ঘরবন্দী এই সময়গুলো কীভাবে কাটাচ্ছেন? এমন প্রশ্নে রুনা লায়লা বলেন, ‘সবার মত আমারও ঘরে বসেই সময় কাটছে, তবে হ্যাঁ একেক জনের জীবন ধারা একেক রকম। আমি যেমন নিয়মিত বই পড়ি, গান শুনি। আবার এর পাশাপাশি কিছু নতুন নতুন সুরও সৃষ্টি করছি। কারণ এখনতো নতুন করে আমি গান সুর করছি বিধায় বলা যায় প্রতিনিয়তই নতুন নতুন সুর ভাবনায় আসছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘জানিনা কবে করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে। ইচ্ছে আছে করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে ইনশাআল্লাহ শুরুতেই লন্ডনে যাবো, আমার মেয়ে তানির কাছে। সেই যে গত বছর মার্চ মাসের শুরুতে এসে বাসায় বন্দী হয়েছি এরপর তো আর তেমন বাসা থেকে বের হইনি। তাই লন্ডনে যাবার জন্যই মনটা অস্থির হয়ে আছে। নাতি দু’জনকেও দেখতে খুব ইচ্ছে করছে, আদর করতে ইচ্ছে করছে। যদিও প্রতিনিয়ত হোয়াটসঅ্যাপে দেখছি কিন্তু তারপরও সামনাসামনি বসে দেখা, কথা বলার ভালো লাগাটুকু, আনন্দটুকুই অন্যরকম। দোয়া করি আল্লাহ যেন তাদের ভালো রাখেন, সুস্থ রাখেন। সবার প্রতি বিনীত অনুরোধ রইলো আপনারা সবাই সচেতন থাকবেন, নিরাপদে থাকবেন আর অবশ্যই জরুরী কাজে বাইরে বের হলে ভালোভাবে মাস্কটা পড়ে নিবেন।’
অবসরে নিজের গান শোনা হয় কী না, এমন প্রশ্নের জবাবে রুনা লায়লা বলেন,‘হ্যাঁ, অবশ্যই নিজের গানও শুনি। নতুন পুরোনো সব গানই শোনা হয়ে থাকে আমার। সেসব গানে নিজেরই ভুল ত্রুটিগুলো বের করার চেষ্টা করি। এমন গানও পাই যে নিজেরই আফসোস হয়, যে আরেকটু ভালো হলে আরো ভালো হতে পারতো।’
নিজের গানের বাইরে কার গান শোনা হয়, এমন কথার জবাবে এই কিংবদন্তি বলেন, ‘আমি আসলে সবার গানই শুনি। নির্দিষ্ট করে কারো নাম বলা যাবেনা। আবার অনেকের গান থেকে আমি নিজেও কিছু শেখার চেষ্টা করি। দেশের মধ্যে যাদের গান বেশি ভালো লাগে তাদের কিন্তু আমি নিজে থেকেই ফোন করে বা ম্যাসেজ দিয়ে অনুপ্রেরণাও দিয়ে থাকি।’