদর উপজেলার বারিল্লা উত্তর পাড়ার সুইট আলম, দিনাজপুরের চিরির বন্দর উপজেলার পলাশবাড়ি গ্রামের মোকদাদ বিন মাহতাব ও বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার ভানোর সরকার পাড়ার হাসান জামিল।
মামলার বিবরণে জানা যায়,দিনাজপুর জেলার চিরিরবন্দর থানার আন্ধারমুহা গ্রামের ইদ্রিস আলীর ছেলে রেজাউল ইসলাম স্থানীয় টেকনিক্যাল এন্ড বিএম কলেজে লেখাপড়ার পাশাাপশি ওয়াল্ডভিশন-২১ নামে একটি মাল্টিলেভেল কোম্পানীতে কাজ করত। চাকুরি করার সুবাদে দন্ডিত আসামীদের সঙ্গে রেজাউলের বন্ধুত্ব গড়ে ওঠে। রেজাউলকে হত্যার পরিকল্পনা করতে বন্ধু হাসান জামিলের বাড়ি বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার ভানোর কৈমারী এলাকায় নিয়ে যায়।
২০১৫ সালের ৪ মার্চ সন্ধায় আসামীরা সকলে মিলে ভিক্টিম রেজাউল ইসলামকে কৈমারী গ্রামের একটি বাঁশঝাড়ে নিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যার পর আগুনে পুড়িয়ে দেয়।
রেজাউলের মোটর সাইকেলটি আসামী জামিলের আত্মীয়র বাড়িতে রেখে তারা কর্মস্থলে ফিরে যায়।
ঘটনার ২দিন পর ৬ মার্চ পুলিশ বাঁশঝাড় হতে নিহতের লাশ উদ্ধার করে একটি হত্যা মামলা রুজু করে। ওদিকে মোটর সাইকেলসহ রেজাউল নিখোঁজ হওয়ায় তার পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় জিডি করলে র‌্যাব-১৩ মাঠে নামে এবং হত্যার সঙ্গে জড়িত থাকার সন্দেহে ওই বছরের ২২ মে ৩ আসামীকে গ্রেফতার করে। উচ্চ আদালত থেকে ভুয়া জামিন নামা তৈরি করে অপর আসামী হাসান জামিল পলাতক থাকে।
গ্রেপ্তারকৃতদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে মোটর সাইকেলটি উদ্ধারসহ হত্যার রহস্য উদঘাটিত হয়। পরে পুলিশ আসামীদের স্বীকারোক্তি মোতাবেক ৩ জনের বিরুদ্ধে একই বছরের ২৪ আগষ্ট আদালতে চার্জসীট দাখিল করে পুলিশ। দীর্ঘিদন মামলা চলার পর বৃহষ্পতিবার বিকেলে এই মামলার রায় ঘোষিত হয়।