ঢাকা ০৫:৪১ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
দুর্নীতির অভিযোগে পীরগঞ্জ পাইলট স্কুলের প্রধান শিক্ষক বরখাস্ত ড. মো. হারুনুর রশীদ পরিচালিত সেলিনা হোসেনের ‘কাকতাড়ুয়া বুধা’ মুক্তি পেয়েছে ভাল মানুষ থেকেইে ভাল মানুষ তৈরী হয়—ঠাকুরগাঁওয়ে আল-হাসানাহ স্কুলের শিক্ষার্থীদের মাঝে পুরুস্কার বিতরনী অনুষ্ঠানে সাবেক এমপি জাহিদুর রহমান ঠাকুরগাঁয়ে যুবলীগ নেতার পলিথিন কারখানা বন্ধ, মালামাল জব্দ সাগর-রুনি হত্যা মামলা র‌্যাব থেকে তদন্তের দায়িত্ব পিবিআইয়ের কাছে সংস্কারের পরেই নির্বাচন: ড. ইউনূস বশিরউদ্দীন ও ফারুকীকে কার বুদ্ধিতে নিলেন, প্রশ্ন মান্নার ভূমি সেবায় দুর্নীতি-অনিয়মে তাৎক্ষণিক শাস্তির ব্যবস্থা ভোট কারচুপির তদন্ত সাবেক ডিসি-এসপি-ইউএনওদের ঘুম হারাম আসিফ নজরুলকে হেনস্তা,দূতাবাসের কাউন্সেলরকে দেশে ফেরত, চাকরি হারাচ্ছেন স্টাফ

নিজ দল থেকেই বহিষ্কার নেপালের প্রধানমন্ত্রী

আন্তর্জাতিক ডেস্ক::দেশের সমস্ত ক্ষমতা নিজের নিয়ন্ত্রণাধীন করতে সংসদ ভেঙেছিলেন নেপালের প্রধানমন্ত্রী কে পি শর্মা ওলি। আর এবার তার বিরুদ্ধেই জোরালো হচ্ছে আন্দোলন। সরাসরি নেপালের কমিউনিস্ট পার্টি থেকে বহিষ্কৃত করা হয়েছে তাকে।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমস তাদের এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগ এনে নেপালের প্রধানমন্ত্রীকে নিজ দল কমিউনিস্ট পার্টি থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। পার্লামেন্ট ভেঙে দেয়ার জেরে রাজনৈতিক অস্থিরতার মধ্যেই রোববার (২৪ জানুয়ারি) দলের ক্ষমতাসীন গোষ্ঠী ওলিকে বহিষ্কার করে।

নেপাল কমিউনিস্ট পার্টির মুখপাত্র নারায়ণ কাজি শ্রেষ্ঠা জানিয়েছেন, দলের কেন্দ্রীয় কমিটির বৈঠকে ওলির সদস্যপদ বাতিল করা হয়েছে। ওলি আর দলের সদস্য নন।

তিনি বলেন, রোববার দলের কেন্দ্রীয় কমিটির বৈঠকে ওলিকে দল থেকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। আমরা অনেক সহ্য করেছি, তিনি আমাদের আহ্বানে সারা দেননি। দলের নির্বাহী ক্ষমতাবলে তাকে বহিষ্কার করা হয়েছে।

এর আগে গত শুক্রবারই ওলির সদস্যপদ বাতিল করার হুমকি দিয়েছিল বিরোধীপক্ষ। ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তা বাস্তবায়ন হলো। গত ২০ ডিসেম্বর সংসদ ভেঙে দিয়ে আগামী এপ্রিল এবং মে মাসে ভোটের আহ্বানও জানিয়েছেন ওলি।

তিন বছর আগে নির্বাচনে জয়লাভ করে নেপালে এনসিপি ও প্রাক্তন মাওবাদী বিপ্লবীদের জোট ক্ষমতায় এলে প্রধানমন্ত্রী হন ওলি। পূর্ব শর্ত অনুযায়ী শাসনকালের পাঁচ বছরের মেয়াদ নিজেদের মধ্যে ভাগ করে নিয়েছিলেন ওলি এবং বিপ্লবী নেতাপুষ্প কুমার দহল ওরফে প্রচণ্ড। কিন্তু সেই শর্ত উপেক্ষা করে নির্দিষ্ট সময়ে প্রচণ্ডের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে অস্বীকার করেন ওলি। এই নিয়ে দুই গোষ্ঠীর মধ্যে চরম মতবিরোধ দেখা দেয়।

