বৃহস্পতিবার ভোরে বাঁশদহা ইউনিয়নের কুলিয়াডাঙ্গা গ্রামের মানব পাচারকারী দালাল মোকলেসুরের বাড়ির দুটি কক্ষ থেকে তাদের উদ্ধার করে সদর থানা পুলিশ।
তাদের মধ্যে ১৫ জনের বাড়ি নড়াইল জেলায়। অন্যদের বাড়ি রংপুর ও ব্রাম্মণবাড়িয়া জেলায় বলে জানিয়েছে পুলিশ।
উদ্ধারকৃতরা হচ্ছেন- নড়াইলের রত্না শেখ, হীরা বেগম, শিউলি খাতুন, কাজল খাতুন, রুবিনা খাতুন, লাভলী খাতুন, আবুল শিকদার, সোবহান মোল্লা, ইমন গাজী, মাকবুল মোল্লা, কামরুজ্জামান, রফিকুল ইসলাম, শিমু মোল্লা, কায়েস শেখ ও জাহিদ শেখ, মুন্সিগঞ্জের শ্রীনগরের রুনা খাতুন, রংপুরের কাউনিয়ার ইসমত আরা, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার শিমু আক্তার ও বিউটি আক্তার, খুলনার দিঘলীয়ার তানভির ইসলাম। তাদের সঙ্গে আরও দুই শিশু রয়েছে।
সদর থানার ওসি মো. আসাদুজ্জামান জানান, তিনি গোপন সূত্রে খবর পান কয়েকজন নারী-পুরুষকে ভারতে পাচারের লক্ষ্যে কুলিয়াডাঙ্গা গ্রামের মোকলেসুরের বাড়িতে লুকিয়ে রাখা হয়েছে। পরে ভোরে ওই বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাদের উদ্ধার করা হয়। এ সময় মোকলেসকে না পেয়ে তার স্ত্রী নাসিমা খাতুনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
ওসি আরও জানান, দালাল মোকলেস ও তার স্ত্রী নাসিমা ভারতে ভালো কাজ দেয়ার কথা বলে তাদের প্রত্যেকের কাছ থেকে ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। আজ কোনো এক সময় তাদের সীমান্ত পার করে ভারতে নিয়ে যাবার কথা ছিল। এ ব্যাপারে থানায় একটি মামলা হয়েছে।