ওলি সরকারের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগও এনেছেন প্রাক্তন মাওবাদী বিপ্লবীরা। এছাড়া করোনা মোকাবিলায় সরকারের ব্যর্থতা নিয়েও সরব হয়েছে বিরোধীগোষ্ঠী। একইসঙ্গে ভারতের সখ্যতা উপেক্ষা করে চীনের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা বৃদ্ধি নিয়েও বিরোধীদের ক্ষোভের মুখে পড়েন ওলি।

Tag :

ভিডিও

এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

Azam Rehman

জনপ্রিয় সংবাদ

দুর্নীতির অভিযোগে পীরগঞ্জ পাইলট স্কুলের প্রধান শিক্ষক বরখাস্ত

নিজ দল থেকেই বহিষ্কার নেপালের প্রধানমন্ত্রী

আপডেট টাইম ০২:০২:৫৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৫ জানুয়ারী ২০২১
আন্তর্জাতিক ডেস্ক::দেশের সমস্ত ক্ষমতা নিজের নিয়ন্ত্রণাধীন করতে সংসদ ভেঙেছিলেন নেপালের প্রধানমন্ত্রী কে পি শর্মা ওলি। আর এবার তার বিরুদ্ধেই জোরালো হচ্ছে আন্দোলন। সরাসরি নেপালের কমিউনিস্ট পার্টি থেকে বহিষ্কৃত করা হয়েছে তাকে।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমস তাদের এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগ এনে নেপালের প্রধানমন্ত্রীকে নিজ দল কমিউনিস্ট পার্টি থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। পার্লামেন্ট ভেঙে দেয়ার জেরে রাজনৈতিক অস্থিরতার মধ্যেই রোববার (২৪ জানুয়ারি) দলের ক্ষমতাসীন গোষ্ঠী ওলিকে বহিষ্কার করে।

নেপাল কমিউনিস্ট পার্টির মুখপাত্র নারায়ণ কাজি শ্রেষ্ঠা জানিয়েছেন, দলের কেন্দ্রীয় কমিটির বৈঠকে ওলির সদস্যপদ বাতিল করা হয়েছে। ওলি আর দলের সদস্য নন।

তিনি বলেন, রোববার দলের কেন্দ্রীয় কমিটির বৈঠকে ওলিকে দল থেকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। আমরা অনেক সহ্য করেছি, তিনি আমাদের আহ্বানে সারা দেননি। দলের নির্বাহী ক্ষমতাবলে তাকে বহিষ্কার করা হয়েছে।

এর আগে গত শুক্রবারই ওলির সদস্যপদ বাতিল করার হুমকি দিয়েছিল বিরোধীপক্ষ। ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তা বাস্তবায়ন হলো। গত ২০ ডিসেম্বর সংসদ ভেঙে দিয়ে আগামী এপ্রিল এবং মে মাসে ভোটের আহ্বানও জানিয়েছেন ওলি।

তিন বছর আগে নির্বাচনে জয়লাভ করে নেপালে এনসিপি ও প্রাক্তন মাওবাদী বিপ্লবীদের জোট ক্ষমতায় এলে প্রধানমন্ত্রী হন ওলি। পূর্ব শর্ত অনুযায়ী শাসনকালের পাঁচ বছরের মেয়াদ নিজেদের মধ্যে ভাগ করে নিয়েছিলেন ওলি এবং বিপ্লবী নেতাপুষ্প কুমার দহল ওরফে প্রচণ্ড। কিন্তু সেই শর্ত উপেক্ষা করে নির্দিষ্ট সময়ে প্রচণ্ডের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে অস্বীকার করেন ওলি। এই নিয়ে দুই গোষ্ঠীর মধ্যে চরম মতবিরোধ দেখা দেয়।

ওলি সরকারের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগও এনেছেন প্রাক্তন মাওবাদী বিপ্লবীরা। এছাড়া করোনা মোকাবিলায় সরকারের ব্যর্থতা নিয়েও সরব হয়েছে বিরোধীগোষ্ঠী। একইসঙ্গে ভারতের সখ্যতা উপেক্ষা করে চীনের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা বৃদ্ধি নিয়েও বিরোধীদের ক্ষোভের মুখে পড়েন ওলি।